ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)

করোনা ভাইরাস আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনা ভাইরাস আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

সব কিছু ছাপিয়ে এখন পত্রিকায়-আলোচনায় একটাই ইস্যু উহান করোনা ভাইরাস। প্রথম দিকে তেমন সাড়া জাগাতে না পারলেও এখন করোনাই রাজা। লোকের মুখে মুখে আর মিডিয়ার পাতাজুড়ে কোথাও অন্য কোন কিছুর ঠাঁই নেই। আর করোনার নামের সঙ্গেও রাজ-রাজড়ার যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ। রাজার মাথার মুকুট বা ক্রাউনের সঙ্গে ভাইরাসটির আনুবীক্ষণিক চেহারার নাকি মিল অনেক। আর সেই ক্রাউন থেকেই করোনা ভাইরাসের নামকরণ। করোনা ভাইরাস মানুষের কাছে অপরিচিত কোন জীবাণু নয়। প্রতি বছরই তো আমরা সাধারণ সর্দি-জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হই। কিন্তু সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কে কবে মৃত্যুবরণ করেছেন খুঁজতে গেলে গুগলও বোধ করি ফেল মারবে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে এই উহান করোনা ভাইরাস নিয়ে এত হৈ চৈ, সতর্কতা আর কথা কেন? করোনা ভাইরাসের একটা অদ্ভুত বদাভ্যাস আছে। এটি বেশিরভাগ সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই সাধারণ সর্দি-কাশি করলেও, মাঝে-মধ্যেই এর চেহারা বদল হয়। ভাইরোলজির ভাষায় যাকে বলে মিউটেশন। আর ভাইরাসের যখনই মিউটেশন হয় তখন তা প্রথম দিকে মানবদেহে কখনও কখনও মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। পৃথিবীব্যাপী যে সর্দি-কাশি প্রথমবারের মতো তান্ডব সৃষ্টি করেছিল তার নাম স্পেনিশ ফ্লু। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়, যা ছিল পৃথিবীর সেই সময়কার মোট জনসংখ্যার তেত্রিশ শতাংশ। সেই সময় এই ফ্লুতে মারা গিয়েছিল দুই থেকে দশ কোটি মানুষ। এরপরও দফায় দফায় ভাইরাসজনিত বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যান্ডেমিকে বিপর্যস্ত হয়েছে মানবজাতি। ১৯৫৭-৫৮ সালে এশিয়ান ফ্লু, ১৯৬৭-৬৮-এর হংকং ফ্লু, ১৯৭৭-৭৮-এর রাশিয়ান ফ্লু আর ২০০৯-এর ফ্লু প্যান্ডেমিক এসবের অন্যতম। এসব প্যান্ডেমিকে আক্রান্ত হয়েছিলেন একেকবারে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ আর মারা গিয়েছিল দশ লাখ থেকে এক কোটি। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মানুষের পরিচয় ১৯৬০ সালে ভাইরাসটির আবিষ্কারের পর। হালের যে সার্স আর মার্স, এ দুটি কিন্তু করোনা ভাইরাসেরই মিউটেশনের ফল। বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও সার্স আর মার্স পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েনি বলে প্যান্ডেমিকের খেতাব পায়নি ঠিকই, কিন্তু এই দুই আউটব্রেকে মৃত্যুর হার ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার প্যান্ডিমিকগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। ঐ প্যান্ডিমিকগুলো যেখানে দশমিক দুই থেকে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ কেস ফেটালিটি রেট ছিল, সেখানে সার্সে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল পনেরো শতাংশ পর্যন্ত। আর সার্সের পরে যে মার্স, তাতে এই হার বেড়ে প্রায় চল্লিশ শতাংশ ছুঁই ছুঁই করেছিল। এই যে করোনা ভাইরাসের একেকটি মিউটেটেড স্ট্রেইন, সম্ভবত এগুলো এখনও আমাদের মাঝে বহাল তবিয়তে বর্তমান। সেদিন বিটিভিতে সুভাস সিংহ রায় দাদার সঞ্চালনায় খবর প্রতিদিনের বিশেষ এডিশনে ডাক পড়েছিল। টকশোটার ফাঁকে ফাঁকে কথা হচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মান্নান স্যারের সঙ্গে। বলছিলেন ষাটের দশকের শেষের দিকে হংকং ফ্লু প্যান্ডেমিকের কথা। কিভাবে পুরো পূর্ব পাকিস্তান কাঁপিয়ে-দাপিয়ে দিয়েছিল ঐ ফ্লুটি। অথচ এই হংকং ফ্লু এখনও বাংলাদেশে হয়, তবে এর ভয়ঙ্কর রূপ দেখা যায় না। এখনও প্রতি বছর পৃথিবীতে গড়ে প্রায় এক শ’ কোটি মানুষ সিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত হন। আমরা প্রায়ই রসিকতা করে বলি সর্দি-কাশিতে ওষুধ খেলে ভাল হতে সাত দিন, আর না খেলে এক সপ্তাহ। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে পশু-পাখির যোগাযোগটা অত্যন্ত নিবিড়। হালের যে উহান করোনা ভাইরাস, ধারণা করা হচ্ছে তা ছড়িয়েছে বাদুর থেকে। সর্বভুক চীনারা ঠিকমতো রান্না না করে কাঁচা বাদুড় খেতে গিয়েই ঝামেলাটা পাকিয়েছে। প্রথম যখন করোনা ভাইরাস আইসোলেশন করা হয়, তা তখন পাওয়া গিয়েছিল মুরগিতে। এবারের উহান করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য বাদুড় ছাড়াও সাপ থেকে শুরু করে গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালকেও শাপ-শাপান্ত করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আমাদের টনকটা এবারে নড়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে উহানে আটকেপড়া তিন শতাধিক বাঙালীকে এয়ার লিফট করে ঢাকায় নিয়ে আসার পরপরই। এর আগ পর্যন্ত আমরা আর আমাদের মিডিয়া, আমরা সবাই ব্যস্ত ছিলাম ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে। একদিকে যেই না ফুরাল নির্বাচনী উত্তেজনা, অন্যদিকে সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চড়ে তিন শ’ জনেরও বেশি বাঙালীর উহান থেকে আগমন। ব্যস আর যায় কোথায়। সঙ্গে সঙ্গে ডানা মেলতে শুরু করল গুজবের পর গুজব। সঙ্গে আছে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস আর সঙ্গত কারণেই সরগরম মিডিয়াও। এটা সত্যি যে, এই তিন শ’ জনকে আইসোলেশনে বা হাসপাতালে অবজারভেশনে ঠিক যেরকম বিজ্ঞানসম্মতভাবে রাখা উচিত তার যথেষ্ট আয়োজন আমাদের দেশে নেই। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, রাতারাতি তা তৈরি করাও অসম্ভব। সহসা উদ্ভূত এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার যে সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করছে আর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে যে আন্তরিকতাটুকু দেখানো হচ্ছে তা এক কথায় অতুলনীয়। জাপান এবং আমেরিকার পর পৃথিবীর তৃতীয় রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার নাগরিকদের বিনা খরচে চীন থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। পাকিস্তান আরেক ডিগ্রী সরস। বেইজিং-এর পাকিস্তান দূতাবাস থেকে সে দেশের প্রবাসী নাগরিকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে জীবন-মৃত্যু যেহেতু স্রষ্টার হাতে আর এ ব্যাপারে মানুষের কিছু করার সুযোগও নেই, কাজেই পাকিস্তান সরকার তার নাগরিকদের চীন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নেবে না। প্রধানমন্ত্রী যে ‘মমতাময়ী মা’ তার প্রমাণ এর মধ্য দিয়ে তিনি আরও একবার দিলেন। তবে আমাদের প্রস্তুতিটা নেয়ার সময়টাও এখনই। সরকারের প্রচেষ্টা আর উপরওয়ালার আনুকূল্যে আমরা হয়তো এ যাত্রাও পার পেয়ে যাব, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে হবে এখন থেকেই। এজন্য প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি স্থায়ী কোয়ারেন্টাইন ফ্যাসিলিটি তৈরি করা, ঢাকায় এক বা একাধিক হাসপাতালে নেগেটিভ এয়ার প্রেশার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা আর কিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অন্যান্য হেলথ স্টাফের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি এ ধরনের রোগ নির্ণয় এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্ষমতাও দ্রুত বাড়ানো উচিত। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, আমাদের কাজটুকু আমাদেরকেই করতে হবে। অন্যরা কেউ তা করে দেবে না। উহান করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আর এতে মৃত্যু এরই মাঝে সার্স এবং মার্সকে ছাড়িয়ে গেছে। থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা দাবি করেছেন তারা এই ভাইরাসের চিকিৎসায় সাফল্য পেয়েছেন। তবে তা গ্রহণযোগ্য কিনা তা ভেবে দেখতে হবে। যেভাবে গবেষণা চলছে তাতে আশা করা যায় ওষুধ হয়তো পাওয়া যাবে, তবে তা কতদিন পরে তা বিবেচনার বিষয়। অবশ্য ভ্যাকসিন হাতে আসতে যে ঢের দেরি তা নিয়ে রাখ-ঢাক করেনি প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউট। তারা জানিয়ে দিয়েছে উহান করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন ২০২১-এর আগে নয়। বলা হচ্ছে উহান করোনা ভাইরাসের হিউম্যান ট্রান্সমিশন ইনডেক্স ডিসেম্বরে ৪.৭-এর চেয়ে কমে এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২.৭-এ। ম্যাথামেটিক্যাল মডেল অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির শেষে তা একের নিচে নেমে আসবে আর তখনই হয়তো শেষ হবে উহান বিভীষিকার। কাজেই আশা করার মতো তথ্য হাতে আছে অনেক। তবে ততদিনে হয়তো মোট মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিন শ’ জন বাঙালীর উহান থেকে আগমনে আমাদের আঁতকে ওঠার কোন কারণ থাকা উচিত নয়। কারণ ধারণা করা হয় নবেম্বরের মাঝামাঝি চীনের উহান শহরের পশুপাখির বাজার থেকে প্রথম এবারের স্টেইনটি ছড়িয়েছিল। এটি সেন্ট্রাল চায়নার সবচাইতে জমজমাট মার্কেট। সেখানে আছে হাজারেরও বেশি দোকান। আর প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন গড়ে যদি এক শ’ জন ক্রেতা বাজারটি বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত গিয়ে থাকেন তাহলেও প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়েছেন। অথচ আক্রান্ত হয়েছেন দশ হাজারেও কম। বাংলাদেশেও দৈনিক যে চারটি বিমান চীনের গুয়াংজো আর কুংমিং থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া করে তাতেও গড়ে প্রায় ছয় শ’জন মানুষ প্রতিদিন চীন থেকে এতদিন ঢাকায় যাতায়াত করেছেন। হালে অবশ্য তা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঘোষণা অনুযায়ী এদেশে এখন পর্যন্ত একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। এমনকি দেশের কোথাও সন্দেহজনক শ্বাসকষ্টজনিত রোগে কেউ মারা গেছেন সেরকম কোন খবরও স্যোশাল মিডিয়া বা মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে আসেনি। এ থেকে ধারণা করা যেতেই পারে যে, উহান করোনা ভাইরাসটি সম্ভবত অত বেশি সংক্রামক নয়। তাছাড়া এটাও মনে রাখতে হবে যে, চীনে এখন পর্যন্ত চার শ’র বেশি মানুষ এ রোগে মারা গেলেও চীনের বাইরে মারা গেছেন দু’জন, একজন ফিলিপিন্সে আর অন্যজন হংকং-এ। এদের দু’জনই সম্ভবত চীনা নাগরিক, যারা চীনে থাকার সময়ই ইনফেক্টেড হয়েছিলেন। পাশাপাশি এও মনে রাখতে হবে যে, সার্সে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত কেঁপে গেলেও বাংলাদেশে কিন্তু তখনও কোন সার্স আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে এসবই বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়। আগেই যেমন বলেছি এ সব গবেষণা আমাদের করতে হবে আমাদের দেশে আমাদের তাগিদেই। এই মুহূর্তের সতর্কতা হিসেবে আমাদের আচরণগত পরিবর্তনগুলো খুব বেশি জরুরী। হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় মুখটা ঢেকে রাখা, যেখানে-সেখানে থুথু না ফেলা আর প্রতিবার বাইরে থেকে এসে বা খাওয়ার আগে ত্রিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড ধরে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে রাখার মতো ব্যক্তিগত সু-অভ্যাসগুলোয় অভ্যস্ত হতে হবে এখন থেকেই। ফেস মাস্ক ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে মনে রাখতে হবে এটি কোন আলটিমেট সলিউশন নয়। এতে ভাইরাস আক্রান্ত হবার এবং তার চেয়ে বড় কথা ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার ঝুঁকি কমে ঠিকই, তবে সেই ঝুঁকি একেবারে শূন্য হয়ে যায় না। কাজেই বাজারে বাজারে মাস্কের পিছনে ছুটে মাস্কের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিতে ভূমিকাটা না রাখাই বোধ করি ভাল। মনে রাখতে হবে, উহান করোনা ভাইরাস কোন রূপকথার দত্যি-দানব নয়। এরই মাঝে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন, নেচার আর ল্যানসেটের মতো শীর্ষ মেডিক্যাল জার্নালগুলোয় এবারের উহান করোনা ভাইরাসটি সম্বন্ধে বিশটিরও বেশি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। অতএব সব মিলিয়ে আমরা আশা করতেই পারি যে, অল্পদিনেই আমরা উহান করোনা ভাইরাস ভুলে গিয়ে আবারও ডেঙ্গু জয়ে মনোযোগী হতে পারব। তবে যেহেতু ভাইরাস নিয়ে আর ভাইরাসের সঙ্গেই আমাদের নিত্য বসবাস, হয় ডেঙ্গু, নয় করোনা নয়তো অন্য কোন কিছু সামনেই যে আবার আসছে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। পাশাপাশি এ ধরনের ভাইরাস আউটব্রেকের অর্থনৈতিক দিকগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। এক উহান করোনা ভাইরাসের এক মাসের ধাক্কায় চীনের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়িয়েছে ষাট বিলিয়ন ইউএস ডলার। ধাক্কা লেগেছে এশিয়ার দেশে দেশে স্টক মার্কেটে আর আশঙ্কা করা হচ্ছে আরেক দফা গ্লোবাল ইকোনমিক রিসেশানেরও। আর তা যদি হয় তার আঁচ লাগবে আমাদের গায়েও। কাজেই যা প্রয়োজন তা হলো এ সংক্রান্ত গবেষণা, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের মানুষকে এবং দেশের বাইরেও আরেকবার জানিয়ে দেয়া যে, আমরাও পারি। লেখক : চেয়ারম্যান, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ
×