ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নবশিখা নাট্যদলের ‘কবর’ নাটকের দুই মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  নবশিখা নাট্যদলের ‘কবর’  নাটকের দুই মঞ্চায়ন

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ নবশিখা নাট্যদল সিলেটের ১২তম প্রযোজনা নাটক ‘কবর’। ইতোমধ্যে নাটকটির আটটি মঞ্চায়ন সম্পন্ন হয়েছে। অতি শীঘ্রই নাটকটির আরও দুটি মঞ্চায়ন হবে। এর মধ্যে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেট রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের একুশে চেতনায় নাট্য প্রদর্শনীতে নাটকটির ৯ম প্রদর্শনী এবং আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের জাতীয় নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী দিন ‘কবর’ নাটকের ১০ম প্রদর্শনী হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিক ‘কবর’ নাটকটি রচনা করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী। আর নবশিখা নাট্যদলের জন্য নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন ফরিদুল ফারদিন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আব্দুর রাজ্জাক খান, রকিবুল হাসান রুমন, ধ্রুবজ্যোতি দে, শরিফ উদ্দিন, শাকিল আহমদ সোহাগ, রাজীব দাশ, শংকর দেবনাথ, তন্ময় নাথ তনু, এ টি এম শামসুল হাসান বাবর, হাসান, তামজিদ, শরীফ-২, অর্ণব, নদী, রুমন, এনামুল সাজ্জাদ, নাঈম, প্রান্ত, তন্ময় বণিক হৃদয়, অলক, রাহেল, মাহাদী, লিয়ন, হায়দার, প্রিয়াংকা, মৌসুমী, নিপা, সিথী, সিমলা, সুমি, লিমা, সোনিয়া, রুহেনা খানম মুক্তা, তাহমিনা, সুমিতা, মুক্তা, সুমি, আনহার, অর্ণা, জয়, হ্যাপি রাণী নাথ, সুমন, রোকসানা, নুপুর, শংকর, সন্দীপ, শতাব্দী, হাসিব, অর্জুন, অর্পা, কামরুল ও অপূর্ব। ‘কবর’ নাটকের পটভূমি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। জেলে বসে এ নাটকটি লেখেন প্রখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী। এ নাটকে নেতা ও পুলিশ অফিসার চরিত্র তৎকালীন বাংলার শাসক এবং শোষক শ্রেণীর আর মুর্দা ফকির চরিত্রটি প্রতিবাদী ও সাহসী চরিত্র। সে শহীদের লাশ দেখে বুঝতে পারে এ সাধারণ মৃত দেহ নয় কারণ লাশের গায়ে বারুদের গন্ধ। একই কবরে দাফন দিতে রাজি নয় সে। সে মৃত দেহগুলো পুনরায় উঠে এসে মিছিল করার আহ্বান জানায়। এতে মাতাল অবস্থায় নেতা ও পুলিশ ভীত হয়। লাশগুলো ছায়ামূর্তি হয়ে প্রতিবাদ করে তারা মৃত নয়, তারা এই কবরে যেতে চায় না। তারা বাঁচতে চায়। ইন্সপেক্টর হাফিজ মায়ের ছদ্মবেশে ছায়ামূর্তিগুলো ধোঁকা দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে সফল হয় না ছায়ামূর্তিগুলো মুর্দা ফকিরের আহ্বানে পুনরায় মিছিলে যায়। নেতা অজ্ঞান অবস্থা থেকে জ্ঞান ফিরে দেখল সব কাজ শেষ। সে বুঝতে পারছে না এত সময় যা ঘটল তা কি বাস্তব নাকি কল্পনা। নেতার অবচেতন মনের মানসিক বাস্তবিক মিথস্ক্রিয়ার প্রকাশই এ মঞ্চায়ন। নির্দেশক ফরিদুল ফারদিন বলেন, মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকে কাজ করে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিশেষ করে নবশিখা নাট্যদলের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লেগেছে। নাটকের কাহিনী ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে হলেও এখানে ফুটে উঠেছে তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থা ও শোষক শ্রেণীর প্রতিভূ চরিত্র। পাশাপাশি তৎকালীন রাজনীতির সঙ্গে বর্তমান রাজনীতি ও নেতাদের মিল ফুটে উঠেছে। নাটকে মানুষের অবচেতন মনের মানসিক ও বাস্তবিক মিথস্ক্রিয়ার বহির্প্রকাশ ঘটেছে। বাস্তবতার বিভ্রম সৃষ্টি করা হয়েছে। তেমনিভাবে বিদ্রোহ প্রত্যেক্ষ ও বাস্তব রূপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। নেতার অবেচতন মনের কল্পনায় বিদ্রোহ উপস্থাপিত হয়। বাকিটা সুবিচক্ষণ দর্শকদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে আমার সফলতা। নাটকের সহকারী নির্দেশক ধ্রুবজ্যোতি দে। রূপসজ্জা সুমন রায়, শাকিল আহমদ সোহাগ ও প্রযোজনা অধিকর্তা রকিবুল হাসান রুমন, আব্দুর রাজ্জাক খান। সহ-প্রযোজনা অধিকর্তা তন্ময় নাথ তনু, রাজীব দাশ। মঞ্চ নির্মাণ তন্ময় নাথ তনু রকিবুল হাসান রুমন, সিথি চক্রবর্তী। প্রকাশনা ধ্রুবজ্যোতি দে, পোশাক পরিকল্পনা ফরিদুল ফারদিন, মৌসুমী চৌধুরী মৌ। দ্রব্যসামগ্রী ব্যবস্থাপনা অলক চন্দ্র দাশ, সোনিয়া, হাসান, জয়, নদী, তাহমিনা, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা শরিফ উদ্দিন, শংকর দেবনাথ, অর্জুন সূত্রধর, নাঈম, অর্ণব, প্রিয়াংকা, হৃদয়, দুর্জয়, জিয়াদ, শিমুল, সুমন, সুমি, লিমা ও হাসিব। অপূর্ব আবহসঙ্গীত ধ্রুবজ্যোতি দে, শাকিল আহমদ সোহাগ, রকিবুল হাসান রুমন, আলোক পরিকল্পনা তৌফিক আজীম রবিন, আলোক নির্দেশনা ধ্রুবজ্যোতি দে ও আলোক প্রক্ষেপণ বদরুল আলম। সার্বিক তত্ত্বাবধানে সুদীপ চক্রবর্তী।
×