ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাশেদ-নাদিয়ার নাটক ‘আমার বাবা’

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

 রাশেদ-নাদিয়ার নাটক ‘আমার বাবা’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ স্যাটেলাইট চ্যানেল বৈশাখী টিভিতে আগামীকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘আমার বাবা’। সৈয়দ ইকবালের গল্পে নাটকটি রচনা করেছেন সুবাতা রাহিক জারিফার। আর নাটকটি পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত ও নাদিয়া আহমেদ। আরও আছেন প্রবীণ অভিনেতা কে এস ফিরোজ। ‘আমার বাবা’ নাটকে রাশেদ সীমান্তকে দেখা যাবে বরিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্ট্রোকে আক্রান্ত বাবাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। আব্দুল হান্নান এবং আব্দুল মান্নান সম্পর্কে পিতা-পুত্র। তারা বরিশালের প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে বসবাস করেন। পুত্র আব্দুল মান্নান তার মাকে হারিয়েছে ছোট বেলায়। কিন্তু বাবা আব্দুল হান্নান ছেলে মান্নানের কথা ভেবে আর দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। বাবা আব্দুল হান্নান ছেলেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেন। কখনও ছেলেকে মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। পিতা-পুত্রের যে ভালবাসার বন্ধন তাদের গ্রামের অন্য লোকজন আদর্শ হিসাবে মানে। বাবা আব্দুল হান্নান ছেলে আব্দুল মান্নানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু ছেলে আব্দুল মান্নান বাবার সবকিছু মেনে নিলেও বিয়েতে রাজি হয় না। কারণ, সে যদি বিয়ে করে এবং বউ যদি বদ মেজাজের হয় তাহলে সে তার বাবার সঙ্গে বেয়াদবি করতে পারে, যা মান্নানের পক্ষে কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া সম্ভাব না। এরই মধ্যে একদিন বাবা আব্দুল হান্নান ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় স্ট্রোক করেন। ছেলে আব্দুল মান্নান মনে করেন তার বাবার ঘুমের কোন রোগ হয়েছে। সে বাবাকে দ্রুত ঢাকায় হসপিটালে নিয়ে আসেন। দুই-তিন দিন অতিবাহিত হলে বাবার ঘুম না ভাঙায় ছেলে মান্নান খুব চিন্তায় পড়ে যায়। সে ডাক্তার নার্স সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে এবং বলে তাদের গাছের ফল, পুকুরের মাছ, গরুর দুধ ইত্যাদি উপহার দেবে কিন্তু তার বিনিময়ে ডাক্তার নার্সরা যেন তার বাবার ঘুম ভাঙ্গার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার বাবার ঘুম কি আদৌ ভাঙ্গে? এমনই দুঃখ জাগানিয়া কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘আমার বাবা’। প্রসঙ্গত গত ঈদ-উল আযহায় বৈশাখী টিভিতে প্রচার হয় ‘মধ্য রাতের সেবা’ নাটকের মাধ্যমে ভারইরাল হন রাশেদ সীমান্ত। এ নাটক প্রচারের পরে আলোচনায় আসেন তিনি।
×