ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পানি সম্পদের নামে নতুন ক্যাডার

পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিদফতর হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিদফতর হচ্ছে

তপন বিশ্বাস ॥ পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিদফতর হচ্ছে। একইসঙ্গে পানিসম্পদ নামে নতুন একটি ক্যাডারও করতে যাচ্ছে সরকার। এই লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১৯’ এর খসড়া তৈরি করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। খসড়া আইন ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড’কে ‘বাংলাদেশ পানিসম্পদ অধিদফতর’-এ রূপান্তর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পানিসম্পদ)’ নামে নতুন একটি ক্যাডার গঠনের কথাও বলা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত হচ্ছে ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০০০’ এর মাধ্যমে। পদোন্নতিসহ চাকরির ভাল সুযোগ-সুবিধা না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ দেয়া বেশিরভাগ প্রকৌশলীকে ধরে রাখা যায় না, মেধাবীরা আসতেও চান না। এজন্য পানিসম্পদ ক্যাডার গঠন এবং বোর্ডকে অধিদফতরে রূপান্তর করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অধিদফতর হলে সংস্থাটির কাজে আরও গতিশীলতা আসবে বলেও মনে করছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, এ বিষয়ে (পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অধিদফতর করা) একটি খসড়া আইন করেছি। যদিও এটি এখনও একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই আছে। এটা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের (সংশ্লিষ্ট) সঙ্গে কনসাল্টেশন (পরামর্শ) হবে। আরও নানা ধাপ পেরিয়ে তারপর এটি চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে আমরা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করি, কিন্তু প্রতিবছর ৪০ শতাংশই চলে যান। ভাল সুযোগ পেলেই চলে যায়। বোর্ডে যেহেতু পদোন্নতিসহ চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কম, তাই ভাল ছেলেরা আসতেও চায় না। তারা মনে করে ক্যাডার সার্ভিসে চাকরি করা প্রেস্টিজিয়াস বটে, তাই সুযোগ পেয়ে চলে যায়। সেজন্য বোর্ডের অনেক পদ সবসময়ই শূন্য থাকে। সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডেল্টা প্ল্যানসহ অন্যান্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমরা মনে করছি এটি অধিদফতর হলে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিনক্রোনাইজেশন ইত্যাদি আরও ভাল হবে। আরও নানাবিধ বিষয় নিয়ে আমরা ভাবছি, যে কারণে বোর্ডকে অধিদফতর করা হচ্ছে। বোর্ডের মতোই একই রকমের কাজই পানিসম্পদ অধিদফতর করবে। তারা প্রজেক্ট নেবে বাস্তবায়ন করবে। তবে কাজের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা কমবে এবং এটি আরও গতিশীল হবে। খসড়া আইন অনুযায়ী, অধিদফতরের একজন মহাপরিচালক ও সর্বোচ্চ ছয় অতিরিক্ত মহাপরিচালক থাকবেন। মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং চাকরির শর্তাবলী সরকার নির্ধারণ করবে। মহাপরিচালক অধিদফতরের প্রধান নির্বাহী হবেন। পানিসম্পদের সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পানিসম্পদ)’ নামে একটি ক্যাডার থাকবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) জন্য প্রযোজ্য সব আইন ও বিধিবিধান এই ক্যাডার সার্ভিস ও এর সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
×