ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

থাইল্যান্ডের কাছে আরও ৩৬ পণ্যে বাণিজ্য সুবিধা চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৯ জানুয়ারি ২০২০

থাইল্যান্ডের কাছে আরও ৩৬ পণ্যে বাণিজ্য সুবিধা চাইল বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) সভায় থাইল্যান্ডের কাছে আরও ৩৬ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইল বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দুদিনব্যাপী জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) ৫ম সভায় বাংলাদেশের পক্ষে এ সুবিধা চান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে পণ্য রফতানি ক্ষেত্রে ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা প্রয়োজন। আরও ৩৬টি পণ্য থাইল্যান্ডে রফতানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হলে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়বে এবং বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে। উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী ৩৬টি পণ্যের তালিকা থাই কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো থাইল্যান্ড সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে সভায় জানানো হয়। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন। উভয় দেশ কৃষি ও স্বাস্থ্য সেবা খাতে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একমত হয়েছে। জয়েন্ট ট্রেড কমিটির ৫ম সভায় থাইল্যান্ডের পক্ষে সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী জুরিন লাকসানানাওসিত নেতৃত্ব দেন। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমূল কোয়াওনি ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে হেল্থ সেক্টরে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, থাইল্যান্ড যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে উন্নত মানের হসপিটাল নির্মাণ করলে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা প্রদান করবে। এতে করে উভয় দেশে উপকৃত হবে। থাইল্যান্ডের মেডিক্যাল সেক্টরের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশ সফর করলে বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪৪.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৯৫২.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, সামুদ্রিক মৎস্য ও অন্যান্য প্রাণিজ পণ্য, কাগজ ও কাগজের পাল্প, সাবান, প্লাস্টিক পণ্য এবং রাবার রফতানি করছে। বাংলাদেশের আরও অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে থাইল্যান্ডে। রফতানি বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে রফতানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ ‘ওয়ান বেল্ড ওয়ান রোড’ উদ্যোগের সদস্য, এতে উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাভবান হবে। বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিটির ৬ষ্ঠ সভা সুবিধাজনক সময় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
×