ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এপির দশকসেরা সেরেনা

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

এপির দশকসেরা সেরেনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাসোসিয়েশন প্রেস (এপি)’র গত দশকের সেরা প্রমীলা এ্যাথলেট নির্বাচিত হয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। গত ১০ বছর ধরে অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দেয়ার সৌজন্যেই এই পুরস্কার নিজের শোকেসে তুলেন আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি। সেরেনার পর দ্বিতীয় হয়েছেন সিমোন বিলেস। তৃতীয় হয়েছেন কেটি লিডেকি। এছাড়া চতুর্থ এবং পঞ্চম হয়েছেন যথাক্রমে স্কি তারকা লিন্ডসে ভন ও মিকায়েলা শিফ্রিন। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৩টি মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। যার মধ্যে গত দশকে জিতেছেন ১২টি। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার এমন পারফর্মেন্সের ধারে কাছেও নেই কেউ। এই পরিসংখ্যানটাই সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছে টেনিসের এই কৃঞ্চকলিকে। গত ১০ বছরে একজনের সর্বোচ্চ তিনটি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের রেকর্ড আছে কেবল। শুধু তাই নয়, ২০১২ সালে অলিম্পিকের একক এবং দ্বৈতেও স্বর্ণপদক জিতেন সেরেনা। বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাবলসের স্বর্ণ জেতেন তিনি। এছাড়া পেশাদার টেনিসে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবেও মহিলা এককে গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের রেকর্ডটাও সেরেনা উইলিয়ামসের দখলে। গত সেপ্টেম্বরে আটত্রিশে পা রেখেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। কন্যা সন্তানের জননীও হয়েছেন তিনি। তথাপি টেনিস কোর্টে তার দাপট অব্যাহত। গত দুই বছরে মেজর কোন শিরোপার দেখা পাননি সেরেনা। তারপরও সন্তান জন্মের পর টেনিস কোর্টে লড়াই করে গেছেন নিয়মিত। ২০১৭ সালে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হন আমেরিকান তারকা। সেটাই তার ক্যারিয়ারের শেষ মেজর শিরোপা। নতুন মৌসুমে সেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়েই বছর শুরু করবেন তিনি। তবে কোমরের ইনজুরির কারণে ২০২০ সালের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা হচ্ছে না বৃটিশ তারকা এ্যান্ডি মারের। ৩২ বছর বয়সী এই স্কটিশ তারকা গত মাসে ব্রিটেনের হয়ে ডেভিস কাপ খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। ইনজুরির কারণে জানুয়ারির শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এটিপি কাপেও অংশ নিতে পারছেন না মারে। সে জন্য হতাশা প্রকাশ করেছেন গ্রেট ব্রিটেনের এই সফল প্রতিনিধি। এ প্রসঙ্গে এ্যান্ডি মারে বলেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ে নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণের জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে না পারাটা সত্যিই হতাশার। ’ জানুয়ারিতে কোমরের অস্ত্রোপচারের পর মারের আশা ছিল মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মাধ্যমে গ্র্যান্ডস্লামে ফিরে আসা। কিন্তু মিয়ামিতে অনুশীলন সেশনের পর পাঁচবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফাইনালিস্টের ইনজুরির কারণে আর কোর্টে নামা হয়নি। এক সংবাদ সম্মেলনে মারে মেলবোর্ন পার্কে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জুনে লন্ডনে কুইন্স ক্লাব গ্রাস কোর্ট ইভেন্টের মাধ্যমে আবারও কোর্টে ফিরেন তিনি। অক্টোবরে ইউরোপিয়ান ওপেন জয়ের মাধ্যমে নিজেকে আবারও শীর্ষ পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দেন মারে। কিন্তু সাম্প্রতিক ইনজুরি সেই অপেক্ষাটা আরও বাড়িয়ে দিল তার। এখন মারেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে টেনিস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ক্রেইগ টিলে বলেন, ‘আমি জানতাম এখানে খেলার জন্য মারে কতটা উদগ্রীব ছিল। ২০২০ সালেও তার খেলা হচ্ছে না যা সত্যিই হতাশার। জানুয়ারিতে আমরাও তাকে দারুণ মিস করব। আশা করছি দ্রুতই সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে।’ আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে নতুন মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলবোর্নে চলবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। তারই প্রস্তুতি হিসেবে ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ দিনের জন্য সিডনি, পার্থ ও ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত হবে এটিপি কাপ।
×