ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ

পাকিদের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ১২:০৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

পাকিদের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবারই প্রথম এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট টিম। কিন্তু গ্রুপপর্বে দুর্দান্ত খেলেও ঘরের মাঠে শিরোপা ছুঁতে পারল না তারা। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পাকিস্তান ইমার্জিং টিমের কাছে ৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে রানার্সআপ হয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাট করে রোহেল নাজিরের ১১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকরা। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৩.৩ ওভারে মাত্র ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে তৃতীয়বার এই আসরের ফাইনাল খেলে প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো পাকিস্তান ইমার্জিং ক্রিকেট টিম। ২০১২ সালে জাতীয় দলের এশিয়া কাপে প্রথমবার ফাইনালে উঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেই খেলেছিল বাংলাদেশ এই মিরপুরে। কিন্তু ২ রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল, এবার ইমার্জিং কাপেও একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে হারল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে পাকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দারুণভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশের উদীয়মান বোলাররা। দলীয় ৪১ রানেই দুই উইকেট তুলে নেন ডানহাতি পেসার সুমন খান। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে রোহেল ও ইমরান রফিক বাংলাদেশের শুরুর সেই সাফল্য ম্লান করে দেন ১১৭ রান যোগ করে। এরপরও পাকিস্তানের ইনিংসটা খুব বড় হবে তা বোঝা যায়নি। ইমরানও ৮৮ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে রোহেল ও অধিনায়ক সৌদ শাকিল চতুর্থ উইকেটে দ্রুতবেগে ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেন। রোহেল ১১১ বলে ১২ চার, ৩ ছক্কায় ১১৩ রানে বিদায় নিলেও শাকিল ৪০ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। পরে খুশদিল শাহ ১৬ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২৭ ও আমাদ বাট ৭ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৫ রান করলে শেষ ১০ ওভারেই ৯৭ রান তোলে পাকরা। শুরুটা ভাল করলেও সুমন ও সৌম্য সরকার ছিলেন দারুণ খরুচে। সুমন ১০ ওভারে ৭৫ রানে ৩ উইকেট নিলেও সৌম্য ১০ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ৫২ রানে ২ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ। জবাব দিতে নেমে দারুণভাবে শুরু করেছিলেন নাইম শেখ ও সৌম্য। কিন্তু দ্রুতই বিদায় নেন তারা, দলীয় ৪১ রানেই দু’জনকে হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী ৫১, সপ্তম উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসানের ৪৮ রানের জুটি ছাড়া বড় কোন জুটি দেখা যায়নি। শান্ত ৫৩ বলে ৫ চারে ৪৬, আফিফ ৫৩ বলে ৪ চার, ১ ছক্কায় ৪৯ ও মেহেদী ৪৫ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় ৪২ রান করেন। ৩৩ বল বাকি থাকতেই ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। পাক পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ৩টি এবং খুশদিল ও সাইফ বদর ২টি করে উইকেট নেন। গ্রুপপর্বে হংকং, নেপাল ও ভারত এবং সেমিতে আফগানিস্তানকে দাপটের সঙ্গে উড়িয়ে দিলেও ফাইনালে এসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭৭ রানের হারে চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সৌম্য।
×