ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ু দূষণ কমালেও সমুদ্রের উচ্চতা বাড়বে

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ৬ নভেম্বর ২০১৯

বায়ু দূষণ কমালেও সমুদ্রের উচ্চতা বাড়বে

২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হলেও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা নাটকীয়ভাবে বাড়তেই থাকবে। সোমবার প্রকাশিত সমীক্ষায় বিজ্ঞানীয়রা এই সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি গৃহীত হয়েছিল। ওই চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে সাগরে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণসহ যেসব ঘটনা ঘটছে তা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ সাগরপৃষ্ঠে উচ্চতা ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবে। জার্মানির একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণা করেছেন। ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেয়ের (পিএনএএস) এ সংক্রান্ত এক গবেষণার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায়, ২৩০০ সাল নাগাদ সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ১৯৮৬-২০০৫ সাল পর্যন্ত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করে পিএনএএস। গবেষণায় দেখা গেছে যে, আগামী ১১ বছর কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নেমে এলেও ২০৩০ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অন্তত এক মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তবে এই অনুমানটি অনেকটা রক্ষণশীলভাবে করা হয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের অপর একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি শতকের শেষদিকে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৬-৭৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তবে ২০৩০ নাগাদ সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন ও ভারতের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে বলে গবেষকদলের প্রধান জানান। বার্লিনের জলবায়ু বিশ্লেষক বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও এই গবেষণা দলের সহ প্রধান আলেক্সান্ডার নুয়েলস বলেন, বর্তমানে কার্বন নিঃসরণের হার দেখে মনে হচ্ছে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধিতে এটি সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলবে। আগামী ২০০ বছরে এর মারাত্মক পরিণতি সামনে আসবে। তিনি বলেন, আমরা মূলত একুশ শতক নিয়ে ভাবছি শুধু একুশ শতক নিয়ে চিন্তা করলে এরপর আরও কঠিন সময় আসতে পারে। এতে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করতে পারে। আলেক্সান্ডার নুয়েলস বলেন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি কার্যত অনেকগুলো কঠিন শর্তের ওপর নির্ভর করে। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের সমস্যা সামনে আসে। আর এই বিষয়টি নিয়ে প্রকৃত গবেষণাও অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। -ইয়াহু নিউজ
×