ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিকের ব্যাট না বিপ্লবদের বোলিং, ঠিক কোন জায়গায় ভারতকে টেক্কা দিল বাংলাদেশ?

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৫ নভেম্বর ২০১৯

মুশফিকের ব্যাট না বিপ্লবদের বোলিং, ঠিক কোন জায়গায় ভারতকে টেক্কা দিল বাংলাদেশ?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এতদিন ভারতের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে তিন ফরম্যাটের একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। রবিবার ভারতের রাজধানীতে ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন মুশফিকুর রহীমরা। দিল্লীর মাঠে ঠিক কোন জায়গায় রোহিত শর্মাদের নাকাল করল বাংলাদেশ? দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের জয়ের কারণ। টি২০ ক্রিকেটে শুরু থেকেই রানের ফোয়ারা ছোটে। প্রথম বল থেকেই ব্যাটসম্যানরা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন। রবিবাসরীয় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটিংকে কেমন যেন গুটিয়ে থাকতে দেখা গেল। টি২০ ক্রিকেট মানে গতিশীল এক খেলা। ভারতীয়দের শরীরী ভাষাতেও সেই গতি দেখা যায়নি। ২০ ওভারে ১৪৯ রান কঠিন কোন টার্গেট একেবারেই নয় আজকের দিনে। এত কম রান তুলে তাই শুরুতেই ম্যাচটা হেরে গেল ভারত। ভারতের এই ব্যাটিং লাইনআপের অভিজ্ঞতা কম। টি২০ বিশ্বকাপের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ভারতীয় দল। অনেক তরুণ মুখের ভিড় এই দলে। রোহিত শর্মা দ্রুত ফিরে যাওয়ায় ভারতের বড় স্কোর করার স্বপ্নও তাই শেষ হয়ে যায়। শিখর ধাওয়ান দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু সেভাবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তিনি। ঋষভ পন্থের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যাওয়ায় ভারত ধাক্কা খায়। শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পন্থ, শিবম দুবেদের সামনে সুযোগ ছিল কিছু করে দেখানোর। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে। ভারত রান তাড়া করায় দক্ষ। শুরুতে ব্যাট করে রান আটকে রাখার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে তাদের। বিশ্বকাপের আগে এ দিকেই জোর দিচ্ছে ভারতীয় দল। ১৪৮ রান করে সেই রান আটকে রাখতে পারেনি ভারতীয় দল। এই রান ধরে রাখতে হলে শুরু থেকেই উইকেট তুলতে হতো। সেটাই পারেনি ভারত। আফিফ, বিপ্লব, শফিউল ইসলামের মতো বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিলেন। সাকিব, মাশরাফি, তামিমরা না থাকলেও ভারতের ব্যাটসম্যানদের খোলস থেকে বেরোতেই দিল না বাংলাদেশের বোলিং। বাংলাদেশের ইনিংসের সময়ে রিভিউ নিতে ভুল করে ভারত। যুজবেন্দ্র চাহালের দুটো ডেলিভারি মুশফিকুর রহীমের প্যাডে লাগার পরেও রিভিউ নেয়নি ভারত। দুই ক্ষেত্রেই ভুল করেন পন্থ। রিপ্লেতে দেখা যায় ওই দু’বারই মুশফিক আউট ছিলেন। ভারতের ফিল্ডিংয়ে ধার ছিল না। খেলার মোক্ষম সময়ে মুশফিকুরের ক্যাচ ছেড়ে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। বোলিং বিভাগেও রক্তাল্পতা দেখা গিয়েছে ভারতের। ১২ বলে ২২ রান দরকার এই অবস্থায় বল করতে এসে খলিল আহমেদ একাই ম্যাচটা তুলে দেন বাংলাদেশের হাতে। পর পর চার বলে চারটি চার মেরে মুশফিকুর রহীম ম্যাচের দখল নিয়ে নেন। মুশফিকুর অসাধারণ হয়ে উঠেছিলেন দিল্লীতে। মাঠের বাইরের ঘটনায় বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর এই বাংলাদেশ দলে মুশফিকই সিনিয়র। বহু ম্যাচ তিনি একাই বের করে দিয়েছেন। রবিবার সেটাই দেখা গেল। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৪৩ বলে ৬০ রান করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন মুশফিকুর। সূত্রÑ আনন্দবাজার
×