ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের বাজার বিদেশী মধুর দখলে

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

 দেশের বাজার বিদেশী মধুর দখলে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্রেতাদের আস্থাহীনতা ও বিপণনে পিছিয়ে থাকায় দেশের মধুর বাজার দখল করে আছে বিদেশী মধু। এতে মানসম্মত মধু উৎপাদন করেও প্রান্তিক চাষীদের মধুর বড় একটি অংশ অবিক্রিত রয়ে যাচ্ছে। স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ডিংয়ে এগিয়ে এলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মধু রফতানি সম্ভব বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। তবে বিসিকের দাবি, ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে আন্তর্জাতিক মানের প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। বাজারে খোলা বালতিতে কিংবা দোকানে বোতলজাত মধু বিক্রি হলেও সেগুলোর মান নিয়ে সন্দিহান ক্রেতারা। তাই বিশুদ্ধ ও খাঁটি মধুর খোঁজে মতিঝিলে বিসিক আয়োজিত মধুমেলায় নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন ক্রেতারা। সরিষা, কালিজিরা, ধনিয়া, লিচু ফুলসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছের চাক থেকে সংগৃহীত মধু মিলছে এই মেলায়। একই ছাদের নিচে রকমারি মধু পরখ করে কেনার সুযোগ পেলেও বাজারে বিক্রি হওয়া মধুরও মান নিশ্চিতের দাবি ক্রেতাদের। বিপননে সহায়তা না পাওয়া, ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে ভোগান্তি ছাড়াও মধু পরিবহনে খামারিদের চাঁদাবাজি ও পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেছেন বাণিজ্যিক মধু উৎপাদকরা। দেশী প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ডিংয়ে এগিয়ে এলে মধু আমদানি যেমন বন্ধ হবে তেমনি প্রক্রিয়াজাত মধু রফতানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। মধুর বাজার সম্প্রসারণে মৌ চাষীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকমানের প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে বলে জানায় বিসিকের জিএম খোন্দকার আমিলুজ্জামান। ৩৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে বছরে ১০ হাজার টন মধু উৎপাদন করে মৌ চাষীরা। বর্তমানে স্বল্প পরিসরে ভারত ও জাপানে কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত মধু রফতানি হচ্ছে।
×