স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রাঁচিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। বিশাখাপত্তমে ২০৩ রানে এবং পুনে টেস্টে ইনিংস ও ১৩৭ রানের বিশাল জয়ে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে ভারত। গড়েছে ঘরের মাটিতে টানা ১১টি সিরিজ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড। তবে সুপার বিরাট কোহলির দল এখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করাই নাম্বার ওয়ান দলটির একমাত্র লক্ষ্য। রাঁচির উইকেটের বিবেচনায় তিন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামতে পারে স্বাগতিকরা। সেক্ষেত্রে রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে যুক্ত হবেন রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব। অন্যদিকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফিরতে পারেন পেসার লুঙ্গি এনগিদি। কেশভ মহারাজ ইনজুরিতে পড়ায় দেশ থেকে উড়িয়ে আনা তরুণ বাঁহাতি স্পিনার জর্জ লিন্ডে একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন। সেনুরান মুথুসামি এবং ড্যান পিয়েট আগে থেকেই স্কোয়াডে আছেন। ইনজুরিতে পড়েছেন ওপেনার এইডেন মার্করামও। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল দশটায়।
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘টানা ১১টি সিরিজ জয়, যে কোন দলের জন্যই অসাধারণ ব্যাপার। তবে আমরা এমন রেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। আমরা প্রত্যেকটি ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। কারণ এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ ফরমেটে টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে। এই অবস্থায় সব ম্যাচই মহাগুরুত্বপূর্ণ। তাই জয়ের মধ্যেই থাকতে চাই আমরা। আশা করছি, সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে শেষ করতে সক্ষম হব আমরা।’ পুনে টেস্টে অপরাজিত ২৫৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে যেটি তার ১৯তম সেঞ্চুরি। রিকি পন্টিংয়ের সমান। রাঁচিতেই সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তার সামনে। অধিনায়ক হিসেবে ২৫ সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা গ্রায়েম স্মিথ। এই টেস্টে এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে পারেন কোহলি। ওদিকে টানা নয় টেস্টে হারা কুফা দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এই ম্যাচে অন্য কাউকে দিয়ে টস করাতে পারেন, ‘রাঁচিতে সম্ভবত টস করতে আমরা অন্য কাউকে পাঠাব। কেননা টসে আমার রেকর্ড খুব বেশি ভাল না এবং টস জয়ের পর প্রথম ইনিংসে আমরা যদি বড় স্কোর গড়তে পারি। এখন থেকে আমাদের এটা শুরু করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘টসে জিতলে প্রথম ইনিংসে রান পেলে তারপর সবকিছুই সম্ভব।’ প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘সেরা সাফল্য পেতে হলে মাঠে ভাল পারফর্মেন্স করতে হবে। যদি পারফর্মেন্স না করা যায়, তবে চেষ্টা করে যেতে হবে এবং সেরা পারফর্মেন্সের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে। ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর করতে পারছে না। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি হলেও পরের তিন ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরিভাবেই ব্যর্থ। আশা করছি, ব্যাটসম্যান-বোলাররা ঘুরে দাঁড়াবে এবং হোয়াইটওয়াশ রুখতে সক্ষম হবে। ম্যাচ হারলে সময়টা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়। তবে ভাল পারফর্মেন্স করার বিষয়ে ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী।’ ভারতীয় বোলারদের সামনে নিজেদের পুরোপুরিভাবে মেলে ধরতে পারছে না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওপেনার ডিন এলগার ও উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। এরপর থেকে রান খরায় ভুগছেন তারা। পাশাপাশি দলের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরাও।
তবে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাট কথা বলছে। ভারনন ফিল্যান্ডার ও কেশব মহারাজ দ্বিতীয় টেস্টে যথাক্রমে ৮১ ও ৯৪ রান করেন।