ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছত্রিশে ফেরার ঘোষণা ক্লিস্টার্সের!

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ছত্রিশে ফেরার ঘোষণা ক্লিস্টার্সের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০০৭ সালে প্রথমবার টেনিস থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিম ক্লিস্টার্স। কিন্তু টেনিসের প্রতি সীমাহীন প্রেম কোর্ট থেকে খুব বেশিদিন দূরে রাখতে পারেননি বেলজিয়ান তারকাকে। ২০০৯ সালেই টেনিসে ফিরেন তিনি। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো অবসরের ঘোষণা দেন চারটি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। এরপর কেটে যায় অর্ধযুগেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও সেই কোর্টের মায়া ভুলতে পারছেন না তিন সন্তানের জননী। যে কারণে আবারও টেনিস কোর্টে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কিম ক্লিস্টার্স। সবকিছু সঠিকভাবে এগোলে ২০২০ সালেই কোর্টে নামবেন ৩৬ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা। ডব্লিউটিএ ইনসাইডার পোডকাস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে কোন কিছু প্রমাণ করতে নয় বরং কোর্টে চ্যালেঞ্জ নিতেই বৃহস্পতিবার ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন ক্লিস্টার্স। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা বলেন, ‘আমার যে কিছু প্রমাণের আছে তা মনে করি না। বরং আমি মনে করি, এটা আমার জন্য একটা নতুন চ্যালেঞ্জ।’ সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে চারটি গ্র্যান্ডস্লামসহ ৪১টি ডব্লিউটিএ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ক্লিস্টার্স। সেরা সাফল্য তার ইউএস ওপেনেই। ফ্ল্যাশিং মিডোতে ক্যারিয়ারের তিনটি মেজর শিরোপা জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েছেন তিনি। ২০০৫ সালে প্রথম এই ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ইউএস ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হন বেলজিয়ান তারকা। ২০১০ সালে তৃতীয়বারের মতো মৌসুমের শেষ এই টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন তিনি। এর পরের বছরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন হন ক্লিস্টার্স। ২০০৩ সালে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থানটি দখল করেন তিনি। অথচ এখনও টেনিসের প্রতি সীমাহীন ভালবাসা ক্লিস্টার্সের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই খেলাটার প্রতি এখনও প্রচ- ভালবাসা আমার। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে আমার সক্ষমতা নিয়ে। তবে আমি নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই। আবারও শক্তিশালী হয়ে কোর্টে ফিরতে চাই আমি।’ সন্তান নেয়ার পরও যে সকল টেনিস তারকা সফল তাদের মধ্যে কিম ক্লিস্টার্সের নামটি অন্যতম। কেননা মা হওয়ার পরই যে তিন তিনটি গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছেন বেলজিয়ামের এই টেনিস তারকা। তাই মা হওয়ার পর টেনিস কোর্টে ফেরার যে অভিজ্ঞতা তা তারচেয়ে কেউ ভাল জানার কথা নয়। এই ক্লিস্টার্সই জীবন্ত কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসকে সতর্ক করে বলেছিলেন, টেনিস কোর্টে ফেরাটা সব মায়ের জন্য সহজ নয়। সন্তান জন্মের পর সেরেনা চারটি গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনাল খেলেছেন। কিন্তু তার সবকটিতেই হতাশা নিয়ে কোর্ট ছেড়েছেন। সদ্য সমাপ্ত ইউএস ওপেনের ফাইনালেও বিয়াঙ্কা আন্দেস্কুর কাছে হার মানেন সেরেনা উইলিয়ামস। অথচ সন্তান জন্মের ১৮ মাস পর ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন ক্লিস্টার্স। সন্তান হওয়ার আগে বেলজিয়ামের এই টেনিস তারকা জিতেছিলেন মাত্র একটি গ্র্যান্ডসøাম।
×