ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না ডোমিঙ্গো

প্রকাশিত: ১২:০১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না ডোমিঙ্গো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। কিন্তু প্রথম মিশনেই হার দেখেছেন দলের। টেস্ট ক্রিকেটের নবীন সদস্য দেশ আফগানিস্তানের কাছে একমাত্র টেস্টে হেরে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এবার ভিন্ন ফরমেটে শিষ্যদের নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ তার। ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ জিম্বাবুইয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কোচ ডোমিঙ্গো জানালেন, সামর্থ্য অনুসারে খেলতে পারলে বিশ্বের যে কোন দলকেই হারাতে পারে তার শিষ্যরা। তবে টি২০ ফরমেট বলেই তিনি আজ জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে জয়ের গ্যারান্টি দিতে পারছেন না, তবে সামর্থ্য অনুসারে সেরা পারফর্মেন্স দেখাবে বাংলাদেশ এতে আত্মবিশ্বাসী ডোমিঙ্গোর। আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে স্বাগতিক দল হয়েও ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর সতর্ক হয়েছেন ডোমিঙ্গো। ম্যাচের সময় চুপচাপ বসে থেকে অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পরামর্শ করে পারফর্মেন্সে উন্নতির জন্য কৌশলগত কিছু বিষয় বের করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘কৃতিত্বটা আফগানিস্তানই পাবে এবং আমাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অজুহাত থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের রেকর্ড দেখেন। আমাদের টেস্ট রেকর্ড তেমন ভাল নয়। তাই দলের গঠনগত দিক থেকে অনেক কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগুলোকে কার্যকর করে তুলতে হবে। আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু কৌশলগত বিষয় বের করেছি। আশা করছি সেই ব্যাপারগুলো ব্যবহার করতে পারব। আমি টেস্ট ম্যাচের সময় প্রথম ৫/৬ দিনে প্রচুর পরিমাণে শিখেছি। গত তিন সপ্তাহে অনেক কিছু শিখেছি এবং এই শেখার অভিজ্ঞতাটা আমার জন্য বিশাল। যথাযথ কাজের দিকে মনোযোগ দেয়া এবং তারা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চাপের মুখে কি করছে এসব শিক্ষা বেশ ভালভাবেই আমি পেয়েছি। আশা করছি এখন থেকে আমি কিছু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করতে পারব।’ টেস্ট ম্যাচের বিষয়টি ভুলে এখন টি২০ ফরমেটের দিকে মনোযোগী হতে হবে। সেদিকেই নজর এখন ডোমিঙ্গোর। টেস্ট ম্যাচে কোন পেসার না খেললেও টি২০ ম্যাচে কিছু ফাস্ট বোলার খেলাতে চান তিনি। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘এটা পুরোপুরিই ভিন্ন ফরমেট এবং ভিন্ন কন্ডিশন। আর অস্ট্রেলিয়ায় একটা বিশ্বকাপ আছে, তাই কিছু ফাস্ট বোলার খেলাতে হবে। আমার মনে হয় এটা খুবই জরুরী। নির্দিষ্টভাবে টেস্ট ক্রিকেট ও টি২০ ফরমেটে আগামী কয়েক মাস অনেক বেশি মনোযোগ দিতে হবে। ভাগ্যক্রমে, খুব বেশি পরিমাণে ওয়ানডে ক্রিকেট এখন নেই এবং অনেক বেশি টেস্ট ও টি২০ ক্রিকেট আছে, তাই আমরা এই দুটি ফরমেটে উন্নতির জন্য চেষ্টা করতে পারি ।’ কোচ হিসেবেও উন্নতির অনেক কিছুই দেখছেন তিনি। গত ৩ সপ্তাহ দলের সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছুই শিখেছেন ডোমিঙ্গো। এখন সেসবের প্রয়োগ ঘটাতে চান তিনি। প্রোটিয়া এ কোচ বলেন, ‘যখন সাদা বলের ক্রিকেট হয়, তখন বাংলাদেশ যে কাউকে হারাতে পারে তাদের দিনে। আমরা নিজেদের দলে কিছু বিশ্বমানের পারফর্মার পেয়েছি। এই দলটিতে গুণের এবং অভিজ্ঞতার কোন কমতি নেই। আমার মনে হয় আমরা সামর্থ্য অনুসারে যদি খেলি তাহলে আমাদের হারানো খুব কঠিন হবে।’ আজ জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে তরুণ কিছু খেলোয়াড়ও পাবে বাংলাদেশ দল। আছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান, ইয়াসিন আরাফাত মিশু। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের সংযোগ থাকায় দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না ডোমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘কিছু তরুণ এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সমন্বয় আছে, তাদের যদি ভালভাবে চালিয়ে নেয়া যায় এবং আমরা যদি কাজ করে যেতে পারি তাহলে পারফর্মেন্স করতে না পারার কোন কারণ দেখি না। আমরা প্রতিটি খেলায় জেতার জন্য এগিয়ে যাব। আমি আগামীকাল (আজ) জয়ের গ্যারান্টি দিতে পারি না। কিন্তু আমি যেটা বলতে পারি তা হচ্ছে নিশ্চিতভাবেই আমরা নিজেদের সেরা পারফর্মেন্সটাই দেব।’
×