ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

অবতার চলচ্চিত্র আমার চরিত্রকে কেন্দ্র করে -আমিন খান

প্রকাশিত: ১৩:২০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অবতার চলচ্চিত্র আমার চরিত্রকে কেন্দ্র করে -আমিন খান

‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’, ‘আজ গায়ে হলুদ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ছবির নায়ক আমিন খান। ১৯৯০ সালে ‘এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে’র মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় আমির খানের প্রত্যাবর্তন। ১৯৯৩ সালে মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘অবুঝ দুটি মন’ সিনেমা দিয়ে অভিষিক্ত হন তিনি। ক্যারিয়ারে প্রায় ১৬০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন আমিন খান। তবে এখন আর তাকে আগের মতো সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায় না। মাঝে দীর্ঘ সময় চলচ্চিত্র থেকে বিরতিতেও ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে আমিন খান অভিনীত নতুন কোন ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। সেই খরা কাটিয়ে আগামীকাল (১৩ সেপ্টেম্বর) এ অভিনেতার নতুন একটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। নাম ‘অবতার’। পরিচালনা করেছেন মাহমুদ হাসান শিকদার। এ ছবিতে আমিন খানের বিপরীত অভিনয় করেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। নতুন ছবি প্রসঙ্গে আমিন খান আনন্দকণ্ঠকে বলেন, ‘ছবির গল্প গড়ে উঠেছে মাদকাসক্তি নিয়ে। মাদকের কারণে তরুণ সমাজ অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় সব অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অবতার হিসেবে হাজির হই। ছবির নাম অবতার রাখা হয় মূলত আমার চরিত্রকে কেন্দ্র করেই। খুব ভাল লাগছে অনেক দিন পর আমার ছবি আসছে সিনেমা হলে। আমার সঙ্গে মানানসই কোন চরিত্র পাইনি বলে এতদিন অভিনয় করা হয়নি। এ ছবির চরিত্রটি ভাল লেগেছিল বলে অভিনয় করেছি। আশা করছি, অবতার ছবিটি সবার ভাললাগবে।’ বাংলা সিনেমার সঙ্কটকাল। ক্রমেই দর্শক হলবিমুখ হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আপনি কি মনে করেন আপনার এই সিনেমা দর্শক গ্রহণ করবে? ‘কতদিন পর আসছে সেটা বিষয় না। তবে এটুকু বলে রাখি অবতর ভাল গল্পের ছবি। দর্শককে হতাশ করবে না। অনেকদিন ধরেই তো অভিনয় করছি। তাই এখন একটু বিরতি দিচ্ছি। তাছাড়া নতুনদেরও কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। আমরা সবাই আমাদের সাধ্যের মধ্যে থেকে চেষ্টা করেছি ভাল কিছু করার। আশা করি দর্শক নিরাশ হবেন না।’ আমিন খানের ক্যারিয়ারের প্রতিটি ছবিই ছিল স্বপ্নের চরিত্র। দীর্ঘ জীবনে কোন অতৃপ্তি আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায়? আমিন খান; ‘যে চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছি প্রতিটি চরিত্রই পছন্দের ছিল। তবে খুব ইচ্ছে ছিল ’৭১-এর প্রেক্ষাপটের একটি গল্পে কাজ করার। যেটা নতুন প্রজন্ম, আমার সন্তানরা কিংবা আমার দর্শকরা আমাকে মনে রাখবে। কিন্তু সুযোগ এসেছে অনেকবার কিন্তু গল্প পছন্দ হয়নি। যার কারণে এখনও করা হয়নি। আগামীতে সুযোগ পেলে হাত ছাড়া করতে চাই না।’ বাংলাদেশে চিত্র জগতের বর্তমান যে অবস্থা তাতে করে এখানে নতুন নতুন অভিনয় শিল্পীর কোন সম্ভাবনার জায়গা কি আপনি দেখছেন? যদি দূর থেকে বলি সম্ভাবনার জায়গা নেই তাহলে তো হবে না। নেই নেই শব্দটি পরিহার করে খালি মাঠটি পূরণ করতে হবে। সম্ভাবনা আছে এবং সম্ভাবনার জায়গাটি কাজে লাগাতে হবে। তাছাড়া কাজ করতে করতেই সম্ভাবনা তৈরি হবে। চলচ্চিত্রের অবস্থা কেমন মনে হয়? ‘অনেক ভাল থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সেই অনুপাতে ভাল নেই। তবে চলমান জিনিসের উত্থান-পতন থাকবেই। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সবাই এক হয়ে পরিকল্পনা করে কাজ করলে উত্তারণ সম্ভব।’ এখনকার চলচ্চিত্রে কি ধরনের শূন্যতা রয়েছে? ‘সবচেয়ে বড় শূন্যতা সঠিক দিক নিদের্শনার অভাব। নেতৃত্বের শূন্যতা, জ্ঞানের অভাব। সঠিক নেতৃত্বের অভাবেই চলচ্চিত্রে সমস্যা বেশি হচ্ছে। এগুলো বিকাশিত করলে শূন্যতায় পূর্ণতা পাবে। সমষ্টিগতভাবে বিকাশ ঘটাতে হবে। এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাও দরকার। একটি দেশের মেরুদণ্ড শিল্প। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি করলেই হবে না শিল্প সাহিত্যরও উন্নয়ন করতে হবে। শিল্প সাহিত্য ছাড়া কোন দেশ উন্নত করতে পারে না। চলচ্চিত্র শিল্প বিশাল জায়গা দখল করে আছে।’ প্রসঙ্গত, আমিন খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ ছবি ‘এক জবানের জমিদার’। এটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। এ অভিনেতার ‘সাহসী যোদ্ধা’ ও ‘দুদু মিয়া’ নামে দুটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। চলচ্চিত্রে নেতৃত্বের অভাব- আমিন খান
×