অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পিপলস লিজিং এ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফসিএল) এর দায়দেনা হিসাব করতে একটি অডিট ফার্মকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টস ফার্ম ‘একনাবিন’ কে পিপলস লিজিংয়ের গত চার বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করার দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ‘একনাবিন’ নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে। নিরীক্ষা শেষে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা টাকা আদায় সাপেক্ষে আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধ করা শুরু হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও পিপলসের অবসায়ক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান বলেন, পিপলস লিজিংয়ে একটা স্পেশাল অডিট করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির গত চার বছরের আয়-ব্যয় অর্থাৎ ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোম্পানির যাবতীয় কার্যক্রম অডিট করা হবে। তবে এটা শেষ করতে কত সময় লাগবে, তা এখন বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম বলেন, পিপলসের দায়, দেনা পরিশোধে একটি অবসায়ক হিসাব খোলা হবে। এই হিসাব থেকেই পরবর্তীতে সব লেনদেন করা হবে। কেউ টাকা জমা দিলে এই হিসাবে জমা হবে। আবার কারও টাকা পাওনা থাকলে তাকেও এই হিসাব থেকে টাকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘পিপলস লিজিং থেকে আগামী সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন দেয়া হবে। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির দেনা পাওনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ, দেনার পরিমাণ এবং সম্পদ কোথায় কার কাছে রয়েছে তার বিস্তারিত থাকবে।
কতদিন নাগাদ পিপলসের আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমানতকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ আগে টাকা পেলে তারপর তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে। কারণ পিপলস লিজিংয়ের এ্যাসেট বলতে তেমন কিছু নাই। সম্পদ বলতে রয়েছে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে প্যারামাউন্ট হাইটসে মোট ১৪ হাজার স্কয়ার ফিট আয়তনের ২টি ফ্লোর, কয়েকটি গাড়ি এবং নগদ ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পিপলসের সবচেয়ে বড় এ্যাসেট হলো বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ঋণ। এই ঋণ তাদের মূল এ্যাসেট। এটা আদায় সাপেক্ষে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৪ নবেম্বর পিপলস লিজিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন পায়। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।