ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের সামনে এবার আফগানিস্তান

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৩ আগস্ট ২০১৯

বাংলাদেশের সামনে এবার আফগানিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুঃস্বপ্নের এক সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের সামনে আছে আফগানিস্তান। যদিও হাতে অনেক সময় আছে। ৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আগে ৩৪ দিন হাতে সময় আছে। ২০ আগস্ট থেকে হয়তো বাংলাদেশের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অস্বস্তির এক সিরিজ শেষ হয়েছে। অনেকটা লজ্জাই মিলেছে। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এমন বাজে খেলা যে এর আগে কখনই দেখা যায়নি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এবার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ে নিচে থাকা কোন দলের বিরুদ্ধে দুই বা ততধিক কোন দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে কখনই এর আগে হোয়াইটওয়াশ হয়নি বাংলাদেশ। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হলো। শ্রীলঙ্কা র‌্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে আছে। বাংলাদেশ আছে সাত নম্বরে। র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে দুঃস্বপ্নের এক সিরিজ উপহার দিল শ্রীলঙ্কা। এই সফর শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এখন ১৯ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে পারবেন ক্রিকেটাররা। যদিও মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটাররা টানা ১৮ দিন বিশ্রাম নেবেন না তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। নিজেরাই অনুশীলনে নেমে যাবেন। তামিমের তো নিজেকে ফিরে পেতে অনুশীলনের বিকল্প পথও নেই। বিশ্বকাপ খেলে এসে ১৯ দিন পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নেমে যায় বাংলাদেশ দল। প্রথম ওয়ানডেতে ৯১ রানে হারে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজ হার হয়। শেষ ওয়ানডেতে ১২২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। এর আগে ২০১০ সালে হল্যান্ডের কাছে এক ম্যাচের সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ে নিচে থাকা জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে হারলেও কখনই হোয়াইটওয়াশ হয়নি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে এবার উড়ে গেছে তামিমবাহিনী। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪তম অধিনায়ক হন তামিম। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি। তার নেতৃত্বে সবচেয়ে বাজে হার হলো। তিনি নিজেও ব্যাট হাতে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা সিরিজে লড়াইও করতে পারলেন না। বিশ্বকাপে বোলার-ফিল্ডাররা ব্যর্থ হয়েছেন। সেই ব্যর্থতা এবারও চোখে পড়েছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা তো বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছেন। তারাও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে হাবুডুবু খেয়েছেন। প্রথম ওয়ানডেতে ৪১.৪ ওভারে ২২৩ রানের বেশি করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে ২৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি। তৃতীয় ওয়ানডেতে আরও বেহাল দশা হয়েছে। ৩৬ ওভারে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় ক্রিকেটারদের এখন বিশ্রাম দরকার। বিশ্রাম নিয়ে নিজেদের আবার ফিরে পাবেন এমন আশাই করা হচ্ছে। বিশ্রামও পাচ্ছেন দীর্ঘ সময়ই। এ বিশ্রাম শেষে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে নামতে হবে। প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এ টেস্টটিতে নৈপুণ্য দেখিয়েই ব্যাটসম্যান-বোলাররা আবার ছন্দে ফিরবেন সেই আশাও করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচটি শেষে আবার টি২০ সিরিজও রয়েছে। দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ হতে পারে। যদিও জিম্বাবুইয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জিম্বাবুইয়েকে নির্বাসিত করায় সিরিজে তারা থাকছে না। তাই অন্য কোন দল মিললে ভাল না হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ হতে পারে। সিরিজে আরেকটি টি২০ বাড়তেও পারে। আফগানদের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ দিয়ে আবার ২০২০ সালের টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মিশনও শুরু করে দেবে বাংলাদেশ। এ সিরিজ থেকেই টি২০’র দল গুছানোও শুরু হয়ে যাবে। সাকিবের নেতৃত্বে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল প্রস্তুত হওয়াও শুরু করে দেবে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে এখন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের হতাশা দূর করতে হবে।
×