ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ উইমেন এ্যাওয়ার্ড প্রদান

অপরাধ দমনে কোন ছাড় নয় ॥ চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২৮ জুন ২০১৯

অপরাধ দমনে কোন ছাড় নয় ॥ চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সারাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনা ও অপরাধীদের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে পুলিশের ‘বাংলাদেশ উইমেন এ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। মন্ত্রী বলেন বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের কোন ছাড় নেই। অপরাধীদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেয়া হবে না। বিচার অবশ্যই করা হবে। রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। রোহিঙ্গারা যেন শিবির ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে না পারে সেজন্য তারকাঁটার বেড়া দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ শিবিরের বাইরে ও ভেতরে কোথাও যেন তারা অপরাধ করতে না পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারী পুলিশের সংখ্যা মোট পুলিশ সদস্যের কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগে উন্নীত করতে হবে। নারী পুলিশরা এখন আর দাফতরিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত নয়। কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পর্যন্ত নারী পুলিশের অবস্থান রয়েছে। রাস্তায়ও নারী পুলিশ ট্রাফিকের কনস্টেবল ও সার্জেন্টের কাজ করছে। ইউএন মিশনেও এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮০ জন নারী সদস্য কাজ করেছে। আরও ১৫০ জন নারী সদস্য মিশনে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ কলেজকে মাস্টার্স পর্যন্ত উন্নীত করতে হবে। সাসটেইনেবল পিসের জন্য জঙ্গী, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ২০৩০ সাল বা ২০৪০ সাল বলে কোন কথা নয় অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স। এই প্রথমবারের মতো পুলিশে কোন পুরুষ কর্মকর্তা ‘বাংলাদেশ উইম্যান এ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এর ‘প্রমোশন অব জেন্ডার সেনসিভিটি’ ক্যাটাগরিতে ক্রেস্ট পেয়েছেন। সিএমপি’র কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীনসহ পুলিশের নয় মহিলা সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে ‘বাংলাদেশ উইম্যান এ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ হিসেবে ক্রেস্ট নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেয়া হয়েছে নারী পুলিশ শুধু নারীদের পক্ষে কাজ করবে তা নয়। যেসব পুলিশ সদস্য মহিলা বিষয়ে কাজ করবেন এখন থেকে এই এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হবেন। নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ৯ জন সাহসী, নির্ভীক ও দায়িত্বশীল নারী পুলিশ ও একজন পুরুষ পুলিশ সদস্যকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মহিলা এমপি ওয়াসিকা আয়শা খানম, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. জাবেদ হোসেন পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন ও জেলা পুলিশের ডি আই জি খন্দকার গোলাম ফারুক এবং পুলিশের নারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাবিবা জাবেদ পুলিশে নারীদের অবস্থান ও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। জমকালো এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, পুলিশে নারী সদস্যের সংখ্যা ৫০ ভাগ হওয়া উচিত। কারণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীরা এখন প্রায় ৬০ শতাংশ।
×