ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চার ফিফটিতে ইংল্যান্ডের পুঁজি ৩১১

প্রকাশিত: ১০:১৯, ৩১ মে ২০১৯

 চার ফিফটিতে ইংল্যান্ডের পুঁজি ৩১১

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুরুটা হয়েছিল চমকে দেয়ার মতো। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে স্বাভাবিকভাবেই পেসবান্ধব উইকেট হওয়াতে পেসারদের দিয়েই বোলিং আক্রমণ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু লেগস্পিনার ইমরান তাহির দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং শুরু করে ইতিহাস পাল্টে দিলেন বিশ্বকাপের, দ্বিতীয় বলেই জনি বেয়ারস্টোর (০) উইকেট তুলে নিয়ে আরেকটি বিস্ময়ের জন্ম দিলেন। শুরুটা এমন ধাক্কা খেয়ে হলেও সামলে নিয়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপের হট-ফেবারিট আয়োজক ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১১ রান তুলেছে। অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ৭৯ বলে ৯ চারে সর্বোচ্চ ৮৯, অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪ ও জো রুট ৫১ রান করেন। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ৪০ বছর ৬৪ দিন বয়সে প্রোটিয়া সর্বজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে নামা তাহিরের রেকর্ড দিয়ে বাড়তি আকর্ষণ নিয়েই শুরু হয়েছে। পেস স্তম্ভ ডেল স্টেইনকে ছাড়া খেলতে নেমে দারুণ বোলিং করা প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি এনগিদি। দু’টি করে উইকেট নেন তাহির ও কাগিসো রাবাদা। এবারের মতো আগে আর কোন বিশ্বকাপে এমন হট-ফেবারিট তকমা গায়ে নিয়ে খেলেনি ইংল্যান্ড। একেতো স্বাগতিক, তারপর আবার বর্তমানে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। আবার সাম্প্রতিক ফর্মে সবগুলো দলকে উড়িয়ে দেয়ার মতো ঘটনাক্রম কিছুটা চাপেই ফেলেছে ইংলিশদের। এ কারণেই উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামার পর ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হয়েছে তাদের। ফর্মের তুঙ্গে থাকা মারকুটে ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (০) ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম কোন স্পিনার হিসেবে লেগস্পিনার তাহির বোলিং শুরু করে রেকর্ড গড়লেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলার রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। স্পিনার হিসেবে দ্রুততম উইকেট শিকারের রেকর্ডটাও দখলে নিয়েছেন। এমন অবিস্মরণীয় ঘটনায় বিশ্বকাপের আকর্ষণ একদম শুরুতেই বেড়ে গেল বহুগুণে। তাহিরের দেয়া এমন আঘাতেই যেন বিমূঢ় হয়ে যায় ইংলিশরা। আসলে তাহিরকে বল হাতে দেখেই ঘাবড়ে গিয়েছিল ইংলিশ টপঅর্ডার। সেই চমকটা কাজে লাগিয়ে স্বাগতিকদের ধাক্কাটা ভালই দিয়েছিল প্রোটিয়া শিবির। প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগেনি ইংল্যান্ডের। নিজেদের ধাতস্থ করে নেয় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন জেসন ও রুট। তাহিরকে সামলাতে হিমশিম খেয়ে গেলেও অপরপ্রান্তে আসা পেসারদের সাবলীলভাবেই মোকাবেলা করেছেন দু’জন। পরে তাহিরকেও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে দু’জনেই অর্ধশতক তুলে নেন। আন্দিলে ফেলুকোয়াও এসে ৫৩ বলে ৮ চারে ৫৪ করা জেসনকে ফিরিয়ে দেন। পরের ওভারেই ৫৯ বলে ৫ চারে ৫১ করা রুটকে সাজঘরে ফেরান রাবাদা। ম্যাচ জমে ওঠে। তবে চতুর্থ উইকেটে মরগান-স্টোকস জুটির ব্যাটে সাড়ে তিন শ’ রানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। মরগান ৬০ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরলে পরে একাই লড়েছেন স্টোকস। সে কারণেই রান বেশি বাড়েনি। তিনিও ৪৯তম ওভারের শেষ বলে এনগিদির শিকার হন। স্টোকস ৭৯ বলে ৯ চারে ৮৯ রান করেছিলেন। ৮ উইকেটে ৩১১ রান তোলে ইংলিশরা। ইনজুরি সমস্যায় স্টেইন না খেললেও এনগিদি (৩ উইকেট) ও রাবাদা (২ উইকেট) দারুণ বোলিং করে অভাবটা পূরণ করেন প্রোটিয়াদের।
×