ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভিসা জটিলতা- চাইনিজ তাইপের লীগে সাবিনার খেলা নিয়ে সংশয়

প্রকাশিত: ১১:৫১, ৫ মে ২০১৯

ভিসা জটিলতা- চাইনিজ তাইপের লীগে সাবিনার খেলা নিয়ে সংশয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল এই অনাহূত ঘটনা। একে কি বলবেন সাবিনা খাতুন, অদৃষ্ট নিয়তি? বাংলাদেশ জাতীয় নারী মহিলা ফুটবল দলের এই অধিনায়ক ও তারকা ফরোয়ার্ড আবারও শিকার হয়েছেন ভিসা বিড়ম্বনার। ফলে তার চাইনিজ তাইপে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার। সেখানকার প্রিমিয়ার লীগের দল হ্যাং ইউয়ান ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলার কথা ছিল সাতক্ষীরার মেয়ে সাবিনার। বাংলাদেশে তাইপে দূতাবাস না থাকায় দিল্লীতে গিয়ে ভিসার আবেদনও করেছিলেন ২০১০ সাল থেকে টানা জাতীয় দলে খেলা সবিনা। কিন্তু সময়মতো ওয়ার্ক পারমিট না হওয়ায় ভিসা জোটেনি তার ভাগ্যে। আর এই ক্লাবে খেলার জন্য তারই আরেক সাবেক ক্লাব ভারতের সিথু এফসির অফার গ্রহণ করেননি সাবিনা। ফলে এখন সন্দেহাতীতভাবেই আক্ষেপ করছেন এই ‘গোলমেশিন’। মজার ব্যাপার- গত বছর এই সিথু এফসির হয়ে খেলার জন্যই ভারতের ভিসা প্রথম দফায় পাননি সাবিনা। সেবার সাবিনার মতো একই ঝামেলায় পড়েছিলেন একই ক্লাবের হয়ে খেলতে যাওয়া তার স্বদেশী-সতীর্থ আরেক ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকারও। পরে অবশ্য নানা ঝামেলা করে দু’জনেই ভিসা পেয়ে ভারতের তামিলনাড়ু গিয়ে সিথুর হয়ে ইন্ডিয়ান উইমেন্স লীগটা খেলতে পেরেছিলেন। তবে এবার শেষ পর্যন্ত চাইনিজ তাইপে সাবিনা যেতে পারবেন না সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে যথেষ্টই। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফুটবলার হিসেবে বিদেশী কোন ক্লাবের হয়ে খেলা প্রথম খেলোয়াড়ে পরিণত হন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের তৎকালীন সহ-অধিনায়ক এবং ফরোয়ার্ড সাবিনা খাতুন। সেই সঙ্গে গড়েন ইতিহাস। মালদ্বীপে গিয়ে দুই মৌসুম খেলে মোট ৫৯ গোল করেছিলেন সাবিনা। আর সিথুর হয়ে করেছিলেন ৭ গোল। ফলে ক্লাবটি এবার খুব করে চেয়েছিল সাবিনাকে। কিন্তু চাইনিজ তাইপের ক্লাবটির অফারই তার কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হওয়ায় ‘না’ করে দেন সিথু। তাহলে ‘আম-ছালা’ দুই-ই গেল সাবিনার?
×