ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ ভবন ছেড়ে বৈধ ভবনে যাওয়াই বিজিএমইএ সভাপতির সবচেয়ে বড় সফলতা

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

অবৈধ ভবন ছেড়ে বৈধ ভবনে যাওয়াই বিজিএমইএ সভাপতির সবচেয়ে বড় সফলতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবৈধ ভবন ছেড়ে বৈধ ভবনে যাওয়াই সবচেয়ে বড় সফলতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি বিজিএমইএ’র সভাপতি হিসেবে তিন বছর সাত মাস দায়িত্ব পালন করেছি। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সফলতা হলো হাতিরঝিলের অবৈধ ভবন থেকে নতুন করে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র বৈধ ভবনে আসতে পারা।’ বুধবার রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ’র নবনির্মিত কমপ্লেক্সে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন ভবনে আর কোন আইনী ত্রুটি নেই। নতুন ভবনের জায়গা নিয়ে আগামীতে আর কেউ প্রশ্নও করতে পারবে না। সব ধরনের আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। হাতিরঝিলের ভবন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভবনটি নিয়ে সবচেয়ে বড় ভুল করেছে ইপিবি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তারা (ইপিবি) আমাদের সঠিক জায়গায় জমি বুঝিয়ে দেয়নি। এটা ভালভাবে বুঝে নিতে না পারাটাও আমাদের ব্যর্থতা ছিল। ভবন ভাঙ্গার জন্য নতুন করে আদালতে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আমরা ভবন ভাঙ্গার পক্ষে। এ বিষয়ে আদালতে মুচলেকা দিয়েছি। আমি এখনও বিজিএমইএ সভাপতি। আমাদের পক্ষ থেকে কোন সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়নি। যদি কেউ সময় বাড়ানোর আবেদন করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালত যেন ব্যবস্থা নেন, সেই দাবি করছি। ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা চায় বিজিএমইএ ॥ আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বিদায়ী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আপদকালীন সহায়তা হিসেবে আগামী অর্থবছরের বাজেট পোশাক শিল্প রক্ষায় অন্তত এক বছরের জন্য ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছি। এ সহায়তা দিলে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এর বিপরীতে সরকার এ শিল্প থেকে চার গুণ বেশি রাজস্ব পাবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই নগদ সহায়তা পেলে অনেক কারখানা বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, পোশাক শিল্প ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকলেও আমরা এর হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছি না।
×