ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখীতে শিশু-কিশোর ধারাবাহিক ‘হ্যাপী লজ’

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ৯ এপ্রিল ২০১৯

বৈশাখীতে শিশু-কিশোর ধারাবাহিক ‘হ্যাপী লজ’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয়েছে শিশু-কিশোর ধারাবাহিক নাটক ‘হ্যাপী লজ’। নাটকের কাহিনী ও চিত্রনাট্য আলমগীর কবির। পরিচালনা করছেন সাঈদ রিংকু। নবাগত একঝাঁক শিশু-কিশোর ছাড়াও এ নাটকে অভিনয় করেছেন। আরও আছেন ইন্তেখাব দিনার, সুষমা সরকার, অলিভী, সৌজন্য অধিকারী, আলমগীর কবির, কামাল বায়েজিদ, সুভাশীষ ভৌমিক, শতদল বড়ুয়া বিলু, জাহাঙ্গীর, রিয়াজ প্রমুখ। প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় নাটকটি প্রচার হচ্ছে। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায় বাড়ির নাম ‘হ্যাপী লজ’। এ বাড়ির মানুষ ঢাকা পত্তনের সময়কার ইসলাম খাঁর বংশধর। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষ কেউ একজন ইসলাম খাঁর আমলের সেনাপতি ছিলেন। এ পরিবারেই শেষ বংশধর পিন্টু। তার পোশাকী নাম মির্জা আসাদুল্লাহ সবুক্তগীন আল সিরাজ। পিন্টুর এমন নাম নিয়ে স্কুলের সহপাঠীরা নানা ঠাট্টা, তামাশা করে, খ্যাপায়। শিক্ষকরাও তার দিকে অবাক চোখে তাকায়। পিন্টুর এমন আজব নাম রেখেছেন তার নানাজান। পিন্টুর স্কুল শিক্ষক পিতা হাসানুল ইসলাম সহজ-সরল মানুষ। মা জুবাইদা একেবারেই সাদাসিধে। সবমিলিয়ে তারা হ্যাপী লজের হ্যাপী ফ্যামিলি। প্রায় প্রতিদিনই তারা এ্যাডভাঞ্চারের প্ল্যান করে। ইয়েতি অভিযানে যাবে, প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে কি আছে তা দেখে আসবে ইত্যাদি। এরই মধ্যে ঘটে যায় ভয়ানক দুর্ঘটনা। পিন্টুর বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় হাত ভেঙ্গে ফেলেন। আজব মানুষ সলিমুল্লাহ খান গম্ভীরভাবে বলেন, তিনি আগেই এটা আঁচ করতে পেরেছিলেন। বাড়ির সবাই ভয় পাবে বলে তা তিনি কাউকে বলেননি। তিনি আরও বলেন, এ বাড়িতে এক অশুভ ছায়ার চোখ পড়েছে। এদিকে অত্রিদের বাড়িতে চুরি হয়ে গেছে দশ ভরি সোনা। ওদিকে শুভ, সকাল আর স্বপ্নদের বাড়িতে আবিষ্কৃত হয় গোপন চিরকুট। তাতে লেখা- কোন এক মন্দিরের দেবী নাকি শিশু বলি চাইছে। আসলে কি ঘটছে হ্যাপী লজে, সলিমুল্লাহ খানেরইবা উদ্দেশ্য কি? ইফতি কি ভুল দেখল ছাদে পরী নামে নাকি ভিনপ্রহের প্রাণী? পিন্টুর মায়ের কাছে বাদশাহী মোহরের মধ্যে কি ভিনপ্রহের প্রাণীদের বেতার বার্তার রিসিভিং সিগন্যাল আছে? সব কিছুরই উত্তর পাওয়া যাবে শিশু-কিশোর ধারাবাহিক ‘হ্যাপী লজ’ নাটকে। শিশু-কিশোর ধারাবাহিক নাটক নিয়ে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। এদের মধ্য থেকেই তো কেউ কেউ দেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই তাদের মনন ও মেধা বিকাশে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
×