ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার লীগে শেখ জামাল ও রূপগঞ্জের জয়

প্রকাশিত: ১১:৫২, ৩০ মার্চ ২০১৯

 প্রিমিয়ার লীগে শেখ জামাল ও রূপগঞ্জের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে (ডিপিএল) জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় রূপগঞ্জ। ফলে সপ্তম ম্যাচে দ্বিতীয় হার দেখে পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরে নেমে গেছে দোলেশ্বর, রূপগঞ্জ এখন দুইয়ে। আর ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ৫ উইকেটে পরাস্ত করে শেখ জামাল। ৭ ম্যাচে এটি শেখ জামালের চতুর্থ জয় আর খেলাঘরের ষষ্ঠ হার। রূপগঞ্জ-দোলেশ্বর ম্যাচ, মিরপুর ॥ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রূপগঞ্জ। দলীয় ১৪ রানে প্রথম, ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর তৃতীয় উইকেটে শাহরিয়ার নাফীস ও মুমিনুল হক দেখে শুনেই খেলছিলেন। তবে মুমিনুল ৩৫ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর চতুর্থ উইকেটে নাফীস ও পাকিস্তানী ক্রিকেটার আকবর-উর-রেহমান ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে ভাল একটি সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেন। উভয়ে অর্ধশতক হাঁকান। নাফীস ১০৪ বলে ৪ চার, ১ ছক্কায় ৬৮ ও আকবর ৮০ বলে ১০ চারে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক নাঈম ইসলাম মাত্র ৩১ বলে ৬ চারে ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় রূপগঞ্জ। দোলেশ্বরের হয়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা পেসার ফরহাদ রেজা ৫২ রানে নেন ৪ উইকেট। জবাব দিতে নেমে বড় কোন জুটি গড়তে পারেনি দোলেশ্বরের ব্যাটসম্যানরা। প্রথমদিকে ইমরান উজ্জামান ৩৭ ও মাহমুদুল হাসান ২০ রান করলেও মোহাম্মদ শহীদ ও শুভাশীষ রায়ের পেসে শেষ পর্যন্ত ৪৬ ওভারে দোলেশ্বর গুটিয়ে যায় ১৯৩ রানে। মাঝে সা’দ নাসিম ৬২ বলে ৪ চার, ১ ছক্কায় ৬১ ও তাইবুর রহমান ৩২ রান করেন। শহীদ ৪টি, শুভাশীষ ও আকবর ২টি করে উইকেট নেন। স্কোর ॥ রূপগঞ্জ ইনিংস- ২৬৫/৯; ৫০ ওভার (নাফীস ৬৮, আকবর ৬৭, নাঈম ৪৩*, মুমিনুল ২৫; ফরহাদ ৪/৫২)। দোলেশ্বর ইনিংস- ১৯৩/১০; ৪৬ ওভার (সা’দ ৬১, ইমরান ৩৭, তাইবুর ৩২; শহীদ ৪/২৩, শুভাশীষ ২/২৮)। ফল ॥ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মোহাম্মদ শহীদ (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ)। শেখ জামাল-খেলাঘর ম্যাচ, ফতুল্লা ॥ টস জিতে শেখ জামাল আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খেলাঘরকে। সতর্কভাবে শুরু করলেও পরে তাইজুল ইসলামের বাঁহাতি ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পর শেষদিকে খালেদ আহমেদের পেস তোপে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৩ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় তারা। সাত নম্বরে নেমে মইনুল ইসলাম ৭০ বলে ৩ চারে ৫৫ এবং ওপেনার অমিত মজুমদার ৭৪ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৪০ রান করেন। ৩টি করে উইকেট নেন তাইজুল ও খালেদ। জবাব দিতে নেমে শেখ জামালের কোন ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ৭৪ বলে ৩ চারে ৪৭, ফারদিন হাসান ২৫, তানবীর হায়দার ২৫, নাসির হোসেন ২০, নুরুল হাসান ২২, জিয়াউর রহমান অপরাজিত ২০ ও তাইজুল অপরাজিত ১৫ রান করলে ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৫ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় শেখ জামাল। খেলাঘরের হয়ে তানভীর ইসলাম ও রবিউল হক ২টি করে উইকেট নেন। ৫ উইকেটে জিতে যায় শেখ জামাল।
×