ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাট্যশালায় বাংলাদেশ ও ফরাসী সৌরভময় সঙ্গীতসন্ধ্যা

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ৯ মার্চ ২০১৯

 নাট্যশালায় বাংলাদেশ ও  ফরাসী সৌরভময়  সঙ্গীতসন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক আয়োজনে মিলে গেল দুই দেশের সুর। মহাত্মা লালনের বাণীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভেসে বেড়ালো ফরাসী শব্দ ধ্বনি। সেই সঙ্গে সুরের সড়করেখায় মিলিত হলো দুই মহাদেশ। শ্রুতিমধুর গানের সঙ্গে শ্রোতারা শুনতে পেল যন্ত্রসঙ্গীতের সুরমূর্ছনা। সব মিলিয়ে অনবদ্য এক সঙ্গীতায়োজন। বাংলাদেশ ও ফরাসী সঙ্গীতের সৌরভময় সঙ্গীতানুষ্ঠানটির ছিল ‘রূপান্তর’ বা ‘স্কেল টু স্কেল’। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ। দুই দেশের সংস্কৃতিকে মেলে ধরা সঙ্গীতায়োজনে লালন সাঁইয়ের গানে গানে শ্রোতার হৃদয় রাঙান ফরিদা পারভীন। আর বাংলাদেশী সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত হয় ফরাসী সুরস্র্রষ্টা ল্যোহঁ ক্যুনিওর সমকালীন সৃষ্টির সুরেলা কথোপকথন। ক্যুনিওর সুরারোপিত গানগুলো শুনিয়েছেন তার দেশেরই কণ্ঠশিল্পী আধুম তাংক। বাংলাদেশের কবি মোহাম্মদ মনসুরের কবিতার ফরাসী অনুবাদ থেকে রূপান্তরিত গানগুলো শুনিয়েছেন এই শিল্পী। আধুমের সঙ্গী ছিল ২৯ সদস্যের ফরাসী সঙ্গীত দল টিএমপ্লাস। কণ্ঠের খেলায় সুর রসিকদের অপার আনন্দে ভাসিয়ে ফরিদা পারভীন গেয়ে শোনান ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘বাড়ির কাছে আরশীনগর’সহ কিছু গান। টিএমপ্লাসের শিল্পী আধুম তাংক গেয়েছেন মোহাম্মদ মনসুরের কবিতার ফরাসিত অনুবাদ থেকে রূপান্তরিত গান। ফরাসী ভাষায় গাওয়া কয়েকটি গানের বাংলা শিরোনাম ছিল ‘আমি আকাশ আর দেখি না’, ‘আমার তো আর চাই না কিছু, ‘এক জীবনে একটুকু ক্ষণ’ ও ‘তুমি আমার জলবৃষ্টি’। টিএমপ্লাসে ক্লারিওনেট বাজিয়েছেন নিকোলা ফাজে, ওবোতে সুর তুলেছেন জাঁ পিয়েখ আহনোঁ ও চেলে বাজিয়েছেন ফ্লোরিও লোহিদো। ফরিদা পারভীনের সঙ্গে বাঁশিতে সুর তুলেছেন গাজী আবদুল হাকিম। এ এস এম রেজার ঢোলে দোতারায় সুর ছড়িয়েছেন শেখ জালালুদ্দিন আর তবলায় ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি।
×