ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হলিউডের যত স্টুডিও!

প্রকাশিত: ১৩:১০, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

হলিউডের যত স্টুডিও!

চলচ্চিত্র নির্মাণে সেরাদের সেরা হলিউড। আর এই হলিউডেই আছে বিশ্বের প্রথম সারির সব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর এই সংস্থাগুলোই হাজার হাজার কোটি ডলারের সিনেমা বাণিজ্য করে থাকে। তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক হলিউডের ৬ দাপুটে স্টুডিওর গল্প যাদের বলা হয় ‘বিগ সিক্স’। জেনে রাখা ভাল এই ৬টি প্রতিষ্ঠানের সদর দফতরই ১৫ মাইলের ভেতরে। ওয়াল্ট ডিজনি ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে চলচ্চিত্র বাজারের ২১ শতাংশের কিছু বেশি দখল করে আছে। ওয়াল্টার এলিয়াস ডিজনির হাত ধরে জন্ম নেয়া এই প্রতিষ্ঠান মারভেল কমিক্সকে দিয়েছে সিনেমার রূপ। স্টার ওয়ারস, পাইরেট অব দ্য ক্যারিবিয়ান, টয় স্টোরির মতো দারুণ সব সিক্যুয়েল। তা ছাড়া এ্যানিমেশনে দর্শককে বিমোহিত হচ্ছে সেই জন্মলগ্ন থেকেই। ঝহড়ি ডযরঃব ধহফ ঃযব ঝবাবহ উধিৎভং নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য এ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে আগমন ডিজনির। বর্তমানে তাদের ব্যবসার পরিধি এবং চাহিদা আকাশচুম্বী। ডিজনি এ্যানিমেশন স্টুডিওস, মারভেল স্টুডিওস, লাইভ এ্যাকশন নামের বেশ কিছু আলাদা বিভাগ আছে তাদের। সর্বকালের সব থেকে বেশি আয় করা ১০ ছবির ৫টিই তাদের। ওয়ার্নার ব্রাদার্স প্রায় ১৯ শতাংশ বাজার দখল করে ওয়ার্নার ব্রোস’-এর অবস্থান দুইয়ে। ডিজনির মতো ১৯২৩ সালেই তাদেরও যাত্রা শুরু। চার ভাই মিলে গড়ে তুলেছিল আজকের এই প্রতিষ্ঠানটি। বছর জুড়ে ডিজনির সঙ্গে তাদের অঘোষিত লড়াই লেগেই থাকে। হলিউডের বার ব্যাংকে এই প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর। হ্যারি পর্টার, ব্যাটম্যান, লর্ড অব দ্য রিংস, গ্রাভিটি, ইনসেপশন, ট্রয়ের মতো দুর্দান্ত ছবি নির্মাণ করেছে তারা। এ ছাড়াও টিভি সিরিয়াল নির্মাণেও তাদের খ্যাতি আছে। ২০১৭ সালে ওয়ার্নার ব্রো সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করে। ডিজনিকে কি তাহলে সামনে টেক্কা দিতে যাচ্ছে তারা? ইউনিভার্সাল পিকচারস ১০০ বছরের বেশি পুরনো এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ১৪ শতাংশ বাজার ধরে রেখেছে। এনবিসি ইউনিভার্সাল নামের প্রতিষ্ঠানের চলচ্চিত্র নির্মাণ শাখা ইউনিভার্সাল পিকচারস। ৯ ব্যক্তির হাত ধরে ১৯১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাচীনতম সিনেমা প্রতিষ্ঠানের সূচনা। ফ্রাঞ্চাইজির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফাস্ট এ্যান্ড ফিউরিয়াস, জুরাসিক পার্ক, জেসন বর্ন। সর্বকালের সব থেকে বেশি আয় করা ১০ ছবির ২টি তাদের। টুয়েন্টি সেঞ্চুরি ফক্স সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমাটি এই স্টুডিওর দখলে। আইস এজ, ডেডপুল, এক্সম্যান, হোম এ্যালোনও আছে ফক্সের নির্মিতদের তালিকায়। ১২% বাজার দখলে আছে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রযোজনা সংস্থার। ফক্স হোম এন্টারটেইনমেন্ট, টেলিভিশন স্টুডিওস, ফক্স এনিমেশন নামের আলাদা আলাদা শাখা আছে এই প্রতিষ্ঠানের। কলাম্বিয়া পিকচারস প্রতিষ্ঠানটি সনি পিকচারস এন্টারটেইনমেন্টের অন্তর্গত। ১৯২৪ সালে পূর্ব নাম সিবিসি ফিল্ম সেলস কর্পোরেশন থেকে বর্তমান নাম পায় এই প্রতিষ্ঠান। সাফল্যের ঝুলিতে আছে সব থেকে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সিক্যুয়েল জেমস বন্ড। স্পাইডার ম্যান, মেন ইন ব্ল্যাক, ভিঞ্চি কোড, ২০১২ ও আছে তালিকায়। হলিউডের ৯ শতাংশ বাজার নিয়ে পঞ্চম স্থানে সনির কলাম্বিয়া পিকচারস। প্যারামাউন্ট পিকচারস ৪ শতাংশ বাজার ধরে রেখে প্যারামাউন্ট পিকচারসের অবস্থান ৬-এ। প্যারামাউন্টের লোগোটিই জানান দেয় তাদের বয়স ১০০-এর বেশি। ১৯১২ সালে যাত্রা শুরু এই প্রতিষ্ঠানের। প্রথম ছবিতে চুক্তিবদ্ধ ২৪ জন তারকার স্মরণে লোগোতে ২৪টি তারকা রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য দুটি তারকা কমে আসে। উল্লেখযোগ্য সাফল্য টাইটানিক, ইন্টারস্টেলার, ফরেস্ট গাম্প, মিশন ইম্পসিবল, কুং ফু পাণ্ডা, ইন্ডিয়ানা জোন্স, শ্রেক, মাদাগাস্কার, ট্রান্সফরমারস। সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির মধ্যে দ্বিতীয়টি আছে তাদের পকেটে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান ভিয়াকমের অন্তর্গত।
×