নতুন সুপারসনিক প্লেন আনতে কাজ শুরু করেছে বুম টেকনোলজিস। এর আগে ‘কনকর্ড’ ছিল যাত্রীবাহী প্লেনের জগতে গতিদানব। কিন্তু এতে চড়ার সৌভাগ্য হয়েছে খুব কম মানুষেরই। বলা হচ্ছে, এবার নতুন প্লেনটিতে চড়তে পারবেন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি গ্রাহক। বুম টেকনোলজিসের নতুন সুপারসনিক প্লেনের নাম বলা হচ্ছে ‘ওভারচার’। প্লেনটি বানাতে ১০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল জোগাড় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের খবর সত্যি হলে, পাঁচ হাজার মাইল পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৪৫১ মাইল বেগে চলবে প্লেনটি। ২০২৩ সালে প্লেনটি বাজারে আনার লক্ষ্য রয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির। প্রতিটি প্লেনের মূল্য ২০ কোটি ডলারে বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করেছে বুম। তুলনা করতে গেলে বলা যায়, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৮৭-১০ প্লেনের মূল্য সাড়ে ৩২ কোটি ডলার। বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার পরিবারের এই প্লেনটির যাত্রীধারণক্ষমতা গড়ে ৩১০ জন। ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্লেনটি বানাতে গবেষণাসহ সব মিলিয়ে খরচ হতে পারে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে সুপারসনিক প্লেন কনকর্ডের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। শুধু সাগরের ওপর দিয়ে চলার সময়ই সর্বোচ্চ গতিবেগে চলতে পারত এটি। তাই লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক রুটের জন্য এটি ঠিক থাকলেও অন্য রুটের জন্য উপযুক্ত ছিল না। সপারসনিক প্লেনের এই সীমাবদ্ধতা এখনও রয়েছে। ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্লেনটি চালাতে নীতিমালার কিছু অংশ পরিবর্তনও করতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের প্লেন দিয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলেও এর টিকেট মূল্য সস্তা হবে। মূলত বাণিজ্যিক গ্রাহক যারা চার হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডের টিকেট কাটতে সক্ষম তাদেরকে লক্ষ্য করেই আনা হবে প্লেনটি।
শীর্ষ সংবাদ: