ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জন্মদিন আজ

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জন্মদিন আজ। তিনি আজ ৮৪ বছরে পা দিলেন। কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও রাবেয়া খাতুন এক সময় শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতার সঙ্গেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। ইত্তেফাক, সিনেমা পত্রিকা ছাড়াও তার নিজস্ব সম্পাদনায় পঞ্চাশ দশকে বের হতো ‘অঙ্গনা’ নামের একটি মহিলা মাসিক পত্রিকা। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা এক শ’-এরও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, গবেষণাধর্মী রচনা, ছোটগল্প, ধর্মীয় কাহিনী, ভ্রমণ কাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। রেডিও, টিভিতে প্রচার হয়েছে অসংখ্য নাটক, জীবন্তিকা ও সিরিজ নাটক। তার গল্পে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে কয়েকটি। রাবেয়া খাতুন উপন্যাস লিখেছেন পঞ্চাশটিরও বেশি, এ যাবত কাল পর্যন্ত চার খে সংকলিত ছোটগল্প সংখ্যায় চার শ’-এরও বেশি। ছোটদের জন্য লেখা গল্প-উপন্যাসও সংখ্যায় কম নয়। রাবেয়া খাতুন বাংলাদেশের ভ্রমণসাহিত্যের প্রধানতম লেখক। জরা তাকে জড় করতে পারেনি। ভ্রমণের ক্লেশ তার কাছে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আনন্দ! কর্মজীবনে অনেক মানুষের সান্নিধ্যে এসেছেন। উদ্বুদ্ধ হয়েছেন যাদের দ্বারা স্মৃতিমূলক রচনার মধ্য দিয়ে তাদের ব্যক্তিত্ব ও বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্বকে পাঠকের কাছে হাজির করতে। ছোটগল্প দিয়ে শুরু হলেও লেখক পরিচয়ে প্রথমত তিনি ঔপন্যাসিক। প্রথম উপন্যাস ‘মধুমতী’ (১৯৬৩) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শক্তিমান কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পান। ক্ষয়িষ্ণু তাঁতী সম্প্রদায়ের জীবনসঙ্কট ও নাগরিক উঠতি মধ্যবিত্ত জীবনের অস্তিত্ব জিজ্ঞাসার মধ্যে ব্যক্তিকে আবিষ্কার করেছিলেন রাবেয়া খাতুন এই উপন্যাসে। রাবেয়া খাতুন ভ্রমণসাহিত্য রচনাকে গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচনা করেছেন বলে তার ভ্রমণসাহিত্যের বইও অনেকগুলো। বেশ কিছু আত্মজৈবনিক স্মৃতিমূলক রচনা লিখেছেন। ‘একাত্তরের নয় মাস’ (১৯৯০) বইয়ে লিখেছেন একাত্তরের শ্বাসরুদ্ধকর দিনগুলোর কথা। সাহিত্যচর্চার জন্য পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৯৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণ পদক (১৯৯৫)সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে।
×