ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতপক্ষে নারীরা মুক্তিযুদ্ধে অনেক বড় সহায়ক শক্তি ছিল। সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে, কখনও বা যুদ্ধক্ষেত্রের আড়ালে। অনাহারী, অর্ধাহারী ক্ষুধার্ত মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, কখনও মমতাময়ী মায়ের মতো, কখনোবা বোনের মতো। চরম দুঃসময়ে পাকিস্তানী হ

নারীর চোখে বিজয়... লাখো শহীদের বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

 নারীর চোখে বিজয়... লাখো শহীদের বাংলাদেশ

বিজয়ের চেতনায় নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি হোক বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই সেই বীর শহীদদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন আকাশে লাল-সবুজের বুকে একটি বিজয়ের পতাকা পেয়েছি। বিশ্বের বুকে আমরা বিজিত জাতি হিসেবে গৌরব অর্জন করলেও পিছিয়ে আছে এখনও আমাদের বৃহৎ নারী সমাজ। লাখ লাখ প্রাণ আর মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের ৪৭ বছর পরেও নারীদের প্রতি কদমে কদমে হ্যারেজমেন্টসহ ইভটিজিং, ধর্ষণ ও নিরাপত্তার অভাবে, এখনও যুদ্ধ করে বাঁচতে হয়। যার কারণে নারীরা অনেকাংশে ছেলেদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত শিক্ষায়, মেধায় ও যোগ্যতায় এগিয়ে থাকলেও বৈষম্যমূলক আচরণ এবং পারিবারিক কুসংস্কার প্রথার প্রতিবন্ধকতায় অনেক পিছিয়ে আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে নারীর স্বপ্রচেষ্টার অভাব দায়ী হলেও সমাজ ও পরিবারের বৈরী দৃষ্টিভঙ্গিই সবচেয়ে বেশি দায়ী। বিজয়ের এই চেতনাকে ধারণ করে ধর্ম, বর্ণ, নারী, পুরুষ তথা লিঙ্গ বৈষম্যের উর্ধে উঠে আইনের সুশাসন এবং তার সঠিক প্রয়োগ প্রতিষ্ঠা করে আমরা আমাদের ও আগামীর প্রজন্মের জন্য নিরাপদ একটি সমৃদ্ধশীল উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবার এগিয়ে আসা খুব জরুরী। জয়নব জোনাকি মাস্টার্স, আইইউবি, ঢাকা সমান অধিকার নিশ্চিত হোক ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করে উঠেছিল বাংলাদেশের শিশির ভেজা মাটি। অবসান হয়েছিল পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ ৪৭ বছর পূর্ণ হতে চলছে। এই যে দীর্ঘ পরিক্রমা, এখানে স্বাধীনতার স্বাদ নারী কতটা অর্জন করেছে? সেই হিসেবটা আমাদের করা উচিত। আমাদের দেশের সরকার প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পীকার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রীসহ সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের জয়জয়কার। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে নারীরা। তবুও আমাদের দেশে নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন, লাঞ্ছনা ও অবহেলার শিকার হচ্ছে তারা। একুশ শতকে এসে যেখানে নারী স্বাধীনতা ও আত্মপ্রতিষ্ঠার জাগরণ ঘটবে সেখানে নারীরা আজও আত্মনির্ভরশীল হতে পারছে না। স্বাধীনতার এত বছর পরে যেখানে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমস্বরে প্রতিধ্বনিত হবে তাদের কণ্ঠস্বর। সেখানে নজরে পড়ে বৈষম্যের বেড়াজাল। একটি সৃষ্টিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকাও যে অনস্বীকার্য সেটা উপলব্ধি করার সময় এসেছে। নিশ্চিত হোক নারী অধিকার। রুনা তাসমিনা শিক্ষক, মাস্টারমাইন্ড ইন্টা. স্কুল, চট্টগ্রাম
×