ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়া-২ আসনে লড়াই হবে লাঙ্গল-ধানের শীষে

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

বগুড়া-২ আসনে লড়াই হবে লাঙ্গল-ধানের শীষে

সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে আগামী একাদশ সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কার্যত সরাসরি কোন প্রার্থী নেই। দশম সাধারণ নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামী লীগ বগুড়ার এই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে জোটভুক্ত জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে। তিনি জাপা দলীয় প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠে নেমেছেন। এদিকে বিএনপি এই আসনে প্রথমবার সরাসরি কোন প্রার্থী দেয়নি। তারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও নাগরিক ঐক্যের কোন নিবন্ধন নেই। বিএনপির শরিক জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেন বিএনপি ও জাপার প্রার্থীগণ। এই আসনে মুসলিম লীগের শফিকুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জামাল উদ্দিন নামের দু’জন প্রার্থীও আছেন। জাতীয় নির্বাচনে বগুড়ার ২৭ বছরের প্রেক্ষাপটে সংসদীয় আসন ৩৭ বগুড়া-২ আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম থেকে ২০১৪ সালের দশম সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সরাসরি কোন প্রার্থী সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন না। এই আসনে একবার মহাজোটের জাপা প্রার্থী, তিন বার বিএনপি প্রার্থী ও একবার জামায়াত প্রার্থী এমপি ছিলেন। একাদশ সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না এর আগে তিনবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না জনতা মুক্তি পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী প্রার্থী জামায়তের মাওলানা শাহাদাতুজ্জামানের কাছে হেরে যান। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে এমপি হন বিএনপি প্রার্থী হাফিজার রহমান। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী প্রার্থী বিএনপির রেজাউল বারী ডিনার কাছে হেরে যান। ২০০৮ সালের নবম সাধারণ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ সরাসরি কোন প্রার্থী দেয়নি। মহাজোটের পক্ষে এই আসনে মনোনয়ন পান জাপা প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি প্রার্থী হাফিজার রহমান। দশম সাধারণ নির্বাচনেও (২০১৪) আওয়ামী লীগ এই আসনে সরাসরি কোন প্রার্থী দেয়নি। মহাজোটের পক্ষে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাপার শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। বিএনপি এই নির্বাচন বয়কট করায় জাপা প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। একাদশ সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সরাসরি কোন প্রার্থী না থাকায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাপা প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্নার। এই আসনে বিএনপির শরিক নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল হওয়া জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন শাহাদাতুজ্জামান। তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিএনপি প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্নার ভোটের পথে যে বাধা ছিল তা অপসারিত হয়েছে। এখন লড়াইয়ের মাঠে জাপা প্রার্থী। বগুড়া-২ আসনে একাদশ নির্বাচনে ২৫ হাজার ১শ’ ৫৬ ভোটার বেড়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪শ’ ৬ জন। তরুণ ও নারী ভোটার বেশি। এই আসনে গত নির্বাচনের চেয়ে ১৬টি ভোট কেন্দ্র বাড়িয়ে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১শ’ ১০টি। সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর এই আসনে প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
×