এ্যাডভেন্ট ফার্মার মুনাফা বেড়েছে ১৫৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ্যাডভেন্ট ফার্মার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৮) নিট মুনাফা বেড়েছে ১৫৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ৬৩ শতাংশ পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি। এছাড়া পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি না পাওয়া, অন্যান্য আয় বৃদ্ধি, বিলম্বিত করজনিত (ডেফার্ড টেক্স) ব্যয় হ্রাস ও উৎপাদন ব্যয়ের হার হ্রাস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইমপেরিয়াল ক্যাপিটাল, আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট ও সিএপিএম এ্যাডভাইজারির মাধ্যমে ২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ্যাডভেন্ট ফার্মা শেয়ারবাজার থেকে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা দরে ইস্যুর মাধ্যমে মোট ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। যে কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃহস্পতিবার ৪৩.৪০ টাকায় রয়েছে। দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে বিক্রয় বেড়েছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বা ৬৩ শতাংশ। আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয়ের জন্য উৎপাদন ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। যা ছিল বিক্রয়ের ৫৬ শতাংশ। যাতে মোট মুনাফা হয়েছিল ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। আর এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয়ের বিপরীতে ৫২ শতাংশ হারে উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। যাতে মোট মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে মোট মুনাফা বেড়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকার বা ৭৬ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির বিক্রয় বাড়লেও পরিচালন ব্যয় কমেছে। তবে সুদজনিত ব্যয় বেড়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পরিচালন ব্যয় এ বছরে কমে হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আর ১৪ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় এ বছর বেড়ে হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের ৪ লাখ টাকার অন্যান্য আয় এ বছরে বেড়ে হয়েছে ১৮ লাখ টাকা। আর ৪৩ লাখ টাকার বিলম্বিত কর (ডেফার্ড টেক্স) ব্যয় কমে হয়েছে ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয় থেকে উৎপাদন ব্যয়, পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা শেয়ার প্রতি ০.৬১ টাকায়। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা শেয়ার প্রতি ০.৩৪ টাকা। এ হিসাবে নিট মুনাফা বেড়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা ১৫৫ শতাংশ। তবে শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.২৭ টাকা বা ৭৯ শতাংশ। এর প্রধান কারন হিসাবে রয়েছে আইপিওতে ২ কোটি শেয়ার ইস্যু। যাতে কোম্পানিটির ২ কোটি শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৮৬ লাখ। ৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ্যাডভেন্ট ফার্মায় ৯১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যা শেয়ার প্রতি হিসাবে ১৩.৩৫ টাকা।