ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা কাপ ফুটবল

উদ্বোধনী ম্যাচে বিজেএমসির মুখোমুখি সাইফ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

উদ্বোধনী ম্যাচে বিজেএমসির মুখোমুখি  সাইফ

রুমেল খান ॥ বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে যে আসরটি সবচেয়ে বেশি অনিয়মিত (৪৬ বছরে মাত্র ৯ বার অনুষ্ঠিত!), সেই স্বাধীনতা কাপ মাঠে গড়াচ্ছে আজ শনিবার থেকে। যদিও এই আসরটি এখনই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল না। এর পরিবর্তে প্রিমিয়ার লীগ হওয়ার কথা ছিল। মজার ব্যাপার- এক বছরে এ নিয়ে দু’বার স্বাধীনতা কাপের আসর হতে যাচ্ছে। আরও মজার বিষয়, বিজয়ের মাসে হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের দশম আসরটি। টুর্নামেন্টের ভেন্যু ঢাকার গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। টিকেটের মূল্য ৩০ টাকা। প্রাইজমানি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে পাঁচ লাখ এবং রানার্সআপ দল পাবে তিন লাখ টাকা করে। চ্যানেল নাইন সবগুলো খেলাই সরাসরি সম্প্রচার করবে। আর বাংলাদেশ টেলিভিশন কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ মোট ৬টি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে। টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন করা হয় শুক্রবার, বাফুফে ভবনে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের উর্ধতন কর্মকর্তা এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। উদ্বোধনী দিনে একটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৫টায় ‘এ’ গ্রুপের দুই দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড মোকাবেলা করবে টিম বিজেএমসির। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে গত রবিবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয় অংশগ্রহণকারী ১৩ দলকে নিয়ে ড্র। ড্রতে ডেথ গ্রুপে পড়েছে তিন পরাশক্তি শেখ জামাল ধানম-ি, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও নবাগত দল বসুন্ধরা কিংস। ‘ডি’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দল তিনটি। মজার বিষয় হচ্ছে, এই তিনটি দল একই পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের। অর্থাৎ বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত দল তিনটি। দিনকয়েক আগে শেষ হওয়া ফেডারেশন কাপে এই তিন দলই খেলেছে সেমিফাইনালে। এর মধ্যে বসুন্ধরা ফাইনাল খেলে হয়েছে রানার্সআপ। ফেডারেশন কাপের মতোই ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। টুর্নামেন্টে ১৩ দলকে চার গ্রুপে ভাগ করা হয়। চার গ্রুপে তিনটি করে দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এরপর বাকি থাকা একটি দলকে লটারি করে এক গ্রুপে দেয়া হয়। ফেডারেশন কাপে চার দলের একমাত্র গ্রুপে খেলে শুরুতেই বিদায় নিতে হয়েছিল সাদা-কালোদের। স্বাধীনতা কাপেও একমাত্র চার দলের গ্রুপে জায়গা হয়েছে মোহামেডানের। ‘বি’ গ্রুপে তাদের সঙ্গী বর্তমান রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনী, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। ‘এ’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গী হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ও টিম বিজেএমসি। ‘সি’ গ্রুপে ফেডারেশন কাপের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে আছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। গ্রুপপর্বের খেলা শেষ হবে ৯ ডিসেম্বর। ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর হবে চার কোয়ার্টার ফাইনাল। দু’টি সেমিফাইনাল মাঠে গড়াবে ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর। ফাইনাল হবে ২৪ ডিসেম্বর। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, ‘ফেডারেশন কাপে রেফারিংয়ের মান ছিল সন্তোষজনক। আশাকরি স্বাধীনতা কাপেও তা অব্যাহত থাকবে।’ ফেডারেশন কাপে অনেক অনাকক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। যেমন : খেলা শেষ হলে খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়ার আগেই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেয়া, মাঠে ম্যানেজার ও বলবয় কর্তৃক রেফারিকে মারধর, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি, গ্যালারির বেষ্টনি ডিঙ্গিয়ে দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়া, বিভিন্ন ক্লাবের অফিসিয়াল-সমর্থকদের প্রেসবক্সে এসে চেয়ার দখল করে সাংবাদিকদের কাজের ব্যাঘাত ঘটানো, বিভিন্ন ক্লাবের উগ্রসমর্থকদের নিয়ম না মেনে জোরপূর্বক মিডিয়ার গেট দিয়ে ঢোকা এবং অকথ্য ভাষায় টেম্যান এবং সাংবাদিকদের গালিগালাজ করা। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে বাফুফে তৎপর হয়েছে এবারের স্বাধীনতা কাপে যেন এসব ঘটনা না ঘটে। এ জন্য তারা বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করবে, যারা মাঠে, প্রেসবক্সে ও মাঠের বাইরে সবরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে।
×