ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ

এইডস আতঙ্ক ॥ প্রতিরোধেই মুক্তি

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

 এইডস আতঙ্ক ॥ প্রতিরোধেই মুক্তি

প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী এইডস দিবস পালিত হয়। ইউএনএইডের তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রায় ৯৪ লক্ষাধিক মানুষ নিজের অজান্তেই শরীরে এইডসের জীবাণু বহন করে চলেছেন এবং একে নিয়েই বেঁচে আছেন। অর্থাৎ এই ভাইরাস শরীরে বহন করেও বেঁচে থাকা সম্ভব। তাই ২০১৮ সালের প্রতিপাদ্য ‘আপনার এইডস সম্পর্কে জানুন।’ এইচআইভি এবং এইডস কি? এইডস এক আতঙ্কের নাম, এক মরণব্যাধি, এক সংক্রামক রোগ। হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েনসি ভাইরাস (এইচআইভি) এই রোগের জীবাণু। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে কিছু লক্ষণ এবং রোগব্যাধি দেখা দিলেই তাকে এইডস বলে। সারা বিশ্বে আজ এই রোগের ছড়াছড়ি, এমনকি মহামারি। তবে খুব কম মানুষই এই রোগের সঠিক তথ্য সম্পর্কে অবগত। সত্যিকার অর্থে রোগটি ভীতিকর হলেও প্রতিরোধযোগ্য। মানবদেহে এইচআইভি কি কি সমস্যা করে? এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধক কোষ, যেমন হেলপার টি সেল, মনোসাইট, ম্যাক্রফেজ, ডেনড্রাইটিক সেল, চর্মের ল্যাঙ্গারহেন্স সেল, মস্তিষ্কের গ্লায়াল সেল ইত্যাদিকে আক্রমণ করে ও সেগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়। ফলে মানবদেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়, যে কোন সংক্রামক জীবাণু সহজেই এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারে। এই অবস্থায় শরীরে প্রতিরোধ করার মতো কোন কার্যকরী কোষ না থাকায় যে কোন রোগ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরীরে নানা উপসর্গসহ এর বিস্তার ঘটে। এইডস রোগীর ক্ষেত্রে খুব সাধারণ সংক্রামক রোগও স্বাভাবিক চিকিৎসায় ভাল হয় না। ঘনঘন ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া ইত্যাদি হয়। এমনকি কিছু বিশেষ ধরনের ক্যান্সার শরীরকে আক্রমণ করে। এছাড়া শরীরের ওজন কমে, এমনকি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। এইচআইভির ইতিহাস : ১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম রোগটিকে শনাক্ত করা হয়। ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু নিউমোনিয়ার রোগী পাওয়া যায়, যা নিউমোসিস্টিস ক্যারিনিয়াই (বর্তমান নাম নিউমোসিস্টিস জিরোভেসি) নামক একটি জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। পরে আফ্রিকায় প্রাদুর্ভাব ঘটে ক্যাপোসিস সারকোমা নামক একটি ক্যান্সার রোগের। ১৯৮৪ সালে সর্বপ্রথম একজন ফরাসী বিজ্ঞানী এইডসের জীবাণু আবিষ্কার করেন। নামকরণ করা হয় এলএভি। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা নামকরণ করেন এইচটিএলভি-৩। ১৯৮৬ সাল থেকে এইচআইভি নামেই প্রচলিত রয়েছে এবং বর্তমানে রোগটি পৃথিবীর অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। এইচআইভি কিভাবে ছড়ায় এবং কারা ঝুঁকিপূর্ণ : অসচেতনতা, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব, সুস্থ জীবনের অনুশীলন না করাটাই এই রোগের প্রধান ঝুঁকি। এইচআইভি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ : ১. জেনে বা না জেনে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কনডম ছাড়া যৌন মিলনের মাধ্যমে। সমকামী, বহুগামী ব্যক্তি এবং বাণিজ্যিক ও ভাসমান যৌনকর্মীর সঙ্গে অরক্ষিত যৌন মিলনের মাধ্যমে। ২. কোন ব্যক্তি রক্তশূন্যতায় এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত শরীরে গ্রহণ করলে। ৩. আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, অস্থিমজ্জা, চোখের কর্নিয়া ইত্যাদি শরীরে সংস্থাপনের মাধ্যমে। ৪. যুব সমাজের মধ্যে নেশার আধিক্য এবং একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে বারবার মাদকদ্রব্য গ্রহণ অথবা অন্যের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা। ৫. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত টুথব্রাশ ও ক্ষত সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি যেমন সুচ, সিরিঞ্জ, কাঁচি, ব্লেড, রেজার, ক্ষুর ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে। আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করা ডাক্তারি যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত না করে ব্যবহার করলে। ৬. এইচআইভি আক্রান্ত মায়ের থেকে গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় অথবা প্রসবের পর বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর হতে পারে। ৭. এইচআইভি আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিবিড় ভৌগোলিক অবস্থান, দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা এবং এভাবেই বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়ায় উপরোক্ত উপায়ে এইচআইভি ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। শ্রমিক অভিবাসন ও মানব পাচারের ফলে এইডস আক্রান্ত জনগণের দেশে গমনাগমন। ৮. সর্বোপরি এইচআইভি সম্পর্কে সচেতনতা ও তথ্যের অভাব এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না জানায় রোগটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। মনে রাখতে হবে এইচআইভি রোগের কোন লক্ষণ প্রকাশ না করেও এই ভাইরাস মানুষের শরীরে বছরের পর বছর সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে এবং এ সময় অন্যকেও সংক্রমিত করতে পারে। কারও শরীরে এইচআইভি আছে কি-না তা বাইরে থেকে অনেক সময় বোঝা যায় না। শুধু সন্দেহ হলে রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমেই এ ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই দেখা যায় অনেকে নিজের অজান্তেই এই ভাইরাস বহন করে চলেছেন এবং রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এইচআইভি কিভাবে ছড়ায় না : মনে রাখা দরকার কেউ এইচআইভিতে আক্রান্ত হলেই অন্য কেউ তার কাছ থেকে সংক্রমিত হবেন এমন কোন কথা নেই। নিম্নে কিছু উদাহরণ দেয়া হলো, যার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। যেমন : ১. আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে করমর্দন করলে বা একই ঘরে বসবাস করলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা, চলাফেরা ও খেলাধুলা করলে বা তাকে স্পর্শ করলে। ২. আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, থুথু বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে। ৩. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত পায়খানা, বাথরুম, বেসিন, থালাবাসন, গ্লাস, বিছানা, বালিশ ইত্যাদি ব্যবহার করলে। ৪. মশা, মাছির বা পোকামাকড়ের কামড়ের মাধ্যমে। ৫. এইডস রোগীর সংস্পর্শে আসা কোন স্বাস্থ্যকর্মী যেমন- চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, আয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। ৬. হাসপাতালে ওয়ার্ডে ভর্তি এইডস আক্রান্ত রোগীর পাশে ভর্তিকৃত অন্য রোগীদের কোন অসুবিধা হবে না বা অন্যের শরীরে ছড়ানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে। এইচআইভি প্রতিরোধে করণীয় : যেহেতু এইচআইভির বিরুদ্ধে প্রতিষেধক কোন টিকা আবিষ্কার হয়নি, তাই প্রতিরোধ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে এর থেকে নিস্তার পাওয়া অত্যন্ত দুরূহ। এর বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন ওষুধও আবিষ্কার হয়নি। আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে যেমন ভুগবেন, এর সঙ্গে পরিবার বা সমাজের অন্যদের জন্যও সব সময় হুমকি হয়ে থাকবেন। ১. এইচআইভি প্রতিরোধের মূল উপাদান হলো শিক্ষা, সচেতনতা, ঝুঁকি অনুধাবনের মাত্রা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা। মানুষের চিন্তায় ও আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী। ২. ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু বিশ্বস্ত একজন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। একাধিক যৌনসঙ্গী পরিহার করতে হবে। ৩. নিরাপদ যৌনক্রিয়ার অভ্যাসের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার ছাড়া যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে। অবাধ এবং অবৈধ যৌনক্রিয়া থেকে বিরত থাকাই হলো এইচআইভি সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। ৪. যারা শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ নেয় তাদের বেলায় উৎকৃষ্ট উপায় হলো ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ না নেয়া। যদি তা সম্ভব না হয় তবে এইচআইভি সংক্রমিত রোগীর ব্যবহারযোগ্য সুচ, সিরিঞ্জ, ব্লেড বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি পুনরায় ব্যবহার পরিহার করতে হবে। ৫. এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরও মনে রাখা উচিত, তার ব্যবহৃত সুই বা ইনজেকশনের সিরিঞ্জ অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না। ৬. জীবাণুমুক্ত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। পরে তা ফেলে দিতে হবে বা ধ্বংস করতে হবে। ৭. শরীরে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে, সে রক্তে বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এইচআইভি নেই। ৮. যৌনরোগ বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কারও যৌনরোগ বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে। ৯. যৌনসঙ্গীর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করতে হবে। ১০. এইচআইভি আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে সন্তানের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে যেসব আক্রান্ত মা প্রয়োজনীয় থেরাপি গ্রহণ করেন তাদের গর্ভস্থ সন্তান আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৮৫ ভাগ রোধ করা সম্ভব। ১১. জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিরোধমূলক তথ্য নিয়মিত প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে। কেউ এইচআইভিতে আক্রান্ত হলে কি করণীয় : নারী বা পুরুষ যে কোন মানুষের শরীরে এইচআইভি পাওয়া গেলে তাকে ভয় পাওয়া, ঘৃণা করা বা তার কাছ থেকে দূরে থাকা উচিত নয়। তাকে সমবেদনা জানানো, যতœ করা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। রোগটি ঘৃণার হলেও মানুষ তো আর কোনক্রমেই ঘৃণার পাত্র নয়। তাই শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হলে কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এ কথা সত্য, এইচআইভি পজিটিভ হলেই তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটবে না, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে একজন রোগী দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারবেন। রোগীর আশা ও আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত জরুরী। মনে রাখবেন : ১. কোনভাবেই ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, বরং মানসিকভাবে ভেঙ্গে না পড়ে সহজভাবে এর মোকাবেলা করতে হবে। যে কোন প্রকার দুশ্চিন্তা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে হবে। ২. অবাধ ও অবৈধ যৌন মিলন পরিহার করতে হবে। যৌন মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে। ৩. ব্যবহার্য নিজের জিনিসপত্র যেমন- সেভিং রেজার, ব্লেড, ক্ষুর অন্যকে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। ৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চলতে হবে। সুষম, পরিমিত, পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ৫. দৈনন্দিন চাকরি, ব্যবসা, স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম ও প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চা নিতে চাইলে বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে চাইলে সন্তানের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপসংহার : যেহেতু এখনও এইডসের কোন প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি এবং চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, তাই এই মরণব্যাধি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা, সে অনুযায়ী সচেতন হয়ে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ জীবনযাপন করা। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন কঠোরভাবে পালন করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা শুধু এইডস হওয়ার সময়কে বিলম্বিত করে, পুরোপুরি নিরাময় করে না। জনগণের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ, চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×