ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৯ মাসে অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ঋণ বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

 ৯ মাসে অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ঋণ বেড়েছে ৮  হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ঋণ বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। যা দেয়া হয়েছে ডলারে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের কারণে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকেছে অফশোর ঋণের দিকে। কারণ সেখানে সুদহার মাত্র ৭ শতাংশ। আশঙ্কার খবর হলো যে হারে ঋণ বাড়ছে সে তুলনায় পরিশোধের সামর্থ্য নেই ব্যাংকগুলোর। যা ভবিষ্যতে ডলারের চাহিদা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গত দুই বছর ধরেই দেশের ব্যাংক খাতের উচ্চ সুদ হার ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ীদের কাছে ঋণের সুদ হার হয়ে উঠেছিল আতঙ্কজনক এক বিষয়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর চাপ বাড়ছিল সুদহার কমিয়ে আনার বিষয়ে। বাধ্য হয়েই ব্যাংকগুলোকে ঋণের সুদ ৯ শতাংশ বেধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর তা পরিপালনে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকগুলো অফসোর ইউনিটের মাধ্যমে ঋণ বিতরণকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। ফলে ডিসেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে অফসোর ঋণ ৭ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯ হাজার ৬শ’ কোটি টাকায়। ব্যাংকগুলো তাদের রেমিট্যান্স আয় কিংবা বিদেশী ব্যাংক থেকে ডলার ধারের মাধ্যমে এই ঋণ বিতরণ করে থাকে। গত কয়েক বছর রেমিট্যান্সে ছিল খড়ার টান। তাই অধিকাংশ ব্যাংকই বিদেশি ব্যাংক নির্ভর অফসোর ঋণ দিয়েছে। আশঙ্কার বিষয় হলো, যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ হয়েছে- তা পরিশোধের মতো ডলারের যোগান নেই অধিকাংশ ব্যাংকের। যা ব্যাংকখাতে তৈরি করেছে তীব্র ডলার সঙ্কট। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ডলারের বিপরীতে টাকার অপমূল্যায়ন হয়েছে চোখে পড়ার মতো। সাবেক এই গবর্নর মনে করেন, ব্যাংকগুলো বিদেশী ব্যাংক কিংবা প্রতিষ্ঠানের দায় পরিশোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। ফলে আমদানি ঋণপত্রের খরচ বেড়ে যাবে বহুগুণ। প্রায় দেড় বছর আগে অফসোর ব্যাংকিং ঋণ নিয়মাচারে তৈরি হলেও তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও নির্দেশনা হিসেবে জারি না করা বিস্ময়কর বলে মনে করেন সাবেক এই গবর্নর।
×