ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী টাকায় নিজের ঘেরের পাড় বেঁধেছে মেম্বর !

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

সরকারী টাকায় নিজের ঘেরের পাড় বেঁধেছে মেম্বর !

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ অভয়নগরে ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের যোগসাজশে সরকারের ৯০ হাজার টাকা জলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিজিপি) দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকায় একজন ইউপি সদস্য নিজের মাছের ঘেরের পাড় বাঁধতে ও ভাইয়ের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা প্রশস্তকরণে খরচ করেছেন। সরকারের অর্থ এভাবে চোখের সামনে নিজ কাজে ব্যয় করলেও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প কর্মকর্তা দেখেও না দেখার ভান করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফুলেরগাতী গ্রামের ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিক দিয়ে নিজের বাড়ি সংলগ্ন নিজ জমিতে ঘেরের পাড় বেঁধে সেটাকে রাস্তা বলে চালিয়ে দিয়েছেন। প্রকল্পের নামের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ‘ফুলেরগাতী শক্তিবাবুর বাড়ি হতে ইটের সলিং পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা সংস্কার।’ অথচ সরেজমিনে দেখা গেছে, ইটের সলিং থেকে কোন রাস্তা নেই। বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে দেখা যায়, ইউপি মেম্বর অর্ধেন্দুর মাছের ঘের। ওই ঘেরের পাড়টাই মূলত ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিক দিয়ে বাঁধা হয়েছে। পাড়ের শেষ প্রান্তে শক্তি বাবুর বাড়ি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু বলেন, ভবিষ্যতে আমরা মূল রাস্তা থেকে বিল পর্যন্ত আমাদের জমি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেব। তাই এটা করেছি। সরকারের টাকায় কেবল নিজের ঘের বাঁধার বিষয়টি নিয়মবহির্ভূত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আর অফিসাররা তো দেখেছেন। নিয়ম বহির্ভূত কিনা জানি না।’ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিলের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রথমে মেম্বরের সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘মেম্বরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, ভবিষ্যতে ওই জমি রাস্তা হিসেবেই বিলে যাতায়াতকারীদের জন্য করে দিবেন এবং আগামীতে ফান্ড আসলে ইটের সলিং বসিয়ে রাস্তা করে দেয়া হবে।’ ব্যক্তিগত জমিতে ভবিষ্যতে রাস্তা করা হবে এই শর্তে একজন মেম্বরকে ঘেরের পাড় বাঁধার সুযোগ দেয়া নিয়মবহির্ভূত কি না এমন প্রশ্নে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি এবং স্থানীয় লোকজন প্রথমে বাঁধা দিয়েছিলাম। পরে ওই মেম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসকে ম্যানেজ করে প্রকল্প পাস করে এনেছিল।’ তিনি এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রকল্প অফিস প্রকল্প পাস করলে আমার কি করার আছে বলুন ? উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
×