ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেবা ও সক্ষমতা বাড়ানো জরুরী

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৮ নভেম্বর ২০১৮

সেবা ও সক্ষমতা বাড়ানো জরুরী

মীম ও জুনায়েদের ৪ বছরের সম্পর্ক। সম্প্রতি এই সম্পর্ক বিয়েতে রূপ নেয়ার পথে। এক সন্ধ্যায় বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করতে বসল তারা, ১ মিনিট কথা বলতে না বলতেই কলড্রপ। এমনি করে পরপর ৫ বার কলড্রপের কবলে পড়ল এই জুটি!! এরপর রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে তারা সিদ্ধান্ত নিল সামনাসামনি বসে আলোচনা করবে কিন্তু ফোনে নয়। কলড্রপ আসলে কি? কেন হয় এই কলড্রপ? এ অসহনীয় অবস্থা থেকে একেবারে নিষ্কৃতি পাওয়া কি সম্ভব? কলড্রপ বলতে অনাকাক্সিক্ষতভাবে ফোন কেটে যাওয়াকে বোঝায়। যেটা নেটওয়ার্কের কারণে বা অপারেটরের যে কোন ত্রুটির কারণেই হতে পারে। বিটিআরসির হিসেবে, দেশে চারটি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৪ কোটি ৭ লাখ ১৩ হাজার। ১৬ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে ১৪ কোটি গ্রাহক নেহাতই কম নয়! বরং অনেক বেশি! সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মন্তব্য করেছেন যে, ‘মোবাইল ফোন সেবায় অনেক সমস্যা রয়েছে এর মধ্যে কলড্রপ একটি অন্যতম বড় সমস্যা। তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা গ্রাহক বাড়াচ্ছেন কিন্তু তরঙ্গ বাড়াচ্ছেন না। এটা ঠিক না। গ্রাহকদের সঙ্গে সঙ্গে তরঙ্গও বাড়াতে হবে। আপনারা এমন সেবা দেবেন যাতে কেউ আপনাদের অভিযোগ করতে না পারে। আর আমরাও জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চাই।’ এমনও নজির আছে যে একটা কলে সর্বোচ্চ ৮ বার পর্যন্ত কলড্রপ হয়েছে যা সত্যিই বিরক্তিকর। অবশ্য শুধু মোবাইল অপারেটরদের দোষ দেয়াটাও একপাক্ষিক হয়ে যায় কেননা দেশের বিরাট জনগোষ্ঠী মোবাইল সেবা গ্রহণ করে থাকে, এত গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়াটাও স্বাভাবিক! তবে ঘুরেফিরে প্রশ্ন ওঠে কলড্রপ হলে অপারেটররা কি কোনভাবে মুনাফা লাভ করে কি না!! কেননা কলড্রপের সময় বার বার ফোন করতে হচ্ছে গ্রাহকদের যার ফলে তাদের খরচ ও ভোগান্তি দুই-ই বাড়াছে। কিন্তু এই কলড্রপ একেবারে বন্ধ করাও সম্ভবপর নয়!! মোবাইল ফোন একটি তারবিহীন প্রযুক্তি। কোথাও কোন বনাঞ্চল থাকলে বা সুউচ্চ ভবন তৈরি হলে কিংবা খারাপ আবহাওয়ার কারণেও এই প্রযুক্তি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে এবং ঘটতে পারে অনাকাক্সিক্ষত কলড্রপ! ডাক, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম মনে করেন, ‘কলড্রপের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ক্ষতিটাও কোন না কোনভাবে পুষিয়ে দেয়া প্রয়োজন।’ এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কাছেই প্রস্তাবও আহ্বান করেন তিনি! এসব বিবেচনায় এনে কলড্রপ শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও তরঙ্গের পরিমাণ বাড়িয়ে এর পরিমাণ কমিয়ে এনে জনদুর্ভোগ রোধ করা সম্ভব। কলড্রপের কবলে পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন, আশা করি মোবাইল অপারেটররা আরও বেশি যতœশীল হবেন কলড্রপের ব্যাপারে! সরকারী কেসি কলেজ, ঝিনাইদহ থেকে
×