ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আব্দুল মালেক

তাজউদ্দীনের মুখনিঃসৃত এক অসাধারণ গল্প এবং ঘটনাবহুল নবেম্বর ’৭৫-এর কিছু দৃশ্যপট

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৪ নভেম্বর ২০১৮

তাজউদ্দীনের মুখনিঃসৃত এক অসাধারণ গল্প এবং ঘটনাবহুল নবেম্বর ’৭৫-এর কিছু দৃশ্যপট

(গতকালের পর) রাজধানী ঢাকা নগর সে সময় পরিণত হয়েছিল একটি গুজবের নগরীতে। এমতাবস্থায় মানুষজন স্বভাবতই ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় সমবেত হয়ে মোড়ে মোড়ে জটলা করছিল। এরই ভেতর কে বা কারা মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছিল আতঙ্ক সৃষ্টিকারী অনেক রকম ভুতুড়ে খবর। যেমন ভারতীয় সেনারা ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান নিয়েছেÑ এ রকম আরও কিছু কিছু। তারা জানাচ্ছিল ভারতীয়রাই চার নেতাকে জেলখানার ভেতরে হত্যা করেছে। এরই ভেতর বিষয়টিকে পাকাপোক্ত করতেই যেন ঢাকার আকাশে আকস্মিকভাবে মহড়া দেয়া শুরু করল হ্যালিকপ্টার ও বোমারু বিমান। ফলে ভীতি ও ত্রাসের সঞ্চার হতে থাকে মানুষের মনে। এরপর ৫ নবেম্বর আমি এবং বন্ধু হিরু হল থেকে বেরিয়ে টিএসসির দিকে এগোতে লাগলাম। সেখান থেকে দেখতে পেলাম কার্জন হলের সামনে তিন নেতা শেরে বাংলা ফজলুল হক, সোহ্্রাওয়ার্দী ও নাজিমুদ্দিনের মাজারের কাছাকাছি কিছু কবর খোঁড়া হচ্ছে। এর সার্বিক তদারক করছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ। যারা মাটি খোঁড়ার কাজ করছিলেন তাদের তিনি ক্ষণে ক্ষণে তাগাদা দিয়ে বলছিলেন, ত্বরিত গতিতে কাজটি সমাধা করার জন্য। একসময় উৎসুক জনতার প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিষণœতা ভরা উচ্চকণ্ঠ নিয়ে জানালেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যে সমস্ত নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন করে স্বাধীন করেছিলেন দেশকে, কারাগারের অভ্যন্তরে সেই চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানালেন, কিছুক্ষণের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর মরদেহ জানাজা করা হবে পল্টনে এবং এরপর সেখান থেকে তিন নেতার মাজারে এনে তাদের সমাধিস্থ করা হবে। এরপর নানা কথার স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে একসময় বললেন, ‘পৃথিবীতে জাতীয় নেতাদের সমাধিতে রয়েছে বিশাল বিশাল স্মৃতিস্তম্ভ। বাঙালী জাতির নেতাদের জন্যও এখানে বিশাল এক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। হয়ত আমরা ভবিষ্যতে এখানে জাতির পিতারও দেহাবশেষ নিয়ে আসব টুঙ্গিপাড়া থেকে। সেই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।’ এমন সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি জিপ এই কর্মকান্ডের পাশে এসে দাঁড়ালো। একজন ডিএসপি মহিউদ্দিন সাহেবকে লক্ষ্য করে বললেন- স্যার আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে। তিনি তখন উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক পাটমন্ত্রী শামসুল হককে দেখিয়ে দিয়ে বললেন- ‘কোনো কথা থাকলে ওনাকে নিয়ে যান। দেখছেন তো আমি এখানে চার নেতার কবর খোঁড়ার তদারকিতে ব্যস্ত।’ পুলিশ জিপে করে শামসুল হককে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নিয়ে গেলেন। এদিকে জনতার ভিড় ক্রমশ বেড়েই চলছিল। এক পর্যায়ে জনতার ভীড় বড়সড় একটি আকার নিতেই ফের পুলিশের গাড়িটি ফিরে এলো। এরপর গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে পুলিশের এক কর্মকর্তা জনতাকে সেখান থেকে সরে যেতে হুকুম দিলেন। এরপর মহিউদ্দিনের কাছে ফিরে এসে তাঁকে তাদের সাথে যাবার জন্য অনুরোধ করলেন পুনরায়। ইতোমধ্যে কিছু মানুষ নির্দেশ মেনে চলে গেলেও বহুজনই সেখান থেকে সরে যেতে অনীহা প্রকাশ করলেন। তখন পুলিশ তাদের লাঠি দিয়ে প্রহারে উদ্যত হলে পরিস্থিতি সুবিধাজনক নয় ভেবে লোকজন সরে যাচ্ছিলেন। আমরাও এখান থেকে সরে যাওয়া বাঞ্চনীয় ভেবে সে স্থান ত্যাগ করলাম। কিছুদূর গিয়ে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখতে পেলাম পুলিশ দল মহিউদ্দিন সাহেবকে ঘিরে দাঁড়িয়ে এবং তিনি চিন্তিত এবং বিষণœ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন। উল্লেখ্য ওই ভয়াবহ সময়টিতে ট্যাংক বেষ্টিত সোহরাওয়ার্দী পুলিশ কন্ট্রোল রুম ছিল খুনি ফারুক-ডালিম চক্রের টর্চার সেল। ১৫ আগস্টের পর আব্দুর রাজ্জাক এবং তোফায়েল আহমেদসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে দিনের পর দিন। এক টেলিফোন আলাপে ৪ নভেম্বর মিছিলে খালেদ মোশারফের মার সাথে অন্যতম নেতৃত্ব দানকারী আখতারুজ্জামান আমাকে সাম্প্রতিক সময়ে জানালেন, ৩ নভেম্বর রাতে তাজউদ্দীনসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করার বিষয়টি তখন দেশব্যাপী গোপন রাখা হয়েছিল বলে ৩২ নম্বরে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা কিছুই জানতেন না। তারপর সেই মর্মন্তুদ ঘটনা জানাজানি হলো একসময়। তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে আরও বললেন, এরপর নেতাদের শবদেহ আনতে না দেয়ায় ৫ নভেম্বর বায়তুল মোকাররমে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার স্মরণে একটি বিশাল গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের অনেক সাংসদসহ সেদিন উপস্থিত জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের ঢল বায়তুল মোকাররমকে ছাড়িয়ে চলে গিয়েছিল গুলিস্তান পর্যন্ত। জনতার হাতে তখন ছিল বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং খুনি চক্রের ফাঁসির দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন। জানাজা শেষে তারা উদ্দীপিত হয়েছিলেন সেøাগানে সেøাগানে। ঐ সময়টিতে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে খুনি চক্র ফারুক ডালিম গংদের সাথে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের একটি ক্ষমতার ট্যাগ অফ ওয়ার চলছিল। মুহূর্তটিতে খালেদ মোশাররফের অবস্থান ছিল শক্তিশালী। বলা হয় তার আপত্তির কারণে চার নেতার জানাজা পল্টনে করা সম্ভব হয়নি। পরদিন খালেদ মোশাররফ মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং জিয়ার স্থলে তাকে সেনা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর জেনারেল শফিউল্লাকে সরিয়ে খন্দকার মোশতাক সেনাপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছিল জিয়াউর রহমানকে। কিন্তু জিয়া সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন। সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ তখন মুজিব ও তার পরিবারের হত্যাকারী উশৃঙ্খল উদ্ধত ফারুক-ডালিম চক্রকে দমনসহ সেনাবাহিনীতে কমান্ড ও চেইন প্রতিষ্ঠার জন্য মোশতাক ও জিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু ৬ নবেম্বর দিবাগত রাতের মধ্য পর্যায়ে মহসীন হলে আচমকা শোনা যেতে লাগলো সুউচ্চ সেøাগান। রুম থেকে বের হয়ে সবাই দেখলো ১৫/২০ জন জাসদ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী মিলে সেই সেøাগানের কেন্দ্রে। তাদের ভাষা ছিল এ রকম যে, জাসদের নেতৃত্বে দেশে একটি বিপ্লব হয়েছে। তারা আরও সোৎসাহে আরও ধ্বনি তুলছিলো যেÑ মুজিববাদী ছাত্রলীগ ধর আর গুলি কর ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সাথে ঘোষণা করছিলো, কাল বিকেলে শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে এক জনসভা। সেখানে বক্তব্য রাখবেন কারাগার থেকে মুক্ত জাসদ নেতা আসম রব। এরপর জনসভা থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়া হবে ক্যান্টনমেন্ট অভিমুখে। হলের অনেকের সাথে আমরা একটি দল সাত নবেম্বর সকালে কৌতূহল নিয়ে হাঁটা দিলাম শাহবাগ অভিমুখে। ঢাকা ক্লাবের উল্টো দিকে কিছু উৎসুক সাধারণ দাঁড়িয়ে। সেখানে একটি দৃশ্যে দেখা গেলো কয়েকটি ট্রাকে কিছু সেনা সদস্য হাইকোর্ট অভিমুখে একবার করে যাচ্ছে তারপর রেডিও অফিস চক্কর দিয়ে আবার ফিরে আসছে। এরই মধ্যে সেনারা উপস্থিত কিছু উৎসাহী লোককে সেই ট্রাকে উঠিয়ে নিতে শুরু করলো। আর তারা ট্রাকে উঠে সেøাগান দিতে শুরু করলো ‘রুশ-ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান’- এই কর্মকান্ডটি দুপুর পর্যন্ত দেখে ফিরে গেলাম হলে। এই ছিল আমাদের স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করা বহুল কথিত সিপাহী জনতার বিপ্লব। বিকেলে হিরুসহ উপস্থিত হলাম শহীদ মিনারে জাসদের মিটিং শুনতে। কিন্তু দেখা গেল বিকেলের যে সময়টি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু বহু সময় পেরিয়ে যাবার পরেও কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত হতে দেখা গেলো না। কেবল মধ্যম সারির নেতারা কখনো উদ্দীপ্তভাবে কখনো বিচ্ছিন্নভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নামে সেøাগান তুলছেন। অবশেষে তাদেরই কেউ একজন বক্তৃতা শুরু করলেন আর শুরু হওয়া মাত্র সমগ্র এলাকা প্রকম্পিত করে কোথা থেকে শুরু হলো ছররার মতো গুলি। সমুদয় উপস্থিত শ্রোতা এবং বক্তাগণ তখন পালাতে শুরু করেছেন মূল্যবান জীবন বাঁচাতে! ॥ চার ॥ তাজউদ্দীন সাহেব সেদিন গল্প শুরু করেছিলেন এভাবেই। একটি বসতিহীন অঞ্চলে ছিল মাইলের পর মাইল জুড়ে কেবলই দুর্ভেদ্য কন্টকাকীর্ণ ঘন জঙ্গল আর আগাছার সমাহার। অথচ সেখানে একটি রেল লাইন নির্মাণ করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই বন-জঙ্গলে যে বাসা বেঁধে আছে নানা হিংস্র প্রাণী। যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কোনো মানুষ প্রবেশ পর্যন্ত করতে পারে না সেখানে কিভাবে এমন কর্মসাধন হবে, কে নেবেন এই দুঃসহ কর্মকান্ডের ভার? কিন্তু সেই অঞ্চলে ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা সাহসী ও কর্মঠ মানুষ। তিনিই আগুয়ান হয়ে সেই দুঃসাধ্য ব্রতে গ্রহণ করলেন অগ্রবর্তী ভূমিকা। তিনি জঙ্গল সাফ করার জন্য উদ্দীপ্ত করলেন চারপাশের জনতাকে- তাদের নিয়ে তৈরী করলেন তার দলবল। সংগৃহিত হলো জঙ্গল কাটার হাতিয়ার সমূহ। জঙ্গল সাফ করার কাজে সফল হবার পর সেই শূন্য প্রান্তরে দুরান্তর থেকে আনা হলো রেল লাইন তৈরির লোহালক্কড়-পাথর ইত্যাদি। তারপর এসবের ওপর বসিয়ে দেয়া হতে লাগলো এক একটি করে রেল লাইনের পাত। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল সুদীর্ঘ এক রেল লাইন। কিন্তু সেখানেই কাজের শেষ নয়। তখন রেল দাঁড়াবার জন্য তৈরি করতে হল স্টেশন ঘর। এরপর নিয়ে আসা হলো রেলগাড়ি চালানোর একটি ইঞ্জিন। সেই ইঞ্জিনের সাথে সংযোজন করার জন্য নিয়ে আনা হলো অগুণতি বগি। এরপর সেগুলো জোড়া দিয়ে ট্রেন ইঞ্জিনের সাথে লাগিয়ে দেবার পর চলা শুরু করলো রেল গাড়ি। এবার তিনি কিছু ভাবতে ভাবতে চুপ করে রইলেন কিছুক্ষণ। এরপর গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন সর্বভৌম দেশ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন এইরকম অবস্থা থেকে। শূন্য থেকে দুঃসাধ্য এক কাজের মধ্য দিয়ে দুর্গম বনাঞ্চল সাফ করে প্রস্তুত করেছিলেন আমাদের আজকের এই রাষ্ট্রীয় ট্রেন যাত্রা। রেলগাড়ি রূপি এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে তিনি যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করেছেন, তারপর সেই ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব হলো দেশের সকল মানুষের। বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রে পরিণত করার আজকের যে সংগ্রাম তার দায়িত্ব এখন এককভাবে বঙ্গবন্ধুর নয়, আমাদের সবার। তাঁর বিরুদ্ধে আজকের বিরোধী মহলের এই বিষোদ্গার, অপপ্রচার, অহেতুক বিরোধিতা ও সমালোচনা করা বন্ধ করতে হবে।’ বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাজউদ্দীন আহমেদের এই মূল্যায়ন এবং এই নিঃশর্ত আনুগত্য দেখে আমাদের মুখে আর কোনো প্রশ্ন আসেনি। এরপর আমাদের বিদায় নিতে হয়েছিল নির্বাক শ্রদ্ধাবনত চিত্তে। নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি এই আনুগত্য সম্মান ও ভালোবাসা তাজউদ্দীন আহমেদসহ জাতীয় চার নেতা বহন করে গেছেন আমৃত্য। জীবনের পরম সত্যকে হারিয়ে যেতে দেননি। ঘাতকের অস্রের সামনে ভীত হয়ে বা মোহ বশবর্তী হয়ে দলের আরো কিছু নেতার মতো বিসর্জিত বিবেক নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারতেন। কিন্তু পরিবর্তে বুলেট মেশিনগানের গুলির সামনে বিলিয়ে দিয়েছেন প্রাণ। ইতিহাসের মীরজাফরদের পরিণতি মানুষ দেখেছে যুগে যুগে- আর বীরদের কথা লেখা থাকে স্বর্ণাক্ষরে। তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল, কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলীরা আজও তাই জনগণের হৃদয়ে নক্ষত্রের মতো চির জাগরূক হয়ে আছেন- থাকবেন যুগের পর যুগ। (সমাপ্ত) লেখক : আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
×