ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইরান-বাংলাদেশের প্রথম যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘দিন দ্য ডে’

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

 ইরান-বাংলাদেশের প্রথম যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘দিন দ্য ডে’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বেশ কিছু দিন ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং অভিনয়ের সঙ্গে নেই চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। তবে এবার অনেকটাই চমক নিয়েই হাজির হচ্ছেন তিনি। ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘দিন-দ্য ডে’ নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয়ও করবেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা জুটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনন্তর পজিটিভ ইমেজ তৈরি হবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে ইরানের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অনন্ত জলিল। বিষয়টি ইরান থেকে নিশ্চিত করেছেন নির্মিতব্য চলচ্চিত্রটির ইরানী অংশের পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুমিত আল রশিদ। মুমিত আল রশিদ জানান, ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দিন- দ্য ডে’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের অনন্ত জলিল। সম্প্রতি তেহরানে চলচ্চিত্রটির চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে চলচ্চিত্রটির প্রি-প্রোডাকশন নিয়ে ব্যস্ত আছেন ইরানী নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। আগামী ডিসেম্বর থেকে চলচ্চিত্রের শূটিং শুরু হবে জানিয়ে মুর্তজা অতাশ জমজমের উপদেষ্টা আরও জানান, বিষয়টি বিস্তারিত জানাতে আমরা খুব শীঘ্রই ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। এ চলচ্চিত্রের ইরানের পরিচালক, অভিনেতা অভিনেত্রী, লেবাননের অভিনেতা অভিনেত্রী এবং সিরিয়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। পরবর্তীতে ইরানেও আমরা ‘দিন-দ্য ডে’র শুভ মহরত করব। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে শূটিং শুরুর পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশ, ইরান, সিরিয়া ও লেবাননে চলচ্চিত্রের শূটিং হবে। চলচ্চিত্রে দেখানো হবে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গীগোষ্ঠী কীভাবে বিশ্বের মুসলিম তরুণদের বিপথগামী করেছে। মূলত বিপথগামী মানুষদের ফিরিয়ে আনতেই ‘দিন-দ্য ডে’র চিত্রনাট্য তৈরি হচ্ছে বলে জানান মুমিত। চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে অনন্ত জলিলকে। অনন্তর বিপরীতে দেখা যাবে চিত্রনায়িকা বর্ষাকে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনন্তর ইতিবাচক ইমেজ তৈরি হবে বলেও জানান ইরানী নির্মাতার এই উপদেষ্টা। প্রসঙ্গত, ইরানী নির্মাতা মুর্তজা অতাশ এখন পর্যন্ত ৪০টির মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘মালিখুলিয়া’ ও ‘সিমিন’ উল্লেখযোগ্য। চিলড্রেন এ্যান্ড ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভালে পুরস্কৃতও হয়েছে ‘সিমিন’। এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন এই নির্মাতা। ত্রিশ মিনিট ব্যাপ্তির এই ডকুমেন্টারি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মুমিত আল রশিদ। যা গত ফজর ইন্টারনেশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শিত হয়েছে। যা সব শ্রেণীর দর্শকের কাছে প্রশংসাও পেয়েছে। ‘বোদ্ধাস শেম’ নামের ওই ডকুমেন্টারি ফজর ফিল্ম ফেস্টিভাল, রোম ফেস্টিভাল, আমস্টারডাম ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শনের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।
×