ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

এনামুল হক

নীল আর্মস্ট্রং ॥ মৃত্যু যাকে বার বার তাড়া করেছিল

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

নীল আর্মস্ট্রং ॥ মৃত্যু যাকে বার বার তাড়া করেছিল

নাসা সেই দিনটি সম্পর্কে তেমন কিছুই বলে না যেদিন নীল আর্মস্ট্রং প্রায় মারাই যেতে বসেছিলেন। ঘটনাটা ঘটেছিল চাঁদের বুকে প্রথম মানব হিসেবে আর্মস্ট্রংয়ের পা রাখার এক বছর আগে ১৯৬৮ সালের ৬ মে। তখনও এপোলো ১১ মিশনের অধিনায়ক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে তিনি শর্ট লিস্টে ছিলেন এবং প্রত্যেকেই তা জানত। আরও একটা কথা। একটি দুর্ঘটনার কারণে নাসার হাতে রক্তের দাগ তখনও শুকায়নি। প্রথম মানববাহী এপোলো মিশনের চাঁদে যাত্রার কথা ছিল ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭। কিন্তু ২৭ জানুয়ারি এক প্র্যাকটিস সেশনে কমান্ড মডিউলে আগুন লেগে তিন নভোচারী প্রাণ হারায়। এ ছিল এক মস্ত ট্র্যাজেডি। সে জন্যই চাঁদে যাওয়ার এক বছর আগে আর্মস্ট্রং লুনার ল্যান্ডিং রিসার্চ ভেহিকলে (এলএলআরভি) ট্রেনিং মিশনে ওড়ার সময় যে দুর্ঘটনা ঘটে সেটাও চেপে যাওয়া হয়েছিল। এলএলআরভি ছিল চার পাওয়ালা একটি মেশিন বিশেষ আকারে ছোটখাটো একটা ট্রাকের সমান। এর কাজ ছিল প্রকৃত লুনার মডিউলের অনুকরণে ওড়া। কিন্তু টেক্সাসের মহড়াস্থলে মাটি থেকে দশ ফুট উপরে থাকতেই এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। আর্মস্ট্রং এটাকে বাগে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালান। কিন্তু ভাগ্য তার প্রসন্ন ছিল না। ল্যান্ডিং ভেহিকলটি মাটিতে পড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার মাত্র ২ সেকেন্ড আগে তিনি নিজেকে ইজেক্ট করে যান থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসেন এবং ল্যান্ডার বিধ্বস্ত হয়ে কালো ধোঁয়ার যে বিশাল কু-লীর সৃষ্টি হয়েছিল তার মধ্য দিয়ে প্যারাসুটযোগে নেমে আসেন। এক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাক অবস্থার আর্মস্ট্রংকে অফিসে তার ডেস্কে বসে ঘটনার ওপর রিপোর্ট লিখতে দেখা যায়। বাস্তব জীবনের এই ঘটনাবলীর সমাবেশ দেখা যাবে আর্মস্ট্রংয়ের জীবনী নিয়ে তৈরি নতুন ছায়াছবি ‘ফার্স্ট ম্যান’-এ। জেমস আর হানসেন রচিত গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত ছায়াছবির পরিচালক ডেমিয়েন শাজেল। তাঁর লা লা ল্যান্ডখ্যাত তারকা গসলিং এতে আর্মস্ট্রংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবিতে দেখা যাবে ১৯৬৮ সালের ৬ মের সেই দুর্ঘটনায় মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া আর্মস্ট্রং প্রথমে বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ থেমেছিলেন। সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে বরফ দেয়া চা তাড়াহুড়েই করে খেয়ে গাড়ি নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন নিজ কর্মস্থলে। চাঁদে যাবার অদম্য স্পৃহা থেকেই তিনি যেন এভাবে ছুটছিলেন। আর্মস্ট্রং একা ছুটে চলেননি। তার সঙ্গে ছুটে চলেছিলেন প্রায় ৪ লাখ লোক যারা ১৯৬০-এর দশকে চন্দ্রাভিযানের জন্য কাজ করেছিল। ১৯৬২ সালে প্রেসিডেন্ট কেনেডি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন যে, ওই দশকের শেষ দিকে আমেরিকা চাঁদে মানুষ পাঠাবে। সেই চ্যালেঞ্জ, সেই অঙ্গীকার রক্ষা করেছিল আমেরিকা। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে পা রেখেছিলেন। সেই মহা অভিযানের এখন ৫০ বছর হয়েছে। এ সময় গঙ্গা-যমুনা দিয়ে অনেক পানি প্রবাহিত হয়েছে। অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। সেই নীল আর্মস্ট্রংয়ের মতো অকুতোভয় ও দুঃসাহসী এক মানুষ এবং এপোলো ১১ এর সাফল্যগাথা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ এমন এক সময় হলো যখন পাঁচ দশকের মধ্যে প্রযুক্তি, মানুষের চিন্তাচেতনা ও আচরণ অনেক বদলে গেছে। তখন ইন্টারনেট ছিল না। কম্পিউটারের শক্তি ছিল অনেক দুর্বল। এখন ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের কোথায় নিয়ে গেছে। তখন হোয়াইট হাউসে ছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি যিনি মহাকাশ অভিযান বিশেষ করে চন্দ্রাভিযানে জোরালো প্রেরণা সৃষ্টি করেছিলেন। আজ হোয়াইট হাউসে আছেন এমন এক মানুষ যিনি কোন কিছুতেই প্রেরণা সৃষ্টি করেন না। তখনকার স্যাটার্ন ভি রকেট প্রস্তুতকারী নাম না জানা ইঞ্জিনিয়ারদের স্থান দখন করেছেন ব্যবসায়ী এলান মাস্ক যিনি গাড়ি ও রকেট দুটোই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করেন। এদের কারোর সঙ্গেই আর্মস্ট্রংয়ের তুলনা চলে না। তিনি ছিলেন থোকায় থাকা সেই পুষ্পের মতো যিনি নিজেকে সূর্যের আলোয় গুটিয়ে নেন এবং অন্ধকারে উন্মোচিত করেন। তিনি এমন এক মানুষ যিনি স্বল্পভাষী এবং দৃঢ় দিকচক্রবলে অবস্থান করতেই অভ্যস্ত। এমন একজন মানুষের ওপর বিশ্বাসযোগ্য ছায়াছবি তৈরি করাই পরিচালক শ্যাজেলের জন্য ছিল চ্যালেঞ্জের অংশ। ১৯৬১ সালে নাসার টেস্ট পাইলট হিসেবে আর্মস্ট্রং একটা রকেট প্লেন চালানোর সময় বিমানটি অনধানবশত বায়ুম-ল থেকে ছিটকে স্ট্র্যাটোস্কিয়ারে চলে যায়। আর্মস্ট্রং যদিও বিমানটিকে মোজেভ মরুভূমিকে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন তথাপি তার সহকর্মীরা এই ঘটনায় এবং তখনকার সময়ে তার হাতে সংঘটিত কিছু কিছু দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন এবং মনে করেন তাঁর মন বিক্ষিপ্ত থাকার কারণে এসব ঘটছে। এ অবস্থায় তাঁকে গ্রাউন্ডে রাখা হয়। মন বিক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ যে ছিল না তা নয়। তার শিশুকন্যা কারেনের ব্রেন ক্যান্সার হয়েছিল। তাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে আর্মস্ট্রং কন্যার শারীরিক লক্ষণগুলোর বিস্তারিত বিবরণ খাতায় লিখে রেকর্ডভুক্ত করে রাখতে থাকেন এবং পাগলের মতো সম্ভাব্য চিকিৎসা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে চলেন। কিন্তু অচিরেই কন্যাটি মারা যায়। আর্মস্ট্রং তখন ‘প্রজেক্ট জেমিনির’ জন্য দরখাস্ত করেন এবং তাঁকে নাসা এস্টনট গ্রুপ-২ এ গ্রহণ করা হয়। আর্মস্ট্রং, তার স্ত্রী জানেট, তাদের পুত্রসন্তান রিক হিউস্টনে চলে এসে অন্যান্য নভোচারী পরিবারের পাশে মিলে মিশে থাকেন। সিভিলিয়ান টেস্ট পাইলট এলিয়ট সী ও এডওয়ার্ড হোয়াইটের সঙ্গে আর্মস্ট্রংয়ের বন্ধুত্ব হয়। আর্মস্ট্রংয়ের ট্রেনিং শুরু হলে নতুন নভোচারীদের জেমিনি কর্মসূচীর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়। বলা হয় যে সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশ প্রতিযোগিতার প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে পিছিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। এ সময়ের দিকে আর্মস্ট্রং দম্পতির দ্বিতীয় পুত্র মার্ক ভূমিষ্ট হয়। ১৯৬৫ সালের মধ্যে পরিবারটি হিউস্টনে পাকাপোক্ত হয়ে বসবাস করতে থাকে। নভোচারী দলের একজন হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। সোভিয়েতরা প্রথমবারের মতো মহাকাশযানের বাইরে গিয়ে মহাশূন্যে পদচারণা সম্পন্ন করার পর আর্মস্ট্রংকে জানানো হয় তিনি হবেন জেমিনি ৮ মিশনের কমান্ডার এবং ডেভিড স্কট হবেন এর পাইলট। এই মিশনে যাওয়ার আগে তার বন্ধু এলিয়ট সী ও চার্লস বাসেট টি-৩৮ দুর্ঘটনায় নিহত হন। আর্মস্ট্রং ও স্কট জেমিনি ৮ মিশন সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণ কাজ সম্পন্ন করেন এবং এজিনা টার্গেট ভেহিকলের সঙ্গে গিয়ে ভেড়েন। কিন্তু এর পর পরই নভোযানটি দ্রুতগতিতে পাক খেতে থাকে। আর্মস্ট্রং প্রায় ব্ল্যাক আউট হয়ে গিয়েছিলেন। কোনভাবে সামলে নিয়ে তিনি আরসিএস থ্রাস্টার চালু করে মিশন অপূর্ণ রেখে ফিরে আসেন। এ জন্য আর্মস্ট্রং সমালোচিত হলেও নাসা উপসংহারে পৌঁছে সে ব্যাপারটা ক্রুর দোষ নয়, তিনি ঠিক কাজই করেছেন। পরে হোয়াইট জানান যে, তিনি এপোলো-১ মিশনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যাবেন গ্রাস গ্রিসম ও রজার শাফি। কিন্তু ১৯৬৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ঘটে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেদিন প্লাগস আউট টেস্ট চলাকালে এপোলো-১ এর তিন ক্রু গ্রাস গ্রিসম, এডওয়ার্ড হোয়াইট ও রজার শাফি এক অগ্নি দুর্ঘটনায় নিহত হন। আর্মস্ট্রং সে সময় হোয়াইট হাউসে নাসার প্রতিনিধিত্ব করছিলেন বলে রক্ষা পেয়ে যান। পরের বছর আরেক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন আর্মস্ট্রং। লুনার ল্যান্ডিং রিসার্চ ভেহিকেল পরীক্ষামূলক উড্ডয়নকালে টেক্সাসের মহড়াস্থলে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বংস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি ইজেক্ট করে প্যারাসুটযোগে নেমে আসতে পেরেছিলেন। তারপর এলো সেই দিন যেদিন তাঁর নেতৃত্বে এপোলো-১১ চন্দ্রাভিযানে যাত্রা করল। তার আগেই তাকে বলে দেয়া হয়েছি সম্ভবত তিনিই হবেন চাঁদের বুকে অবতরণকারী প্রথম মানব। এই অভিযানের বিপদ এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি তিনি জানতেন। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তিনি পৃথিবীর বুকেই নাসার বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তার ঘনিষ্ঠ কয়েক বন্ধু নভোচারীকে হারিয়েছিলেন। তাদের স্মৃতিগুলো তখনও তাকে বেদনাপ্লুত করে রেখেছিল। হিউস্টনের বাড়ি থেকে কেপ ক্যানাভেরাল রওনা হওয়ার এবং সেখান থেকে চাঁদের বুকে পাড়ি জমানোর আগের রাতে আর্মস্ট্রংয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন তার স্ত্রী জানেট। বলেছিলেন, এই মিশনের ঝুঁকির ব্যাপারটা তিনি যেন তাঁর দুই ছেলেকে বুঝিয়ে বলেন। আর্মস্ট্রং তখন নিজেকে গোছগাছ করার কাজে ব্যস্ত রেখেছিলেন। বেশি করে এবং বড় ধীরে সুস্থেই গোছগাছ করছিলেন। কারণ যতক্ষণ নিজেকে এমন কাজে ব্যস্ত রাখতে পারবেন ততক্ষণ দুই ছেলে রিক (১২) ও মার্কের (৬) মুখোমুখি হতে হবে না। তারা ঘুমাতে যাবে। গুডবাই বলাÑ সেটা নাকি হতে পারে শেষবারের মতো বলা সেটা তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন। জানেট বললেন, ‘ওদের নিয়ে তুমি বসো’ বুঝিয়ে বলে মানসিকভাবে ওদের প্রস্তুত করে তোল কে তুমি আর ফিরে নাও আসতে পার। এ কাজটা তোমাকেই করতে হবে, আমাকে নয়। আমার যা বলার বলেছি।’ কাজেই আর্মস্ট্রং দুই ছেলেকে ও স্ত্রীকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলেন এবং তার নিজের ভঙ্গিতে বললেন। যতটা সম্ভব দুই ছেলের কাছে গোটা ব্যাপারটা খুলে বলার যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন। রিক জিজ্ঞেস করল ‘তোমার কি মনে হয় তুমি আবার ফিরে আসবে?’ আর্মস্ট্রং বললেন, ‘এই মিশনের ব্যাপারে আমাদের সত্যিকারের আস্থা আছে। ঝুঁকি তো আছেই। তবে ফিরে আসতে পারার সর্বাত্মক অভিপ্রায় আমাদের রয়েছে।’ মার্ক তাঁর বাবাকে জড়িয়ে ধরল। রিক শুধু করমর্দনই করল। মার্ক আজ বলেন, ‘সেই মিটিংয়ের কথাটা আমার মনে আছে। কারণ ডাইনিং রুমে আমাদের কদাচিৎই এভাবে দেখা সাক্ষাত হতো। ওই মিটিং থেকে আমি খুবই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলে এসেছিলাম যে বাবা আরেক অভিযানে যাচ্ছেন এবং ক’দিন পরই তাঁর সঙ্গে আবার আমাদের দেখা হবে।’ নীল আর্মস্ট্রং হয়ত সেই মুহূর্তে পারিবারিক বন্ধনের উষ্ণতা তীব্রভাবে অনুভব করছিলেন। ছায়াছবিতে তার চেহারায় এই অভিব্যক্তিটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আর একটি মধুর দৃশ্য আছে। বাচ্চাদের নিয়ে খেলছেন আর্মস্ট্রং। বাড়ির চারদিকে হুড়োহুড়ি, ছুটাছুটি চলছে। বাবা তাড়া করছেন বাচ্চাদের। ওদের পেছনে ছুটতে ছুটতে একজনকে ধরে ফেলে স্ত্রী জানেটের উদ্দেশে বিজয়ীর কণ্ঠে বলে উঠেছেন ‘ধরে ফেললাম একটাকে’Ñ যেন তিনি কুকুরছানা ধরছেন। এপোলো-১১ বাধাবিঘœ ছাড়াই সাফল্যের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। তাঁদের বুকে নেমেছিল চতুর্থদিনে। আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন লুনার মডিউলকে এপোলো যান থেকে বিচ্ছিন্ন করে চাঁদে নামার চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু নিচের দিকে নামবার সময় অলড্রিন বুঝতে পারেন জায়গাটা বড় বড় পাথরে পূর্ণ। তখন আর্মস্ট্রং মডিউলটির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে বালুময় জায়গায় নামান। এতে অবশিষ্ট জ্বালানির অতি সামান্যই খরচ হয়েছিল। চাঁদের মাটিতে প্রথমে নেমে আসেন আর্মস্ট্রংয়ের ২০ মিনিট পর নামেন অলড্রিন। দু’জনে একত্রে সোয়া দুই ঘণ্টা চাঁদের বুকে পদচারণা করেছেন, বিভিন্ন নমুনা নিয়েছেন। লুনার মডিউলে ফিরে আসার আগে আর্মস্ট্রং একটি গর্তের মধ্যে ছুঁয়ে দিয়েছিলেন একটা ব্রেসলেটÑ সেটা ছিল ব্রেন ক্যান্সারে মারা যাওয়া তার অতি প্রিয় কন্যা কারেনের। সূত্র : টাইম
×