ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেলেন সালমারা

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেলেন সালমারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নবেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ নারী দল আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত চূড়ান্ত দলে ১৫ ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। সেই ক্রিকেটাররা মঙ্গলবার বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেলেন। সন্ধ্যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন সালমারা। বিশ্বকাপ শুরু হবে ৯ নবেম্বর। শেষ হবে ২৪ নবেম্বর। বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলে বাংলাদেশ মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। ৪ নবেম্বর প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ৬ নবেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে খেলবে সালমা খাতুনের দল। ৯ নবেম্বর বিশ্বকাপের মিশনে নামবে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াই করবে। এরপর ১২ নবেম্বর ইংল্যান্ডের, ১৪ নবেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১৮ নবেম্বর মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২২ নবেম্বর হবে সেমিফাইনাল দুটি। ২৪ তারিখ ফাইনাল হবে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলম, ফারজানা হক, খাদিজা তুল কুবরা, ফাহিমা খাতুন, আয়েশা রহমান, শামিমা সুলতানা, নাহিদা আক্তার, পান্না ঘোষ, রিদু মণি, সানজিদা ইসলাম, নিগার সুলতানা, লতা ম ল, শারমিন আক্তার। অধিনায়ক সালমা। তিনি বিশ্বকাপ নিয়ে বলেছেন, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমরা ১০-১২ দিন আগে যাচ্ছি। ওদের কন্ডিশন, আবহাওয়া আর উইকেট সবই আমাদের অজানা। আমরা যেহেতু আগে যাচ্ছি তাই আশা করছি সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমরা ভাল করব।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘প্রতিটি ধাপই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে আমরা ভালবাসি, তাই এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি আমরা। আশাকরি, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ’ খেলে এগোতে পারব। সেখানে গিয়ে আমরা দেখব কি করা যায়। সবাই এই মুহূর্তে দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আশাকরি এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য দারুণ হতে যাচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি আমাদের কয়েকজন উইকেটটেকার স্পিনার আছে। এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ওরা নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। স্পিনাররা এখন আরও পরিণত। আমরা এশিয়া কাপ জিতেছি, সেটা দিয়ে আমাদের মান যাচাই করা ঠিক হবে না। বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচে যদি আমরা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারি সেটাই হবে সবচেয়ে বড় পাওয়া। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্বকে জানিয়ে দেয়া যে, আমরা এই পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে পারি।’
×