ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

শেখ হাসিনার কাছে জাতির অনেক ঋণ

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৬ অক্টোবর ২০১৮

শেখ হাসিনার কাছে জাতির অনেক ঋণ

বিগত শতাব্দীর প্রথমার্ধ-১৯২০ সালের ১৭ মার্চ এবং ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর- দুটি স্মরণীয় দিন। প্রথমটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অপরটি তাঁর কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার জন্মদিন। পিতা বাঙালীর হাজার বছরের স্বপ্নসাধ স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা পিতা-কন্যা আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটালাইজড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রনেতা। আজকের লেখা মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে। তারপরও অন্য প্রসঙ্গ টানতে হলো। শেখ হাসিনা বরাবরই দেশে তো বটেই বহির্বিশ্বে সমভাবে সমাদৃত এবং সম্মানীয়। যে কারণে অধিকাংশ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানই তাঁকে আগাম উইশ করলেন যে, ‘বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের পরও আপনাকে একই পদমর্যাদায় ক্ষমতায় দেখতে চাই। দেখব আশা করি। (We want to see you in your present position as prime minister of Bangladesh and We belive we would see.) এই ধরনের একটি কমপ্লিমেন্ট এমনি এমনি আসে না। বিশ্ব নেতৃত্ব পর্যবেক্ষণ করেছেন কিভাবে মাত্র এক দশকে শেখ হাসিনা এক দরিদ্র ঝড়-ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মহাসড়কে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন, লক্ষ্য উন্নত দেশগুলোর কাতারে শামিল হওয়া। তাই বহু দেশ আজ বাংলাদেশকে তাদের রোলমডেল মনে করছে। শেখ হাসিনা নিজে যেমন উঁচুমানের ব্যক্তিত্বের অধিকারী তেমনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণ তথা বাঙালী জাতিকেও উঁচুমানের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এটি দেখছেন। শেখ হাসিনাকে নোবেল প্রাইজ না দিলেও কিছু এসে যায় না, তিনি এর অনেক উর্ধে অবস্থান করছেন। নোবেল লরেট আউং সান সুচি আজ তাঁর কাছে পরাভূত। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে দেশ থেকে তাড়িয়ে আউং সান সুচি আজ বিশ্বব্যাপী নিন্দিত। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা এক মিলিয়নের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মায়ের মমতায় আশ্রয় দিয়ে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়ে বিশ্বব্যাপী নন্দিত। দুই ডজনেরও অধিক খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় তাকে শান্তিতে ডক্টরেট ডিগ্রী দিয়ে সম্মানিত করেছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা তাঁকে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ ‘সেরেস’ ‘সাউথ সাউথ’ ইত্যাদি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। ব্রিটিশ মিডিয়া তো তাঁকে ‘মানবতার জননী বা Mother of humanity’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি সংস্থা তাঁকে ‘পাশ্চাত্যের তারকা বা Star of the east অভিধায় সম্মানিত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং নিজস্ব অর্থায়নে যখন পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে তখন আমি বলেছিলাম পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালীর সুপ্ত অদম্য শক্তির বাইরের রূপ। এই অদম্যশক্তি একবার বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জেগে উঠে বাঙালীর জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আবার মার্কিন-গৃহপালিত বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে শুরুতেই পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করার ঘোষণা দিল তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার অমোঘ শক্তি আবার জেগে উঠল। জাতির পক্ষে শেখ হাসিনা ঘোষণা করলেন, ‘তাতে কী, আমরা নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব, So what, we will build the PadmaSetu of our own। এ রকম একজন রাষ্ট্রনেতা দেখান তো? বাপকা বেটি, পিতা এক অঙ্গুলি হেলনে বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন, আর কন্যা এক হুংকারে বিশ্বকে অবাক করলেন। আর তাই তো যিনি বাঙালীর সুপ্ত আত্মশক্তিকে জাগিয়ে তুললেন তার নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ হওয়া উচিত. অর্থাৎ ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ ক’দিন আগে টেলিভিশনে দেখলাম সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুু’ রাখার কথা বললেন। শুনে খুব ভাল লাগল। প্রায় দুই বছর আগে যখন সেতুর কাজ ৩০% হয়েছিল, তখন ২০১৬ সালের ২৩ জুন দৈনিক জনকণ্ঠের চতুরঙ্গ পাতায় আমার নিয়মিত কলামে একই প্রস্তাব রেখেছিলাম। আমার কলামের হেডিং ছিল ‘এ সংসদে পাস হোক- শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’। মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সে ঘোষণা দেয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ। দুই বছর আগে আমার লেখা সেই কলামটির একটি অংশ হুবহু এখানে তুলে ধরলাম... (সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত) এ সংসদে পাস হোক-‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ পদ্মা সেতুর কাজ এরই মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হবার আগে একটি প্রস্তাব প্রশ্নাকারে রাখতে চাইÑ কেন পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ রাখা হবে না? বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার মতো এমন সাহস তো আর কারও মধ্যে দেখলাম না। প্রস্তাবটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রাখলাম। আশা করি বিবেচনা করবেন এবং সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যথাশীঘ্র ঘোষণাটি দেবেন। এটি শেখ হাসিনার প্রাপ্য। মনে করার কোন কারণ নেই যে, বাঙালী জাতি পদ্মা সেতুর নামকরণ ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করে তাকে বড় করা হয়েছে? না, বন্ধুরা না। শেখ হাসিনা নিজেই অনেক বড় মাপের মানুষ এবং অনেক অনেক বড় মাপের রাষ্ট্রনেতা। বাংলাদেশকে তিনি আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তার তুলনা আর কারও সঙ্গেই হতে পারে না। বরং বর্তমান বিশ্বে নেতাদের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, ভারতের প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী, জার্মানির এঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গেই হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সত্য কিন্তু দুই মেয়াদের ৮ বছরে এমন একটি বড় কাজ কি দেখাতে পেরেছেন যা শেখ হাসিনার কর্মযজ্ঞকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। বরং অপকর্মটা বেশি করেছেন। তাদের মোড়লিপনায় পরিচালিত বিশ্বব্যাংক শেখ হাসিনাকে একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল টেকেনি। তাকে চ্যালেঞ্জ না বলে বলা উচিত ষড়যন্ত্র। তারা পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি আবিষ্কার করে বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশকে ছোট করতে চেয়েছিল। বাপের বেটি রুখে দাঁড়ালেন- না, কোন দুর্নীতি হয়নি, বরং এটি বিশ্বব্যাংকের ষড়যন্ত্র, একে প্রতিহত করে আমরা বাংলার জনগণ নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। বিশ্বব্যাংককে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করলেন এবং এরই মধ্যে আগেই বলেছি এক-তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণের যে বিশাল কর্মযজ্ঞ তা না দেখলে বোঝা যাবে না। কেবল সেতুর পড়ে নয়, অন্যত্র ও বিভিন স্থানে স্ল্যাভ ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তারপর কোন এক সময় এতে যখন বিভিন্ন যান চলাচল করবে, পণ্য পরিবহন চলবে, যখন এই প্রথম দক্ষিণ বাংলার সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের রেলযোগাযোগ শুরু হবে তখন বিশ্বব্যাপী আরও অবাক হবে। আমি মনে করি বর্তমান পার্লামেন্টেই এ ব্যাপারে অর্থাৎ দেশরত্ন শেখ হাসিনার নামে পদ্মা সেতুর নামকরণ করার প্রস্তাব উত্থাপন করা দরকার। বিশ্বাস করি সংসদ সানন্দে প্রস্তাবটি পাস করেন। আগেই বলেছি শেখ হাসিনা ছাড়া কার এমন সাহস যে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল আমেরিকা ও বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কখন এমন কাজ করতে পেরেছে আমার জানা নেই। আমাদের রাষ্ট্রনেত্রী পেরেছেন বলেই তার নামেই নামকরণ করা যৌক্তিক। দেশবাসী খুশি হবেন। যারা খুশি হবেন না তারা কারা, তাদের চিনতে তো বাকি নেই কারও। গুটি কতেক অর্বাচীনের কথায় বা তাদের বিকৃত চেহারার দিকে তাকিয়ে জাতীয় ভাল কাজ তো থেমে থাকতে পারে না। শেখ হাসিনার নামে পদ্মা সেতুর নামকরণ করা মানে হচ্ছে শেখ হাসিনার মতোই জাতিকে সাহসী করে তোলা। বিশেষ করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মেন্টাল ফ্যাকাল্টি সাহসী করে তোলা। তা না হলে রাষ্ট্র এবং নাগরিকরা এগিয়ে যাবে কি করে? শেখ হাসিনা বাঙালী জাতি ও রাষ্ট্রকে এমন এক উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে কারণে জি-৭ হয়ে যায় জি-৮। সম্প্রতি তার সফরসঙ্গী হিসেবে সৌদি আরব সফর ও ওমরাহ হজ পালন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমি দেখেছি কি সম্মান ও রাজকীয় মর্যাদার সঙ্গে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং ক্রাউন প্রিন্স তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। অর্জনও ছিল যুগান্তকারী। তাইতো শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু হোক চায়নি এ জন্য যে, আজ আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার বা জিডিপি-৭.০৫%। পদ্মা সেতু দিয়ে যেদিন ট্রেন ও পণ্যবাহী যান ও ট্রেন চলাচল শুরু করবে সেদিন অবহেলিত দক্ষিণ বাংলার সুপ্ত অদম্য শক্তি জেগে ওঠার মাধ্যমে জিডিপি শতকরা ৯ ভাগ ছাড়িয়ে যাবে। এটা তারা জানে বলেই নানান ধানাই-পানাই করে কাজ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল।’ ‘ফ্যাসিস্ট’ অর্থ কি? ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীল-সভ্য বর্তমান সরকার, বিশেষ করে সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলছেন। রাজনৈতিক নেতার মধ্যে রয়েছেন বিএনপি কতিপয় এবং বাম জোটের কয়েকজন। অবশ্য সেই পাকিস্তান আমল থেকে বামপন্থীরা বুর্জোয়া রাজনীতি ও রাজনীতিকদের সম্পর্কে এ ‘ফ্যাসিস্ট’ শব্দটি ব্যবহার করে মজা পেত, হালে বিএনপি নেতারাও এই দলে যোগ দিয়েছেন। আগে জানতাম ‘ফ্যাসিস্ট’ বলা হতো হিটলার, মুসোলিনি, মার্কোসদের। এখন শেখ হাসিনাকে কেন বলছে? বলছে যে, শেখ হাসিনার নখ স্পর্শ করার ক্ষমতাও তাদের কারও নেই। যে রাষ্ট্রনেতা মানুষের মুখে ভাত, পরনে কাপড়, মাথায় ছাদ, রোগে চিকিৎসা, বাচ্চাদের শিক্ষা, বাচ্চার মা’দের কাছে উপবৃত্তির টাকা, অসচ্ছল অনগ্রসর মানুষকে ভাতা, বিদ্যুত-পল্লী বিদ্যুত, রাস্তাঘাট, সড়ক-জনপথ ইত্যাদি নির্মাণ করে দেন, স্বল্পোন্নত দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর, মানুষের বয়সসীমা ৭২.৫% এবং শিক্ষার হার ৭১%, জিডিপি বছর বছর ৭% এর ওপরে এবং সেই তুলনায় মূল্যস্ফীতি ৬% নিচে বিশ্বব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেন এবং সবচেয়ে বড় কথা যে নেতা রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন বা যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মহাসমুদ্রের তলদেশ এবং মহাকাশের কক্ষপথ জয় করে বিশ্বে ঘর বাঁধতে পারেন, তিনি কি করে ‘ফ্যাসিস্ট’ হন বুঝি না। তাহলে কি ‘ফ্যাসিস্ট’ শব্দের অর্থ পাল্টে গেল? ডিকশনারি কনসাল করে দেখলাম- ইংরেজী ‘ঋধংপরংঃ বা ফ্যাসিস্ট’ শব্দের বাংলা অর্থ হলো ‘চরম দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল’। এই শব্দত্রয়ীর মানে যিনি জানেন তার কাছে পরিষ্কার হবে যে, যারা ’৭১-এ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং নারী ধর্ষণ করেছে এবং যারা নারী ধর্ষণের সহযোগিতা করেছে, পবিত্র ধর্মের নামে, সেই সব রাজাকার বা রাজাকারদের বাচ্চাই ‘ফ্যাসিস্ট’। যারা মিলিটারি ক্যু বা হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেই সব হিংস্র জঙ্গী শক্তিই ‘ফ্যাসিস্ট বা চরম দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল’। অবশ্য এতে বিএনপি-জামায়াতের মতো প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তির কোন অপরাধবোধ নেই। আর বামপন্থীরা জানে তারা কখনও ক্ষমতায় যেতে পারবে না তাই যা খুশি বলে যায়, যা খুশি করে। এই যেমন বর্তমান সরকারের বিরোধিতার নামে প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের ভাষায় কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নাকচ করলেন, তবুও... শুনেছি পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ রাখার ওবায়দুল কাদেরের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেননি। জানি শেখ হাসিনা যখন বলেন, ‘আমি জাতির পিতার কন্যা, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, মনে প্রাণে বিশ্বাস থেকেই বলেন। কিন্তু জাতির একজন হিসেবে কিছুটা ঋণশোধ আমরাও তো করতে পারি...।’ ঢাকা ॥ ৪ অক্টোবর ২০১৮ লেখক : সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সিনেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×