আশনা হাবিব ভাবনা
দেশীয় শোবিজে যে কজন অভিনেত্রীর সোশ্যাল পোস্ট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় তারমধ্যে একজন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। সম্প্রতি একটি গরুর ছবি পোস্ট করে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি। সেই ছবির ক্যাপশন দিয়েছিলেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে? ব্যাস- এটুকুই। এরপরই এই ছবিটি ভাইরাল। একইসঙ্গে ভাবনাকে কটাক্ষ শুরু করেন নেটিজেনরা। চারদিন পর ভাবনা নিজের ফেসবুকে সেই ছবির ব্যাখ্যা দিয়ে জানালেন অভিজ্ঞতা।
ভাবনা বলেন, আমি মাঝে মাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি, যখন কোনো দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি। আমার একটি ছবি যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাঁড়িয়ে একটি গরু। তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সেদিন ছিল তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রাণীটি ভীষণভাবে কাঁদছিল। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি।
ভাবনা বলেন, আমি ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে।’ ব্যাস এতটুকুই। তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, লিখতে শুরু করলেন-আমি চামড়ার ব্যাবসায়ী। আমি নিজে একটা গাভী। আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত। আরও কত নোংরা নোংরা কথা। ভাবনার কথায়, আমি ২০১৬ সালে কবে গরুর তেহারি খেয়েছি, কোনো ইন্টারভিউতে গিয়ে বলেছি আমি গরুর মাংস রান্না করতে পারি।
কবে বিফ স্টেক খেয়েছি এইসব। আমি কোথাও লিখিনি আমি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না, একজন প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক, আর আমি প্রকৃতি প্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী কি না সেটার প্রমাণ আমি কোথাও দেব না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে? এই অভিনেত্রী আরও বলেন, অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো, হয়ত কোনো কবিতায় বা গল্পে, বা অন্য কোথাও বা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে।
শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সকল তীর আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।