ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ক্রিকেটার সাকিবকে দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে দগ্ধ কিশোর, ভর্তি হাসপাতাল

মেডিকেল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:১৩, ৭ মে ২০২৪

ক্রিকেটার সাকিবকে দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে দগ্ধ কিশোর, ভর্তি হাসপাতাল

হাসপাতালের বেডে জাহিদ হাসান। ছবি: জনকণ্ঠ

সাকিব আল হাসানকে এক নজর দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে দগ্ধ হয়েছে জাহিদ হাসান নিরব (১৩) নামে এক কিশোর। শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হওয়া ওই কিশোরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ৩টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাগাইশা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে জাহিদের মামা আরমান হোসেন রনি জানান, স্থানীয় ধোড়করা হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে জাহিদ। সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে খুব পছন্দ করে। আজ বিকেলে তাদের গ্রামে মালেক মার্কেটে "হারলেন" নামে একটি কসমেটিকসের শোরুম উদ্বোধন করার প্রস্তুতি চলছিল।

 সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পূর্বে থেকেই যোগ দেয়ার কথা ছিল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেতা নিরব ও স্থানীয় এমপির। তাদের এক নজর দেখার জন্যই দুপুর থেকে স্থানীয়রা সেই শো রুমটির আশপাশে জড়ো হতে থাকে। 

স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে জাহিদ বই খাতা রেখে তার কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে সেই শো রুমে যায়। তার উদ্দেশ্য ছিল- মূলত সাকিব আল হাসানকে দেখার। অনেক লোকজনের ভিড়ে জাহিদ সেই ১ তলা মার্কেটটির ছাদে ওঠে। ছাদের পাশেই ছিলো উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের তার। ছাদে উঠার পর অনেক ভিড়ে ধাক্কাধাক্কির কারণে সেই তাদের সঙ্গে সংস্পর্শ হয় জাহিদের। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেখান থেকে নিচে পড়ে যায় সে।

সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা স্বজনদের খবর দেয়। তারা এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল, পরবর্তীতে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

জাহিদের মা আসমা আক্তার জানান, দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় এসে জামা কাপড় খুলে, স্কুল ব্যাগটি রেখে ঘর থেকে বের হয়ে যায় সে। তখন সে মাকে বলে, সাকিব আল হাসানকে দেখতে যাচ্ছে সে। এর কিছুক্ষণ পরই তার দুর্ঘটনার খবর শুনতে পান তিনি। সাকিব আল হাসান কে? তা জানেন না আসমা আক্তার। তবে তার ছেলে জাহিদ, সাকিব আল হাসানকে খুবই পছন্দ করে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, জাহিদের বুক, পিঠ, পেট এবং হাতসহ মুখমণ্ডলের কিছু জায়গা দগ্ধ হয়েছে। তাকে আপাতত অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বজনরা জানান, জাহিদের বাবা জসিম উদ্দিন সৌদি আরব প্রবাসী। এক ভাই ও দুই বোনের মাঝে সবার বড় সে।

 

এসআর

×