ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জাগরণী থিয়েটারের ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাগরণী থিয়েটারের ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে জাগরণী থিয়েটারের ১৬তম প্রযোজনা ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে। এর আগে বিকেল ৫-৩০ মিনিটে রয়েছে নাটকে প্রেস শো। ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন অনিকেত পাল। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন স্মরণ সাহা, মুনিরা অবনী, সজীব ঘোষ, রফিকুল ইসলাম রনি, বাহারুল ইসলাম, জুলিয়েট সুপ্রিয়া সরকার, শাহনাজ শারমিন খান সিমু, ইয়াসীন শামীম, আরিফ খান, পল্লব সরকার। নাটকের সহযোগী নির্দেশক স্মরণ সাহা, মঞ্চসজ্জা ও কোরিওগ্রাফি অনিকেত পাল বাবু, আলোক পরিকল্পনায় ঠান্ডু রায়হান, সঙ্গীত পরিকল্পনা সোয়েব হাসনাত মিতুল, পোস্টার আমিনুর রহমান মুকুল, পোশাক রিপা হালদার, দ্রব্য পরিকল্পনা রফিকুল ইসলাম রনি, শব্দ নিয়ন্ত্রক আকাশ, স্থির চিত্র প্রবীর ঘোষ রনি, ব্যবস্থাপনা প্রধান মোহানী মানিক, মঞ্চ ও হল ব্যবস্থাপনা বাবুল ইসলাম হৃদয়, রোকনুজ্জামান আপেল, সিমু, ফিরোজ, ইসমাইল, সাইফুল, সমন্বয়ক আজমল আমিন, প্রযোজনা অধিকর্তা স্মরণ সাহা। ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে পনের শতকের জার্মানির বিখ্যাত শিল্পী আলব্রেখট ডুরের শিল্পী হওয়ার কাহিনী পড়ে অমরের ফাইন আর্টস নিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগে। আলব্রেখটকে শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে ভাই আলবার্ট খনিতে কাজ করতে করতে যে হাত জোড়া ক্ষয়ে গিয়েছিল, ভাই আলবার্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আলব্রেখট ওই বিশেষ মুহূর্তটিকে ধরে রেখেছিলেন তার এক অমর শিল্পকর্মে। তার এই অসামান্য অঙ্কনকে তিনি কেবল হাত বলেই নাম রেখেছিলেন। শিল্পের জন্যে কি অসাধারণ আত্মত্যাগ ভাই আলবার্টের। আমরা যদি সবাই আত্মত্যাগের মানসিকতাই বড় হই, শুধু নিজের স্বার্থের কথা না ভাবি, তাহলে আমরা সমাজকে দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। এ বিশ্বাসকে ধারণ করে ফাইন আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে অনিল কাকুর মেয়ে শ্যামার সঙ্গে অমরের পরিচয়। শিল্পের প্রতি অসামান্য ভালবাসা ও অনুরাগ শ্যামাকে অমরের কাছে টানে। রূপ নেয় ভালবাসায়। ভালবাসার একপর্যায়ে শ্যামা প্রত্যাখান করে অমরের বিয়ের প্রস্তাব। নিজেকে শ্যামার জন্য আত্মত্যাগী ভেবে পার করে একাকিত্ব জীবন। শ্যামার প্রত্যাখানের সঠিক কারণ শ্যামার আত্মত্যাগ, অমর জানতে পারে আত্মত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগী গল্প নিয়ে সৃষ্টি ‘আমি ও শ্যামা’। ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশক অনিকেত পাল বলেন, লেখা লেখির মতো দুরূহ কাজটা খুব একটা করা হয়ে উঠে না আমার । ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকটি অনেকটা জোর করে কলম ধরিয়ে দেয়া আমাকে। এ কলম ধরিয়ে দেয়ার কাজটি যিনি করেছেন তার নাম স্মরণ না করে কিছুতে নাটক, নির্দেশনা নিয়ে লিখতে পারছি না। তিনি হলেন স¥রণ সাহা। ধন্যবাদ স্মরণ সাহাকে। ধন্যবাদ জাগরনী থিয়েটারকে আমার ওপর তাদের আত্মবিশ^াসের জন্য। আমি চেষ্টা করেছি পরিচ্ছন্ন একটি গল্প দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। নাটকটির মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। দর্শকের কাছে নাটকটির গ্রহণযোগ্যতা পেলে আমার অনেক ভাল লাগবে। নির্দেশনার সময় এমনকি লেখার সময়ও আমার সব সময় মনে হয়েছে দৃশ্যগুলোকে কিভাবে দৃষ্টিনন্দন করা যায়। কতটুকু দৃষ্টিনন্দন করা যাবে সেই দ্বিধা শঙ্কা নিয়ে জাগরণী থিয়েটারের তরুণ প্রতিভাবান নাট্যশিল্পদের নিয়ে ‘আমি ও শ্যামা’ কাজটি শুরু করি। পরবর্তীতে পালাকারের মুনিরা অবনি কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছে। কৃতজ্ঞতা জানাই আলোক নির্দেশক ঠান্ডু রায়হান, আবহসঙ্গীতে সোয়েব হাসনাত মিতুল, আমিনুর রহমান মুকুলকে পোস্টার ডিজাইন করার জন্য। ধন্যবাদ জানাই নিরলস পরিশ্রমী জাগরণী থিয়েটারের সদস্যদের আর বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই স্মরণ সাহাকে। সহযোগী নির্দেশকের যথাযথ ভূমিকা পালন করার জন্য। আশা করছি নাট্য প্রযোজনাটির সফলতার মুখ দেখবে।
×