ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সোমবারও ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে ৯৬৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৬৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা বেশি। রবিবার ডিএসইতে ৯০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ১১৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও শেষটা ছিল পতন দিয়ে। বেশ কিছু কোম্পানির চাহিদা বাড়লেও বড় মূলধনী কোম্পানি লেনদেন ও দর কমেছে। দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৭২ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৯৪১ পয়েন্টে। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো ঃ একটিভ ফাইন, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বিবিএস কেবল, শাশা ডেনিম, সামিট পাওয়ার, ইফাদ অটো, সাইফ পাওয়ার, নাহি এ্যালুমিনিয়াম, কনফিডেন্স সিমেন্ট ও ফরচুন সুজ। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো ঃ ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, শাশা ডেনিম, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, তিতাস গ্যাস, গোল্ডে হার্ভেস্ট, বিবিএস কেবল, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ারটেক, রূপালী লাইফ ও মুন্নু সিরামিক। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো ঃ ন্যাশনাল হাউসিং, হোটেল পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, মিথুন নিটিং, হাক্কানী পাল্প, পিপলস লিজিং, ইস্টার্ন হাউসিং, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ও সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৯০ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির শেয়ার দর। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো ঃ কনফিডেন্স সিমেন্ট, সাইফ পাওয়ারটেক, একটিভ ফাইন, বিবিএস ক্যাবল, সামিট পাওয়ার ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, বারাকা পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড ও বেক্সিমকো।