ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রূপপুর প্রকল্পে দুর্ঘটনা রোধক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ‘কোরক্যাচার’ স্থাপনের উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৯ আগস্ট ২০১৮

রূপপুর প্রকল্পে দুর্ঘটনা রোধক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ‘কোরক্যাচার’ স্থাপনের উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে কথা দিয়েছিলেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র হবে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। তিনি সে কথা রক্ষা করেছেন। শনিবার সকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের দুর্ঘটনা রোধক পৃথিবীর দ্বিতীয় ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন চল্লিশ মে. টন ওজনের ‘কোরক্যাচার’ স্থাপন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে পরমাণু কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ও রসাটম এটমস্ট্রয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. খাজিন বক্তব্য দেন। এসময় প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবরসহ উচ্চ পর্যায়ের দেশী-বিদেশী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বিপদের সময় মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া পাশে ছিল এবং এখন সুখের সময় পরমাণু প্রকল্প নির্মাণেও তারা প্রকৃত বন্ধু হিসেবে সঙ্গে রয়েছে। দেশ ও জাতীর স্বার্থে রূপপুর পরমাণু প্রকল্পকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বিশ্বের বত্রিশতম প্রকল্প ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে স্থাপন করা হলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ‘কোরক্যাচার’। এটি হলো পৃথিবীর দ্বিতীয়। প্রথমটি স্থাপন করা হয়েছে রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে। যেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘নববরানিস। পৃথিবীর অনেক বৃহৎ দেশের পরমাণু প্রকল্পে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়নি। সেদিক থেকে বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা ভাগ্যবান। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে কথা দিয়েছিলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র হবে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। যেহেতু দেশ ও মানুষের স্বার্থে প্রকল্পটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেহেতু এ প্রকল্প থেকে মানুষ শুধু সুবিধা ভোগ করবেন। দেশ ও মানুষকে যাতে কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় বা কোন প্রকার ঝুঁকির মধ্যে পড়তে না হয় সে জন্যই ‘কোরক্যাচার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ও পরমাণু কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড.ফিরোজকে জাপানে স্থাপিত ফুকুশিমা পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে অভিজ্ঞতা অর্জনের নির্দেশ দেন।
×