ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুসময়ের অপেক্ষায় তাসকিন

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৩ আগস্ট ২০১৮

 সুসময়ের অপেক্ষায় তাসকিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইনজুরি আর দুর্ভাগ্য যেন পিঠাপিঠি অবস্থান করছে তাসকিন আহমেদের। নাহলে এ পেসারের কেন এমন দুর্দশাগ্রস্ত সময় যাবে। ইনজুরি থেকে মুক্ত হয়ে খেলার মধ্যে যুক্ত হতেই আবারও ইনজুরির দুর্ভাগ্য চেপে বসে। তাসকিন এখন সুসময়ের অপেক্ষা করছেন। ভাল সময়ের অপেক্ষা করছেন। তাসকিন রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খুব আফসোস করে বলছিলেন, ‘আমার ব্যাকে মেজর ইনজুরি ছিল। এর মধ্যেই অনুশীলনের মাঝখানে আমার হাত ফেটে গিয়েছিল, তখন সাতটা সেলাই লেগেছিল। তারপর হাত শুকানোর পর আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার পর আবার ব্যাক ইনজুরি সমস্যা করছিল। পরে ব্যথা সেরে যাওয়ার পর ফিটনেস টেস্ট দিয়ে চার নম্বর ওয়ানডেটা খেলতে পেরেছিলাম, পাঁচ ওভার বল করেছিলাম। একই ম্যাচে থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং-এর সময় বল থ্রো করতে গিয়ে হাতটা আবার ফেটে যায়। তখন হাতে সাতটা সেলাই লেগেছিল, এবার দুইটি সেলাই। হাতের তালুর দিকটায় বল লেগে ফেটে গিয়েছে। এটা আসলে আমার দুর্ভাগ্য বলা যায়।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘একই জায়গায় আগে ব্যথা পেয়েছিলাম, এখন আবার সেই জায়গাতেই ফাটলো। এটা খুবই দুঃখজনক, আমি সাড়ে পাঁচ-ছয় মাস পর খেলতে নামলাম, এরপর আবার হাতের ইনজুরিতে পড়তে হলো। কিন্তু কিছু করার নেই আসলে। সামনে অনেক খেলা আছে, যদি হাত ঠিক হয় তাহলে সুযোগের অপেক্ষায় থাকব। আর সত্যি কথা বলতে, আমি ভাল ছন্দে ছিলাম। বোলিং কোচ চাম্পাকা অনেক সন্তুষ্ট ছিল আমার বোলিংয়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজের বোলিংয়ে খুশি ছিলাম। কিন্তু ইনজুরি হয়েছে, এখন কিছু করার নেই। এখন পাঁচ-সাতদিনের মধ্যে সেলাই খোলার কথা। আর সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি ফিরতে পারব।’ তাসকিনের ব্যাক ইনজুরি ছিল। যে ইনজুরি তাসকিনকে জাতীয় দল থেকেই ছিটকে ফেলে দিয়েছে। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও এই ইনজুরির জন্য ভাল কিছু করতে পারেননি। আবার ছিটকে পড়েছেন। সেই ইনজুরি যখন সেরে উঠল তখন হাতটা ফেটে গেল। তাসকিন জানান, ‘আমার মূলত ব্যাক ইনজুরি ছিল। সেই ইনজুরি থেকে আমি এখন প্রায় ফিট বললেই চলে। আমি সহজেই বোলিং করতে পারছিলাম। যদিও আমাকে কিছুটা মানিয়ে নিতে হচ্ছিল। ইঞ্জেকশনের পর আমি রিহ্যাব করেছিলাম। আমি আনফিট হয়ে আয়ারল্যান্ডে যাইনি। ফিট অবস্থায় গিয়েছিলাম।’ আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজেই ঘটেছে হাত ফাঁটার ঘটনা। তাসকিন নিজে প্রকাশ করতে পারছেন না তার কতটা খারাপ লাগছে। তবে আশপাশের মানুষজনের আফসোসের কথা বলে বোঝাতে চেয়েছেন, ‘আমার আশেপাশের মানুষদেরই আফসোস হচ্ছে। আমার কথা না হয় বাদ দিলাম। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বন্ধুরা সবাই আফসোস করছে।
×