ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধা বিসিক শিল্পনগরীর অনেক ইউনিটেই তালা

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২ আগস্ট ২০১৮

গাইবান্ধা বিসিক শিল্পনগরীর অনেক ইউনিটেই তালা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গাইবান্ধা বিসিক শিল্পনগরীর অনেক ইউনিটেই তালা ঝুলছে। যেখানে শ্রমিকদের আনাগোনা নেই। নেই কোন কোলাহল। ফলে বিসিকের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প বিকাশের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, মূলধনের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছেন না তারা। আর বিসিকের কথা শুনলে ব্যাংকগুলোও মুখ ফিরিয়ে নেয় বলে অভিযোগ তাদের। ব্যবসায়ী দুজন বলেন, বিসিক থেকে যে ঋণ দেয় দুই লাখ, তিন লাখ ও ৫০ হাজার। এই টাকা দিয়ে কোনভাবে একটি কারখানা চালু করা যাবে। অন্য আরেক ব্যবসায়ী জানান, ব্যাংক আমাদের ভয় পায়। কেননা তারা মনে করেন, এই জায়গাটা আমাদের নয়। কিন্তু জায়গা আমাদের, আমরা লিজ নিয়েছি। এমন পরিস্থিতির জন্য বিসিকের নানা অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতাকে দুষছেন ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল। গাইবান্ধা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, এ ব্যাপারে সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত। কীভাবে এই ক্ষুদ্র ও শিল্পকে এগিয়ে নেয়া যায়। গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোক্তারির রহমান মিঠু বলেন, পোর্টগুলোকে যাকে দেয়া হয়েছে, তারা আসলে শিল্প ও কলকারখানা করার মানসিকতা নেই। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞ মানুষকে দেয়নি বলে আজকে পোর্টগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্যোক্তাদের ঋণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বারবার তাগিদ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। অন্যদিকে আইনী জটিলতার কারণে বন্ধ ইউনিটগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারছেন না তারা। গাইবান্ধা বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই আমাদের মিটিং হয়। মিটিংয়ে ব্যাংকের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমাদের সমস্যা নিয়ে কথা হয় এবং তারা সমাধান করতে চায়। কিন্তু পরবর্তীতে সমস্যা সমস্যাই থেকে যায়। গাইবান্ধা বিসিক প্রমোশন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানটি যেখানে ২০ বছর ধরে বন্ধ, আবার কিছু আছে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ। যার কারণে এ সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারছি না।’ ১৯৯৮ সালে গাইবান্ধা শহরের পাশে ১৫ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে বিসিক শিল্পনগরী। বিভিন্ন খাতে মোট ৫৩টি শিল্প ইউনিট থাকলেও থেমে থেমে চলছে ২৯টি ইউনিট।
×