ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘রাত্রির যাত্রী’

প্রকাশিত: ০৮:০১, ২৯ জুলাই ২০১৮

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘রাত্রির যাত্রী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছোট পর্দার গুণি নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রাত্রির যাত্রী’ আগামী ঈদ উল আযহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে। গত ১০ জুলাই চলচ্চিত্রটি আনকার্ট ছাড়পত্র পেয়েছে। এরপর থেকেই চলচ্চিত্রের প্রচার চলছে। ‘রাত্রির যাত্রী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, আনিসুর রহমান মিলন, সালাহউদ্দিন লাভলু, এটিএম শামসুজ্জামান, শহিদুল আলম সাচ্চু, অরুণা বিশ্বাস, মারজুক রাসেল, রেবেকা পারভীন, শিমুল খান, সোনিয়া হোসেন, জিয়া তালুকদারসহ অনেকে। চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক সম্রাট। ‘রাত্রির যাত্রী’র আইটেম গানে নেচেছেন জনপ্রিয় মডেল নায়লা নাঈম। এদিকে মুক্তির আগেই যথেষ্ট আলোচনায় এসেছে চলচ্চিত্রটি। সর্বশেষ খবর হলো ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের প্রথম পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব এটি প্রকাশের পর পরই প্রশংসিত হয়েছেন। চলচ্চিত্রের পোস্টার প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি পরিচালক বলেন, পোস্টারটির জন্য অনেকের সাড়া পাচ্ছি। সবাই অনেক প্রশংসাও করছেন। এ জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমার সবটুকু দিয়েই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছি। দর্শকদের ভাল লাগার মত করে। আশা করছি সবার ভাল লাগবে। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা, উপজেলায় ‘রাত্রির যাত্রী’র সহযাত্রী বন্ধুরা চলচ্চিত্রেটির প্রচারে ব্যস্ত সময় পর করছেন। এমনকি দেশের বাহিরেও এর প্রচার চলছে। চলচ্চিত্র মুক্তির আগে প্রচারের যে ধারা চলচ্চিত্র জগতে এটি একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গত ১০ জুলাই সেন্সর বোর্ড থেকে চলচ্চিত্রটির ছাড়পত্র হাতে পান এই নির্মাতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাড়পত্র পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। আগামী ঈদ উল আযহায় চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়ার ইচ্ছে রয়েছে। সেই লক্ষেই এখন প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি জানান ২০১৫ সালে শুরু হয় ‘রাত্রির যাত্রী’ চলচ্চিত্রের শূটিং, শেষ হয় গত বছরের শেষের দিকে। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, অনেকটা সময় নিয়েই কাজটা করা। ভাল কিছু করতে হলে সময়ের প্রয়োজন। সেটা মাথায় রেখে এতটা সময় নেয়া। দর্শকদের জন্য ভাল কিছু নির্মাণ করেছি। অবশ্যই উপভোগ্য যোগ্য। মুক্তির পথে ‘রাত্রির যাত্রী’ চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এ প্রসঙ্গে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তারেক মন্তব্য করেন শুরু থেকে নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ‘রাত্রির যাত্রী’ অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি সেন্সরবোর্ড হয়ে এখন মুক্তির মিছিলে। সূচনালগ্ন হতেই অনলাইন, অফলাইনে প্রচার চলছিল ‘রাত্রির যাত্রী’র সে প্রচার নতুন হাওয়া লাগে সেন্সর হয়ে যাওয়ায়। বিভিন্নমহল আন্তরিকভাবে এ চলচ্চিত্রের প্রচারে অংশ নিচ্ছে। এতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ রয়েছে। আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষের মুখে মুখে এ নতুন ভাবনার চলচ্চিত্রের নাম। ‘রাত্রির যাত্রী’ নিয়ে যেন একটি যুদ্ধ চলছিল শুরু হতেই, সে যুদ্ধ জয়ের দ্বারপ্রান্তে ‘রাত্রির যাত্রী’ পরিবার। চলচ্চিত্রে সুস্থধারাকে প্রতিষ্ঠিত করার যুদ্ধ, আপামর জনতাকে সিনেমাহলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যুদ্ধ, সৃজনশীল কর্মকান্ডকে তুলে ধরার যুদ্ধ, সব যুদ্ধকে জয় করতে চায় এ পরিবার।রাত্রির যাত্রী পরিবার বিশেষ করে হাবিবুল ইসলাম হাবিব যে স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন তা আজ পূর্ণ হওয়ার পথে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাত্রির যাত্রী’ শুধু তার একার চলচ্চিত্র নয়, এটি সকল চলচ্চিত্রপ্রেমীর ছবি, এটি গ্রাম-বাংলার ছবি, এটি গণমানুষের ছবি। এর প্রতিটি দৃশ্যের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অপরিসীম পরিশ্রম ও ভালবাসার গল্প। যেদিন বড়পর্দায় দেখা যাবে সেদিনই এ ভালোবাসার প্রতিদান পাবে এ পরিবার। চলচ্চিত্র ছোটপর্দায় নয়, বড়পর্দায় দেখতে হয়। সেজন্য যেতে হবে সিনেমাহলে। চলচ্চিত্রে মানুষকে সিনেমার বিশাল পর্দায় দেখলে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি পাওয়া যায়। মুঠোফোনের পর্দায় যার আবেদন সিকি ভাগও থাকেনা। তাই দর্শকের কাছে আবেদন, আপনারা হলে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখুন। সমালোচনা অবশ্যই করবেন, তবে দেখার পর। কান নিয়েছে চিলে ভেবে চিলের পেছনে ছুটলে নিজেদেরই ক্ষতি। তাই সদলবলে রাত্রির যাত্রী দেখুন, অপরকে দেখতে উদ্বুদ্ধ করুন। দেশের রুগ্ন চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে হলে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখার বিকল্প নেই। ‘রাত্রির যাত্রী’ হাসি ফুটিয়ে তুলুক সকলের মুখে, এ প্রত্যাশা। জয় হোক বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের, ভিনদেশী চলচ্চিত্রের আগ্রাসনে যেন আমাদের চলচ্চিত্র পথ না হারায়।
×