ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মঞ্চে আসছে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’

প্রকাশিত: ০৮:০১, ২৯ জুলাই ২০১৮

মঞ্চে আসছে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চে আসছে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৪০তম নাট্য প্রযোজনা ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’। দলসুত্রে জানা গেছে বাঙালির শোকের মাসে মহাপ্রয়াণের শোক আখ্যান ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ নাটকের উদ্বোধনী ও দ্বিতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩ আগস্ট শুক্রবার নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী এবং এরপর দিন ও ৪ আগস্ট শনিবার নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামান রচিত ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ নাটকটি নির্দেশনা দিচ্ছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফর্মেন্স স্টাডিস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক রহমান লিয়ন। তারই পরিকল্পনায় মহাপ্রয়াণের শোক আখ্যান হিসেবে শোকের মাসে নাটকটি মঞ্চে আনছে মহাকাল। ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন কবির আহামেদ, ফারুক আহমেদ সেন্টু, মোঃ শাহনেওয়াজ, মনিরুল আলম কাজল, পলি বিশ^াস, সামিউল জীবন, রাজিব হোসেন, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, তারেকেশ্বর তারোক, আহাদুজ্জামান কলিন্স, সুমাইয়া তাইয়ুম নিশা, আরাফাত আশরাফ, স্বপ্নিল, আজহার, পিয়াসী জাহান, কাজী তারিফ, তাজুল রনি, রেদোয়ান, সিয়াম রাব্বি, জুনায়েদ, নূর আকতার মায়া, রাফি, রিফাত হোসেন জুয়েল, আমিনুল আশরাফ, ইকবাল চৌধুরী, মীর নাহিদ আহসান ও মীর জাহিদ হাসান। এদিকে উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আগে আগামীকাল ৩০ জুলাই সোমবার বিকাল ৪-৩০টায় শিল্পকলা একাডেমির পরিক্ষণ থিয়েটার হলে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য এ নাটকের একটি বিশেষ প্রদর্শনী হবে। তারও আগে জাতীয় নাট্যশালার পরিক্ষণ থিয়েটার হলে এ নাটকের দুটি কারিগরি প্রদর্শনী হবে।‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ নাটক প্রযোজনার প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় কর্তৃপক্ষ জানায় প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তাদের অভিপ্রায় রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক নানারকম সাম্প্রতিক সংকট উপজীব্য নাট্য প্রযোজনা মঞ্চে নিয়ে আসা। সংগ্রামী নারী আসমানী থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের বিস্তৃত ক্যানভাস, গীতিকার নারী, তাঁত শিল্পের কারিগর, প্রান্তিক জনমানুষ, লিঙ্গ প্রতিবন্ধী, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের মত বিষয় ও নানামাত্রিক চরিত্র উঠে এসেছে মহাকালের নাট্য আয়োজনে। সেই ধারাবাহিকতায় মহাকালের চল্লিশতম প্রযোজনা হিসেবে এবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পরিবার পরিজনদের সুপরিকল্পিতভাবে নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে গবেষণালব্ধ মঞ্চনাটক ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ মঞ্চায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস গবেষণালব্ধ এ পান্ডুলিপিতে জাতির জনককে হত্যার প্রত্যক্ষ পরিকল্পনাকারী রাজনৈতিক ও সামরিক বেনিয়াদের অংশগ্রহন ও কার্যকারণ উন্মোচিত হয়েছে- যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের জানার অধিকার রয়েছে।একটি ভূখন্ডের স্থপতি মহান নেতার হত্যাকারীদের চেনার জানার ঘৃনা প্রকাশের অধিকার রয়েছে স¦াধীন নাগরিকদের। অসাম্প্রদায়িকতার মূর্ত প্রতিক- মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা ও সাধারণ মানুষের সাথে তার নীবিঢ় সম্পর্ক, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও রাষ্ট্র গঠনে তার সত্যনিষ্ট দুর্বার প্রচেষ্টা রচিত হয়েছে এ পান্ডুলিপিতে। মহান নেতার হত্যাকারী রাজনৈতিক ও সামরিক বেনিয়া আর খুনীদের মূখোশ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে সতর্ক করা এবং খুনীদের ও তাদের অনুসারীদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার প্রত্যয় তৈরীতে ভূমিকা রাখবে এ নাট্য প্রযোজনা।একটি স্বাধীন ভূখন্ডের মহান স্থপতির প্রতি নৈতিক, মানবিক ও রাষ্ট্রিক দায়বদ্ধতা থেকে নয়মাসের গবেষণালব্ধ এ পান্ডুলিপিটি মঞ্চায়নের জন্য আমরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। মহাকাল কর্তৃপক্ষ জানায় দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ এ পান্ডুলিপি পর্যালোচনা ও পাঠচক্র এবং দেড়মাস যাবৎ একটানা এ নাটকের মহড়া চলছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামান রচিত এ নাটকের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় আছেন ঢাকা বিশ^াবদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফর্মেন্স স্টাডিস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক রহমান লিয়ন। নাটকের নেপথ্য শিল্পীরা হলেন- মঞ্চ, আলো, পোষাক ও আবহসঙ্গীত পরিকল্পনায় আশিক রহমান লিয়ন, কোরিওগ্রাফীতে আমিনুল আশরাফ, এ্যানিমেশনে সৈকত নাসির, আবহসঙ্গীত সম্পাদনায় কাজী মোহাইমিনুল হক, পোস্টার ডিজাইন দেবেন্দু উদাস, রূপসজ্জা শিল্পী শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, টিকেট ব্যবস্থাপনায় সৈয়দ লুৎফর রহমান, প্রচার সৈকত নাসির ও কাজী সাইফ আহমেদ, প্রকাশনা ব্যবস্থাপনায় কানাই চক্রবর্তী ও বুলবুল আহমেদ, সেট ও প্রপস ব্যবস্থাপক রাজিব হোসেন, প্রযোজনা ব্যবস্থাপক ইকবাল চৌধুুরী, মঞ্চ অধিকর্তা কবির আহামেদ, প্রযোজনা সমন্বয়ক মো: শাহনেওয়াজ, প্রযোজনা অধিকর্তা মীর জাহিদ হাসান ও সামগ্রিক তত্ত্বাবধানে আফজাল হোসেন। নাটকটি নির্মাণে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।
×