ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এএইচএম শহিদুল (ছুট্টু)

অভিমত ॥ বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৯ জুলাই ২০১৮

অভিমত ॥ বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে

অবাক বিস্ময়ের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে, মধ্য বাড্ডার ট খড়ড়ঢ়টি শুধু হাতিরঝিল হয়ে এসে যারা রামপুরা-বনশ্রী-খিলগাঁও-মালিবাগ এলাকার দিকে যেতে চায়, তাদেরই পোয়াবারো! মেরুল প্রান্তে এসে ডানদিকে মোড় নেয়ার যে অসহনীয় যন্ত্রণা পোহাতে হতো সেটি আর থাকবে না। মেরুল প্রান্তে এসে রামপুরার দিক থেকে আসা উত্তরমুখী ঞৎধভভরপ-এর সঙ্গে মিশে (গবৎমব করে). সামান্য গিয়ে নবনির্মিত ট খড়ড়ঢ় ব্যবহার করে ১৮০০ ঘুরে সোজা বাড়ি। পিক আওয়ারে আড়ং-এর কাছ থেকে রামপুরা ব্রিজে উঠতে ১৫ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিটের যে ধৈর্য পরীক্ষা দিতে হয়, সেটি আর থাকছে না। যেন ঈদের আনন্দ! তবে দুর্ভাগ্য তাদের, যারা রামপুরার দিক থেকে বা হাতিরঝিল হয়ে এসে কুড়িল, বসুন্ধরা, বারিধারা, নতুনবাজার, শাহজাদপুর ও উত্তর বাড্ডার দিকে যেতে চান বা যারা ওদিক থেকে এসে বাড্ডা-গুলশান লিংক রোড ধরে গুলশান-মহাখালীর দিকে যেতে চান, তাঁদের পুলকিত বোধ করার কোন কারণ নেই! কেননা, মধ্য বাড্ডার ট খড়ড়ঢ়টির প্রায় ২০০ মিটার উত্তরে ট-ঞঁৎহ করার স্থানটি যেখানে ছিল, ওখানেই থাকছে! আমরা ভেবেছিলাম যে, ওই ট-ঞঁৎহটিও বোধহয় মধ্য বাড্ডার নির্মাণাধীন ট খড়ড়ঢ় ঈড়সঢ়ষবীটির মধ্যে চলে আসবে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটি করা হয়নি। তবে এখনও করা সম্ভব। যেহেতু সেনাবাহিনীর ঊঈই তত্ত্বাবধানে কাজ হচ্ছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাজ করলে দুই দিনের কাজ। উত্তর বাড্ডার দিক থেকে এসে নবনির্মিত টি LoopwUi Viaduct পেরোলেই উভয় পাশে যে স্থানে ঘাস লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করা হচ্ছে, সেগুলো ভেঙে রাস্তা দুটো চওড়া করে সড়ক বিভাজকটি ১০ মিটারের মতো ভেঙে কার্পেটিং করে দিলে, গুলশান-মহাখালীমুখী যানবাহনগুলো এখানে বিরতিহীনভাবে U-Turn নিতে পারবে। উল্টোদিক থেকে আসা যানবাহনকে কোন সিগন্যালে থামতে হবে না। এখন যেখনে U-Turn নিতে হয়, সেখনে উভয় প্রান্তের Traffic কেই সিগন্যালে থামতে হয় এবং এর ফলে দুদিকেই Tailback-এর সৃষ্টি হয়। আর Tailback মানেই Billion Billion গচ্চা। আশা করি, RAJUK ও সংশ্লিষ্টরা ব্যাপারটা গুরুত্ব সহকরে নিয়ে ছোট্ট একটি কাজ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করে ‘অসাধারণজন’দের (‘জনসাধারণ’ নয়) হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নেবেন। ২৪ ঔঁষু ২০১৮ অউর দৈনিক জনকণ্ঠ থেকে নেয়া ট খড়ড়ঢ়-এর ছবিতে আনাড়ী হাতে রং পেন্সিল দিয়ে এঁকে প্রস্তাবিত U-Turn-এর স্থানটি বোঝাবার চেষ্টা করেছি। ঊঈই নিয়ে প্রাসঙ্গিক দু-একটি কথা। Hatirjheel Project যদি ঊঈইর তত্ত্বাবধানে না হতো, এর চক্রাকার সড়কটির এখন কী দশা হতো তা সহজেই অনুমেয়! তারপরও কখনও সখনও, মনে হয় কোন ধরনের Tariff Barrier-এর কারণে অনেক কাজ দীর্ঘদিন অর্ধনির্মিত থাকে। আমার স্মৃতিতে ভাস্মর হয়ে আছে ‘শুটিং ক্লাব-পশ্চিম মেরুল’ সেতুর (Police Playai পিছনের সেতুর উত্তর পাশের সমান্তরাল) নির্মাণকাল। আমি যখনই দেখতাম, তখনই ভাবতাম- ‘আমাদের যেই ঊঈই ’৮০ দশকে ২২ মাইল দীর্ঘ, দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে ‘চিরিঙ্গা-আলিকদম’ সড়ক রেকর্ড সময়ে নির্মাণ করেছিল, সেই ঊঈইর তত্ত্বাবধানে কম-বেশি ১০০ মিটার দীর্ঘ একটি RCC Structure-এর সেতু নির্মাণ করতে এত সময় লাগছে! [email protected]
×