ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোনায় গরমিল

অবশেষে ৬ সদস্যের কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৫ জুলাই ২০১৮

অবশেষে ৬ সদস্যের কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা সোনার হিসাব ও ওজনে গরমিল নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের তৈরি করা প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর অবশেষে ৬ সদস্যের ‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন’তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এএনএম আবুল কাসেম। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ৬ সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চারজন জিএম (মহাব্যবস্থাপক) ও একজন ডিজিএম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস জনকণ্ঠকে বলেন, কমিটি মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে গবর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা রাখার পদ্ধতি আরও আধুনিক করার বিষয়টি ছাড়াও সোনার মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।’ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে এর আগে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির এই কমিটি গঠন করে দেন। এদিকে বাংলাদেশে ব্যাংকের ভল্টে সোনা গরমিল ইস্যুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভূমিকার সমালোচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সোনা নিয়ে এনবিআরের কোন কথা বলারই প্রয়োজন ছিল না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়। তিনি বলেন, ৯৩৬ কেজি সোনার মধ্যে দূষিত সোনার পরিমাণ মাত্র ৩ কেজি। তাও পুরোটা নয়। কাজেই এটি বড় কোন সমস্যা নয়। সোনা অনর্থক আলোচনা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখার পর তা মিশ্র বা সংকর ধাতু হয়ে যায়। এছাড়া ২২ ক্যারেটের সোনা ১৮ ক্যারেট হয়ে যায় বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
×